ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নগরীর বটতলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেলকোনিতে পথচারীদের আতঙ্ক মির্জাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ সিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসে আর এমপি’র পুলিশ কমিশনারের শ্রদ্ধা রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যোগ হলো আরো দুটি এসটিএস, উদ্বোধন করলেন মাননীয় সিটি মেয়র গণহত্যা দিবসে রাসিকের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর বাবুর সহায়তায় ওএমএস এর চাউল পেল ৩ শতাদিক পরিবার আমতলীতে গনহত্যা দিবস পালিত জগন্নাথপুরের হাতিরঝিলের আদলে নলজুর সেতু’র কাজ শুরু আমতলীতে সড়ক অবৈধ দখল মুক্ত করতে মোবাইল কোর্ট ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস স্মরণে দীপশিখা প্রজ্বলন ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান বুড়িচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে চালককে হত্যা দশমিনা কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৫৫ বার পড়া হয়েছে

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন না করে চীর উন্নত মম শীর নামক স্থানে করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে জিয়ার মাজার বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে রেজিস্টার বরাবর তারা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হল : আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে (কলা অনুষদের )পাশের চুরুলিয়া মঞ্চের পেছনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ শহীদ মিনারটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার খোঁজখবর রাখার মতো কেউ নেই ।আজ অমর একুশে তবুও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অন্ধকারে নিমজ্জিত । ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতি কে স্মরণ করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।হাজার ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন।মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ৯৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে গুলিতে নিহত হয় জব্বার রফিক সালাম বরকত সহ আরো অনেকে।
এমতাবস্থায় জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো কিসের বা তাদের চক্রান্ত ভিত্তিহীন ও স্মৃতিহীন কাঠামো চির উন্নত মম শির।কোন কুচক্রী মহলের স্বার্থে শ্রদ্ধা জানানো হয়, আমাদের জানামতে ভিত্তিহীন অবকাঠামো নির্মাণমাত্র।গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদদের অবমাননার সাথে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ বা দ্বিধা প্রকাশ করে।আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি একটি ভাবমূর্তি হীন ভিত্তিহীন চির উন্নত মম শির এটি বাংলাদেশের কোন ভাবমূর্তি ইতিহাস বহন করেনা।এটি একটি অবকাঠামো নির্মাণ মাত্র। যতদ্রুত সম্ভব চির উন্নত মম শির যাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।কেননা এটি দেশ ও ইতিহাস বিরোধী একটি মহলের চক্রান্ত যাতে করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের অবমাননা করার নিমিত্তে  সরকার এবং রাষ্ট্রের ভিত্তিহীন পরিকল্পনায় রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় কারীর শাস্তি চাই।কার বা কাদের চক্রান্তে জিয়ার মাজার বানিয়ে চির উন্নত মম শির নামকরণ করা হয়।
অতএব, আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি জিয়ার মাজার খ্যাত চির উন্নত মম শির পরিত্যাগ করে ভাষা আন্দোলনের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় তাহলে সবার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগে শ্রদ্ধা জানানো হোক তাছাড়া ভাষা শহীদদের অবমাননা এবং ভাষা শহীদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।এছাড়া কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের কার্ডে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধিক্ষার জানায়।
এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিক বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত অবহেলিত শহীদ মিনার বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই।  আশাকরি, মাননীয় ভিসি  স্যার আমাদের কে মনোরম পরিবেশে একটি বড় ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) উপহার দিবেন এটাই এ বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রত্যাশা। একই সাথে সকল রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান নতুন শহীদ মিনার কমপ্লেক্সে হবে। রাত ১২টার পরিবর্তে ভোর সকালে প্রভাতফেরি হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াল ২৫ মার্চ, গনহত্যা দিবসে মোংলায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন না করে চীর উন্নত মম শীর নামক স্থানে করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে জিয়ার মাজার বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে রেজিস্টার বরাবর তারা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হল : আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে (কলা অনুষদের )পাশের চুরুলিয়া মঞ্চের পেছনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ শহীদ মিনারটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার খোঁজখবর রাখার মতো কেউ নেই ।আজ অমর একুশে তবুও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অন্ধকারে নিমজ্জিত । ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতি কে স্মরণ করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।হাজার ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন।মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ৯৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে গুলিতে নিহত হয় জব্বার রফিক সালাম বরকত সহ আরো অনেকে।
এমতাবস্থায় জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো কিসের বা তাদের চক্রান্ত ভিত্তিহীন ও স্মৃতিহীন কাঠামো চির উন্নত মম শির।কোন কুচক্রী মহলের স্বার্থে শ্রদ্ধা জানানো হয়, আমাদের জানামতে ভিত্তিহীন অবকাঠামো নির্মাণমাত্র।গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদদের অবমাননার সাথে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ বা দ্বিধা প্রকাশ করে।আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি একটি ভাবমূর্তি হীন ভিত্তিহীন চির উন্নত মম শির এটি বাংলাদেশের কোন ভাবমূর্তি ইতিহাস বহন করেনা।এটি একটি অবকাঠামো নির্মাণ মাত্র। যতদ্রুত সম্ভব চির উন্নত মম শির যাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।কেননা এটি দেশ ও ইতিহাস বিরোধী একটি মহলের চক্রান্ত যাতে করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের অবমাননা করার নিমিত্তে  সরকার এবং রাষ্ট্রের ভিত্তিহীন পরিকল্পনায় রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় কারীর শাস্তি চাই।কার বা কাদের চক্রান্তে জিয়ার মাজার বানিয়ে চির উন্নত মম শির নামকরণ করা হয়।
অতএব, আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি জিয়ার মাজার খ্যাত চির উন্নত মম শির পরিত্যাগ করে ভাষা আন্দোলনের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় তাহলে সবার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগে শ্রদ্ধা জানানো হোক তাছাড়া ভাষা শহীদদের অবমাননা এবং ভাষা শহীদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।এছাড়া কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের কার্ডে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধিক্ষার জানায়।
এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিক বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত অবহেলিত শহীদ মিনার বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই।  আশাকরি, মাননীয় ভিসি  স্যার আমাদের কে মনোরম পরিবেশে একটি বড় ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) উপহার দিবেন এটাই এ বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রত্যাশা। একই সাথে সকল রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান নতুন শহীদ মিনার কমপ্লেক্সে হবে। রাত ১২টার পরিবর্তে ভোর সকালে প্রভাতফেরি হবে।