মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ
লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান বলেছেন, ভাষার জন্য আত্মবিসর্জনের ইতিহাস একমাত্র আমরা বাঙালিরাই গড়েছি। আজ তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এবং শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হতো।
২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের ১৯১টি দেশ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে মর্যাদার সঙ্গে। এটি এক গৌরবময় ইতিহাস। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ফোরাম ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে বিশ্বের প্রতিটি ভাষার জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অতঃপর এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষে ইউনেসকোতে পাঠানো হয়।
আমাদের সৌভাগ্য, তখন আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে জাতিসংঘে ও প্যারিসে গিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিচক্ষণতায় একুশে ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরব অর্জন করে। সোমবার রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ইউনেসকোর ৩১তম সম্মেলনে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তাবটি ১৮৮ দেশের সমর্থনে পাশ হয়। ভাষার জন্য আত্মবিসর্জনের দৃষ্টান্ত স্থাপনের ইতিহাস আন্তর্জাতিক মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আনোয়ার হোসেন খান মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ক. ম রুহুল আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন, রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক, সাবেক মেয়র, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি বেলাল আহমেদসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীসহ প্রমুখ।