বাংলাদেশ ০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা সেতু উত্তর এলাকা হতে ১৩০০ পিস ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ পিরোজপুরের উৎসবমূখর পরিবেশে তিনটি আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে ৩৩ জন প্রার্থী শেষবার  আমাকে সুযোগ দিন আমি জনগণের হয়ে কাজ করব জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগদান সাথে নেই কোন দলের নেতাকর্মী প্রতিমন্ত্রী পলকের আসনে নির্বাচনী প্রতিদন্দী প্রার্থী-১২ জন বদলগাছীতে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন হোসেনপুরে পানচাষে বাজিমাৎ  সিংড়ায় কাজের জন্য এসে রংপুরের কৃষকের মৃত্যু ডাক্তার আলী হোসেন আর নেই নওগাঁয় জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি’র মোট ৫৭ জন নেতা-কর্মী প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ফারুক চৌধুরী তথা নৌকাকে ঘিরতেই চার প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল বদলগাছীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা বাংলাদেশ আওয়ামী মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী  হবিগঞ্জে চাঁদের হাসি হাসপাতালের ডাক্তার হালিমা নাজনীন মিলির ভুল চিকিৎসায় গৃহবধুর জীবন বিপন্ন রাজাপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে মনিরের মনোনয়নপত্র দাখিল
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৯৮ বার পড়া হয়েছে

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন না করে চীর উন্নত মম শীর নামক স্থানে করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে জিয়ার মাজার বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে রেজিস্টার বরাবর তারা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হল : আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে (কলা অনুষদের )পাশের চুরুলিয়া মঞ্চের পেছনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ শহীদ মিনারটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার খোঁজখবর রাখার মতো কেউ নেই ।আজ অমর একুশে তবুও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অন্ধকারে নিমজ্জিত । ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতি কে স্মরণ করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।হাজার ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন।মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ৯৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে গুলিতে নিহত হয় জব্বার রফিক সালাম বরকত সহ আরো অনেকে।
এমতাবস্থায় জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো কিসের বা তাদের চক্রান্ত ভিত্তিহীন ও স্মৃতিহীন কাঠামো চির উন্নত মম শির।কোন কুচক্রী মহলের স্বার্থে শ্রদ্ধা জানানো হয়, আমাদের জানামতে ভিত্তিহীন অবকাঠামো নির্মাণমাত্র।গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদদের অবমাননার সাথে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ বা দ্বিধা প্রকাশ করে।আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি একটি ভাবমূর্তি হীন ভিত্তিহীন চির উন্নত মম শির এটি বাংলাদেশের কোন ভাবমূর্তি ইতিহাস বহন করেনা।এটি একটি অবকাঠামো নির্মাণ মাত্র। যতদ্রুত সম্ভব চির উন্নত মম শির যাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।কেননা এটি দেশ ও ইতিহাস বিরোধী একটি মহলের চক্রান্ত যাতে করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের অবমাননা করার নিমিত্তে  সরকার এবং রাষ্ট্রের ভিত্তিহীন পরিকল্পনায় রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় কারীর শাস্তি চাই।কার বা কাদের চক্রান্তে জিয়ার মাজার বানিয়ে চির উন্নত মম শির নামকরণ করা হয়।
অতএব, আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি জিয়ার মাজার খ্যাত চির উন্নত মম শির পরিত্যাগ করে ভাষা আন্দোলনের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় তাহলে সবার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগে শ্রদ্ধা জানানো হোক তাছাড়া ভাষা শহীদদের অবমাননা এবং ভাষা শহীদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।এছাড়া কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের কার্ডে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধিক্ষার জানায়।
এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিক বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত অবহেলিত শহীদ মিনার বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই।  আশাকরি, মাননীয় ভিসি  স্যার আমাদের কে মনোরম পরিবেশে একটি বড় ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) উপহার দিবেন এটাই এ বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রত্যাশা। একই সাথে সকল রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান নতুন শহীদ মিনার কমপ্লেক্সে হবে। রাত ১২টার পরিবর্তে ভোর সকালে প্রভাতফেরি হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা সেতু উত্তর এলাকা হতে ১৩০০ পিস ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবহেলিত!

আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন না করে চীর উন্নত মম শীর নামক স্থানে করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে জিয়ার মাজার বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে রেজিস্টার বরাবর তারা অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরা হল : আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে (কলা অনুষদের )পাশের চুরুলিয়া মঞ্চের পেছনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অবস্থিত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ শহীদ মিনারটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার খোঁজখবর রাখার মতো কেউ নেই ।আজ অমর একুশে তবুও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি অন্ধকারে নিমজ্জিত । ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মৃতি কে স্মরণ করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে রাতারাতি ছাত্রদের দ্বারা গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।হাজার ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন।মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ৯৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে গুলিতে নিহত হয় জব্বার রফিক সালাম বরকত সহ আরো অনেকে।
এমতাবস্থায় জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো কিসের বা তাদের চক্রান্ত ভিত্তিহীন ও স্মৃতিহীন কাঠামো চির উন্নত মম শির।কোন কুচক্রী মহলের স্বার্থে শ্রদ্ধা জানানো হয়, আমাদের জানামতে ভিত্তিহীন অবকাঠামো নির্মাণমাত্র।গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদদের অবমাননার সাথে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।যাতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ বা দ্বিধা প্রকাশ করে।আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি একটি ভাবমূর্তি হীন ভিত্তিহীন চির উন্নত মম শির এটি বাংলাদেশের কোন ভাবমূর্তি ইতিহাস বহন করেনা।এটি একটি অবকাঠামো নির্মাণ মাত্র। যতদ্রুত সম্ভব চির উন্নত মম শির যাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।কেননা এটি দেশ ও ইতিহাস বিরোধী একটি মহলের চক্রান্ত যাতে করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের অবমাননা করার নিমিত্তে  সরকার এবং রাষ্ট্রের ভিত্তিহীন পরিকল্পনায় রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় কারীর শাস্তি চাই।কার বা কাদের চক্রান্তে জিয়ার মাজার বানিয়ে চির উন্নত মম শির নামকরণ করা হয়।
অতএব, আমাদের সকল শিক্ষার্থীর দাবি জিয়ার মাজার খ্যাত চির উন্নত মম শির পরিত্যাগ করে ভাষা আন্দোলনের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় তাহলে সবার আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগে শ্রদ্ধা জানানো হোক তাছাড়া ভাষা শহীদদের অবমাননা এবং ভাষা শহীদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।এছাড়া কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের কার্ডে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে চির উন্নত মম শির শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধিক্ষার জানায়।
এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিক বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত অবহেলিত শহীদ মিনার বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই।  আশাকরি, মাননীয় ভিসি  স্যার আমাদের কে মনোরম পরিবেশে একটি বড় ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) উপহার দিবেন এটাই এ বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রত্যাশা। একই সাথে সকল রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান নতুন শহীদ মিনার কমপ্লেক্সে হবে। রাত ১২টার পরিবর্তে ভোর সকালে প্রভাতফেরি হবে।