বাংলাদেশ ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

মোগো আবার কিসের ঈদ আনন্দ মাইয়ারেই ডাক্তার দেখাইতে পারি না

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭০৩ বার পড়া হয়েছে

মোগো আবার কিসের ঈদ আনন্দ মাইয়ারেই ডাক্তার দেখাইতে পারি না

মো নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ-
মরিয়ম আক্তারের বুকের ভিতর মাকড়সার মতো শিকড় ছড়িয়ে আছে। যা বুকের ভিতর ধীরে ধীরে গভীরতায় যাচ্ছে। ১১ বছর বয়সী মরিয়ম শহরের ৯নং ওয়ার্ড কলাবাগান এলাকার সৈয়দ হালিমা মোয়াজ্জেম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবা রহিম হোসেন পায়ে চালিত রিক্সায় উপার্জন করে জীবীকা নির্বাহ করেন। মা নুপুর বেগম গৃহিনী। রহিম-নুপুর দম্পতির কন্যা শুধু মরিয়মই না, জান্নাতি আক্তার (৯) ওই বিদ্যালয়েরই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং দেড় বছর বয়সী আলিফা। মা নুপুর বেগম জানান, ৫/৬বছর পূর্বে মরিয়মের বুকের উপর মাকড়সার মতো দেখা যায়।
তখন থেকেই এক এক করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সব ডাক্তার দেখিয়েছি। তাতে কোন উপকার না পাওয়ায় ওখানকার ডাক্তারদের পরামর্শ পাই সার্জারী ডাক্তার দেখানোর। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কর্মকারের ঝালকাঠির একটি বেসরকারী চেম্বারে তাকে দেখাই। ৬মাস তার তত্বাবধানে চিকিৎসা নেই। অনেক ধরনের ওষুধ ও মলম ব্যবহার করতে হয়। শেষ পর্যন্ত কোন উপকারেই আসেনি। ৬মাস পরে সার্জারী ডাক্তারও বলে দেয় এখন আর আমার হাতে কিছু নেই। আপনারা ঢাকা নিয়ে বড় ডাক্তার দেখান, অপারেশন করতে হবে।
নুপুর বেগম আরো জানান, স্কুল সংলগ্ন ছোট একটি ঘরে ভাড়া থাকি। রিক্সা চালিয়ে যা পায় তাতে কোন রকম চলে। স্বামীর বাড়িতেও কোন জমিজমা নেই। দিন আনি, দিন খাই। আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টের, তারপরে এতো টাকা কোথায় পাবো।  সামনে ঈদ, ছোট ছোট বাচ্চা। ওরাও নতুন কাপড়ের জন্য কান্নাকাটি করে। কিন্তু কি করবো। মাইয়াডারেই তো ডাক্তার দেখাতে পারি না, ঈদ পালন করমু কিভাবে? সৈয়দ হালিমা মোয়াজ্জেম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়মা মনি জানান, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম আক্তার একটি দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তার বুকের মাঝখানে একটি মাকড়সার মতো হয়েছে,যা বুকের ভিতর শিকর তৈরি করে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ডাঃ রোগের কোন নাম বলতে পারছেনা।
এটি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। মেয়েটির বাবা রিক্সাচালক। তার পক্ষে এতোবড় অপারেশন করা সম্ভব নয়। রোজার মাসে আমরা অনেক যাকাত দিয়ে থাকি। যদি মেয়েটিকে বাচানোর জন্য সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, তাহলে সবার বিন্দু বিন্দু সাহায্যই মেয়েটির চিকিৎসা সম্ভব। বিকাশ নম্বর ০১৭৭৩৯৬৯৯২২ (মরিয়মের বাবার নম্বর) এই নম্বরে আপনাদের সহায়তা পাঠিয়ে দিন।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মোগো আবার কিসের ঈদ আনন্দ মাইয়ারেই ডাক্তার দেখাইতে পারি না

আপডেট সময় ০২:০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
মো নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ-
মরিয়ম আক্তারের বুকের ভিতর মাকড়সার মতো শিকড় ছড়িয়ে আছে। যা বুকের ভিতর ধীরে ধীরে গভীরতায় যাচ্ছে। ১১ বছর বয়সী মরিয়ম শহরের ৯নং ওয়ার্ড কলাবাগান এলাকার সৈয়দ হালিমা মোয়াজ্জেম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবা রহিম হোসেন পায়ে চালিত রিক্সায় উপার্জন করে জীবীকা নির্বাহ করেন। মা নুপুর বেগম গৃহিনী। রহিম-নুপুর দম্পতির কন্যা শুধু মরিয়মই না, জান্নাতি আক্তার (৯) ওই বিদ্যালয়েরই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং দেড় বছর বয়সী আলিফা। মা নুপুর বেগম জানান, ৫/৬বছর পূর্বে মরিয়মের বুকের উপর মাকড়সার মতো দেখা যায়।
তখন থেকেই এক এক করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সব ডাক্তার দেখিয়েছি। তাতে কোন উপকার না পাওয়ায় ওখানকার ডাক্তারদের পরামর্শ পাই সার্জারী ডাক্তার দেখানোর। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কর্মকারের ঝালকাঠির একটি বেসরকারী চেম্বারে তাকে দেখাই। ৬মাস তার তত্বাবধানে চিকিৎসা নেই। অনেক ধরনের ওষুধ ও মলম ব্যবহার করতে হয়। শেষ পর্যন্ত কোন উপকারেই আসেনি। ৬মাস পরে সার্জারী ডাক্তারও বলে দেয় এখন আর আমার হাতে কিছু নেই। আপনারা ঢাকা নিয়ে বড় ডাক্তার দেখান, অপারেশন করতে হবে।
নুপুর বেগম আরো জানান, স্কুল সংলগ্ন ছোট একটি ঘরে ভাড়া থাকি। রিক্সা চালিয়ে যা পায় তাতে কোন রকম চলে। স্বামীর বাড়িতেও কোন জমিজমা নেই। দিন আনি, দিন খাই। আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টের, তারপরে এতো টাকা কোথায় পাবো।  সামনে ঈদ, ছোট ছোট বাচ্চা। ওরাও নতুন কাপড়ের জন্য কান্নাকাটি করে। কিন্তু কি করবো। মাইয়াডারেই তো ডাক্তার দেখাতে পারি না, ঈদ পালন করমু কিভাবে? সৈয়দ হালিমা মোয়াজ্জেম সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়মা মনি জানান, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম আক্তার একটি দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তার বুকের মাঝখানে একটি মাকড়সার মতো হয়েছে,যা বুকের ভিতর শিকর তৈরি করে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ডাঃ রোগের কোন নাম বলতে পারছেনা।
এটি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। মেয়েটির বাবা রিক্সাচালক। তার পক্ষে এতোবড় অপারেশন করা সম্ভব নয়। রোজার মাসে আমরা অনেক যাকাত দিয়ে থাকি। যদি মেয়েটিকে বাচানোর জন্য সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, তাহলে সবার বিন্দু বিন্দু সাহায্যই মেয়েটির চিকিৎসা সম্ভব। বিকাশ নম্বর ০১৭৭৩৯৬৯৯২২ (মরিয়মের বাবার নম্বর) এই নম্বরে আপনাদের সহায়তা পাঠিয়ে দিন।