বাংলাদেশ ০১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এক নারী সহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে আহমদ হোসেন এর সাথে পূর্বধলার গণমাধ্যম কর্মীদের কুশল বিনিময়   রোগ মুক্তি কামনায় ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের  উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মায়ের হত্যার বিচার করতে, বিপাশা হতে চায় পুলিশ বিএনপি জামায়াত সবাই কইব বিয়া কর-বিয়া কর, চুন কিন্তু কেউ দিত না নওগাঁর বদলগাছীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত  খনিজ পদার্থের সন্ধানে পীরগঞ্জে কূপ খনন উদ্বোধন পিরোজপুরের নেছারাবাদে অসহায় ও দুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব  রাঙ্গাবালীতে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম এর আহ্বায়ক কমিটি গঠন নেত্রকোণা সংসদীয়  ৫টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ৩৬ জন মধুপুরে আবারও বেড়ে গেল পেঁয়াজের দাম রাজস্থীতে শান্তি চুক্তি ২৬ বছর পূর্তি উদযাপন  কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় রায়গঞ্জে দিন দিন বাড়ছে ভূট্টা চাষ

মিঠাপুকুরে ডাইল রাজুর দৌরাত্ম্য থামছেই না বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৭৩ বার পড়া হয়েছে

মিঠাপুকুরে ডাইল রাজুর দৌরাত্ম্য থামছেই না বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

রংপুর-মিঠাপুকুর প্রতিনিধিঃ
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগন্জ বাসষ্টান্ড তথা পূরো ইউনিয়ন জুড়ে ১ ডজন মাদক ব্যবসায়ীর পৃষ্ঠ-পোষক “ডাইল”রাজুর দৌরাত্ম্য থামছেই না। বৃহৎ এই মাদক ব্যবসায়ীর পরিবার বা তার বংশের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজন। ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন ডাইল রাজুর নেতৃত্বে গড়া ভয়ংকর এই মাদক কারবারিরা। দেড় যুগের অধিক সময় ধরে চলমান রয়েছে ফেন্সিডিল ব্যবসা। মাদকের আঁকড়ায় পরিনত করেছেন পায়রাবন্দ ইউনিয়নকে।
ডাইল রাজু তার অপবাদ মোচনের জন্য এবং মাদক কারবার হামেশাই চালানোর জন্য সদ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে কালো টাকা ব্যবহার করে ইউপি- সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্ধীরা। কিভাবে এই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হলেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।
এদিকে এই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর সব তথ্য।ডাইল রাজু ক্লাশ সেভেনে পড়া অবস্থায় তার বোন রোকছানার লাইনম্যান হিসেবে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। অতঃপর তার ভাই রাজা মিয়া,ভাবি রুমি বেগম, দুলাভাই আমিন,ভাগ্নে রফিক,শাকিল,নুরবানু,বেয়াইন মনজিলা,ভাগ্নে বউ নাজমীনসহ জামাই এবং নিজে ৪ টি বিয়ে করে নামিয়ে দেন ফেন্সিডিল পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়।গড়ে তুলেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদক ব্যবসায়ী পরিবার।
ডাইল রাজু মাদকের কালো টাকায় কয়েকটি ট্রাক,লেগুনাসহ গাড়ি,বাড়ীর মালিক হয়ে যান। চূহড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেই চলে তার মাদকের রামরাজত্ব।ফেন্সিডিল সরবরাহের শ্রমিক হিসবে রেখেছেন শিশুদেরসহ এনামুল,বাবারদের।
ফেন্সিডিল সংক্রান্ত নিউজ করতে গিয়ে ২০১৪ সালে নির্মম হত্যার শিকার হন সাংবাদিক উৎস রহমান।যে হত্যার নেতৃত্ব-দেন রাজু মেম্বারের বোন রোকছানা,ভাই,ভাগ্নে রুবেল,এবং রাজু মেম্বারের স্ত্রী জহিরুন আক্তার জুঁই (গেদি)-সহ তাদের ভাড়াটে খুনিরা,যা আদালতে এখনো বিচারাধীন।ডাইল রাজুসহ  এইসব মাদক কারবারিদের রয়েছে প্রায় অর্ধশত মামলা।
ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে মাদকের বিরোধিতা করতে গিয়ে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তিকে ৯ টি ভুতুড়ে মামলাসহ প্রায় কয়েকজনকে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে।ফেন্সিডিল পাচার করতে গিয়ে কয়েকজন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছেড়েছেন বলে জানা যায়।সাংবাদিকদের হেনস্তা,হুমকিসহ ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে জিডি,এমনকি মাদকের অভিযানে গেলে  প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ও রয়েছে এই মাদক কারবারিদের নামে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের গ্রেফতারে কোন ছাড় নেই। একটু সময় লাগবে। কাজ শুরু করেছি।

ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

মিঠাপুকুরে ডাইল রাজুর দৌরাত্ম্য থামছেই না বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
রংপুর-মিঠাপুকুর প্রতিনিধিঃ
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগন্জ বাসষ্টান্ড তথা পূরো ইউনিয়ন জুড়ে ১ ডজন মাদক ব্যবসায়ীর পৃষ্ঠ-পোষক “ডাইল”রাজুর দৌরাত্ম্য থামছেই না। বৃহৎ এই মাদক ব্যবসায়ীর পরিবার বা তার বংশের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজন। ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন ডাইল রাজুর নেতৃত্বে গড়া ভয়ংকর এই মাদক কারবারিরা। দেড় যুগের অধিক সময় ধরে চলমান রয়েছে ফেন্সিডিল ব্যবসা। মাদকের আঁকড়ায় পরিনত করেছেন পায়রাবন্দ ইউনিয়নকে।
ডাইল রাজু তার অপবাদ মোচনের জন্য এবং মাদক কারবার হামেশাই চালানোর জন্য সদ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে কালো টাকা ব্যবহার করে ইউপি- সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্ধীরা। কিভাবে এই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ইউপি-সদস্য নির্বাচিত হলেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।
এদিকে এই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর সব তথ্য।ডাইল রাজু ক্লাশ সেভেনে পড়া অবস্থায় তার বোন রোকছানার লাইনম্যান হিসেবে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। অতঃপর তার ভাই রাজা মিয়া,ভাবি রুমি বেগম, দুলাভাই আমিন,ভাগ্নে রফিক,শাকিল,নুরবানু,বেয়াইন মনজিলা,ভাগ্নে বউ নাজমীনসহ জামাই এবং নিজে ৪ টি বিয়ে করে নামিয়ে দেন ফেন্সিডিল পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়।গড়ে তুলেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদক ব্যবসায়ী পরিবার।
ডাইল রাজু মাদকের কালো টাকায় কয়েকটি ট্রাক,লেগুনাসহ গাড়ি,বাড়ীর মালিক হয়ে যান। চূহড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেই চলে তার মাদকের রামরাজত্ব।ফেন্সিডিল সরবরাহের শ্রমিক হিসবে রেখেছেন শিশুদেরসহ এনামুল,বাবারদের।
ফেন্সিডিল সংক্রান্ত নিউজ করতে গিয়ে ২০১৪ সালে নির্মম হত্যার শিকার হন সাংবাদিক উৎস রহমান।যে হত্যার নেতৃত্ব-দেন রাজু মেম্বারের বোন রোকছানা,ভাই,ভাগ্নে রুবেল,এবং রাজু মেম্বারের স্ত্রী জহিরুন আক্তার জুঁই (গেদি)-সহ তাদের ভাড়াটে খুনিরা,যা আদালতে এখনো বিচারাধীন।ডাইল রাজুসহ  এইসব মাদক কারবারিদের রয়েছে প্রায় অর্ধশত মামলা।
ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে মাদকের বিরোধিতা করতে গিয়ে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তিকে ৯ টি ভুতুড়ে মামলাসহ প্রায় কয়েকজনকে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে।ফেন্সিডিল পাচার করতে গিয়ে কয়েকজন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছেড়েছেন বলে জানা যায়।সাংবাদিকদের হেনস্তা,হুমকিসহ ডাইল রাজুর বিরুদ্ধে জিডি,এমনকি মাদকের অভিযানে গেলে  প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ও রয়েছে এই মাদক কারবারিদের নামে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের গ্রেফতারে কোন ছাড় নেই। একটু সময় লাগবে। কাজ শুরু করেছি।