আব্দুল্লাহ আল-ফারুক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন জারি করা অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০২২ বাতিল, সকল মাদকদ্রব্য ও মদ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখা। মঙ্গলবার (২২ই ফেব্রুয়ারী) সকালে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে হাউজিং এস্টেট পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। নগর সেক্রেটারি সিদ্দিক আহমদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-ফারুক।
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আব্দুল্লাহ আল-ফারুক বলেন, ইসলামে মদকে হারাম বলা হয়েছে। আর এ সরকার হারামকে হালাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার মদের লাইসেন্স দিয়ে এদেশের মুসলমানদের কলিজায় আগাত দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশে মাদকের নেশায় যুবসমাজ আজ ধ্বংসের অতলতলে নিমজ্জিত। মাদকের ছোঁয়ায় সম্ভাবনাময় তারুণরা অধঃ পতনের চরম শিখরে উপনীত হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে তত যেন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার এদিকে নজর না দিয়ে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে বয়স একুশ হলেই মদ খাওয়ার লাইসেন্স দিচ্ছে।
দেশ কী এখন মদ্যপ-দের হাতে চলে গেছে নাকি মদ্যপরাই দেশ চালাচ্ছে? তিনি আরো বলেন, আগামীর প্রজন্মকে দেশপ্রেম এবং ইসলামী চেতনা থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার জন্যই সরকার মদের লাইসেন্স দেওয়ার পায়তারা করছে। এদেশকে তারা তাদের প্রভু রাষ্ট্র ভারতের অঙ্গরাজ্যে হিসেবে পরিণত করতে চায়। সরকার বলে বেড়াচ্ছে দেশ নাকি এখন মদিনার সনদে পরিচালনা হচ্ছে এই হচ্ছে তার নমুনা। সরকার কোরআনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে আর এদেশের মানুষ ঘরে বসে থাকবে তা ভাবলে চলবে না। আল্লাহর বিধান ধরে রাখার জন্য এ দেশের মানুষ জীবন দেবে। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশে মদের দোকান কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে মদের অবাধ লাইসেন্স প্রদানের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর শিবিরের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরর।