মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম থাকায় বেড়েছে ভুট্টার চাষ।
বিগত দিনে কাঁচা মরিচ, আলু ও অন্যান্য সবজি চাষে লোকসান গুনতে হয়েছে চাষিদের। তাই এ বছর ভুট্টার ফলন ও বাজার দাম অধিক হওয়ায় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন ভুট্টা চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রবি মৌসুমে উপজেলায় চরাঞ্চল ও ৬টি ইউনিয়নে দুইশত সাত হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। বিগত বছরে তুলনায় একশো হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। দেশে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় ভুট্টার ফলনও হয়েছে অধিক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রামপুর, শাহেদল, চরপুমদী, পিতলগঞ্জ, চরবিশ্বনাথপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে চাষিরা ভুট্টা ক্ষেতে পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত।
এ সময় পূর্ব দ্বীপেশ্বর গ্রামের ভুট্টা চাষী নূর উদ্দিন মোঃ সবুজ বলেন, ‘বিগত দিনে আলুতে ব্যাপক লোকসান হওয়ায় এবার চার একর জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। ফলনও অধিক হয়েছে। তাই আশা করছি আলুর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব।‘
রামপুর গ্রামের ভুট্টা চাষী হুমায়ুন বলেন, ‘১০শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। ফলন হয়েছে আট মণ। উৎপাদন খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। বিক্রি করেছি আট হাজার টাকা। এবার আরো অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না হলে এ বছর ভুট্টার অধিক ফলন হবে এবং বাজারে ভুট্টার দাম অনেক বেশি। প্রতিমণ ভুট্টা বারো’শ থেকে তেরো’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, রবি মৌসুমে উপজেলায় এন কে ৪০ পাইওনিয়ার, টাইটান, সুপার নাইন জাতের ভুট্টা আবাদ হয়েছে। তবে ভুট্টা চাষীদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাক্ষেতকে রক্ষা করলে অধিক ফলন পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।