ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ লালপুরে কৃষি বীজ, চেক ও সেলাই মেশিন বিতরণ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই এবং অনুমোদনহীন ও নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা অভিনব কায়দায় ০২ টি প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ কুমিল্লায় র‌্যাব সদস্যের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো ছোট শিশু ইসরাতের র‌্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ০২ টি খাবার তৈরী প্রতিষ্ঠান এবং ০২ টি আয়রন রড, শীট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান’কে জরিমানা ভান্ডারিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে এসআইয়ের ওপর মাদক কারবারির হামলা পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে যশোরে দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার উদ্বোধন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের কন্ট্রোলারের শ্রদ্ধা মুলাদীতে সিনিয়র আইনজীবি মজিবুর রহমান দুলালের মৃত্যুতে বিভিন্ন জনের শোক॥ মুলাদীতে সর্বজনীন কল্যানে ইসলামী ব্যাংকিং শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল॥ প্রথম আলো’র সম্পাদকের উপর মামলার ঘটনায় সিলেট জেলা বিএনপির নিন্দা জামালগঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ার হিড়িক থানায় জিডি দায়ের

কেশবপুর শহীদ মিনার তৈরি করলো খুদে শিশুর দল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৬৩ বার পড়া হয়েছে

কেশবপুর শহীদ মিনার তৈরি করলো খুদে শিশুর দল

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

এনামুল হাসান নাঈম:  

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে ওরা পাঁচজন। পাটকাঠি ও নরমাল কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছে। সময় লেগেছে তিন ঘন্টা। আজ সোমবার সেই শহীদ মিনারে বাগানের বিভিন্ন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

ওই পাঁচজনের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে। কেউ পড়ে প্রথম শ্রেণিতে কেউবা অষ্টম শ্রেণিতে। ওরা জানায়, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও বড়দের কাছ থেকে শহীদ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জেনেছে ওরা। তাই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার বানিয়েছে।

পাঁচ কারিগর হলো মাহিম  (৭), তোহা  (২), হুমায়রা (২), শামীম (৭), এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছে মো: ফাহিম ও শামীম

জানায়,  সোমবার ওরা পরিকল্পনা করেই সকাল থেকে শহীদ মিনার গড়ার কাজে লেগে পড়ে। তিন ঘন্টার মধ্যেই গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।  সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তারা। পরে বড়রাও ফুল দেন।

মো: ফাহিম ও শামীম বলে, তাদের গ্রামের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হলে যেতে হয় তিন কিলোমিটার। তাই শহীদ মিনার তৈরি করেছে তারা। তাদের কাজ দেখে প্রথমে কেউ উৎসাহ না দিলেও পরে বাড়ির দাদি, মা, চাচি ও বড় ভাইবোনেরা সাহায্য করেছেন।

মো: ফাহিম বাবা  ডা : বাইজিদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে একটি করে শহীদ মিনার থাকলে সবাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন। এতে শিশুরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতো।

গ্রামটির বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষকা মোছাঃ শায়েদা খাতুন  বলেন, ‘এই শিশুদের দেশপ্রেম দেখে অভিভূত হয়েছি। মিনারটিতে প্রত্যেকের দেওয়া একেকটি ফুলে মিশে রয়েছে তাদের শ্রদ্ধা আর অগাধ ভালোবাসা।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

কেশবপুর শহীদ মিনার তৈরি করলো খুদে শিশুর দল

আপডেট সময় ১১:২০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

এনামুল হাসান নাঈম:  

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে ওরা পাঁচজন। পাটকাঠি ও নরমাল কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছে। সময় লেগেছে তিন ঘন্টা। আজ সোমবার সেই শহীদ মিনারে বাগানের বিভিন্ন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

ওই পাঁচজনের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর গ্রামে। কেউ পড়ে প্রথম শ্রেণিতে কেউবা অষ্টম শ্রেণিতে। ওরা জানায়, স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও বড়দের কাছ থেকে শহীদ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জেনেছে ওরা। তাই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার বানিয়েছে।

পাঁচ কারিগর হলো মাহিম  (৭), তোহা  (২), হুমায়রা (২), শামীম (৭), এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছে মো: ফাহিম ও শামীম

জানায়,  সোমবার ওরা পরিকল্পনা করেই সকাল থেকে শহীদ মিনার গড়ার কাজে লেগে পড়ে। তিন ঘন্টার মধ্যেই গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।  সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তারা। পরে বড়রাও ফুল দেন।

মো: ফাহিম ও শামীম বলে, তাদের গ্রামের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হলে যেতে হয় তিন কিলোমিটার। তাই শহীদ মিনার তৈরি করেছে তারা। তাদের কাজ দেখে প্রথমে কেউ উৎসাহ না দিলেও পরে বাড়ির দাদি, মা, চাচি ও বড় ভাইবোনেরা সাহায্য করেছেন।

মো: ফাহিম বাবা  ডা : বাইজিদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে একটি করে শহীদ মিনার থাকলে সবাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন। এতে শিশুরা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতো।

গ্রামটির বাসিন্দা ও মাদরাসা শিক্ষকা মোছাঃ শায়েদা খাতুন  বলেন, ‘এই শিশুদের দেশপ্রেম দেখে অভিভূত হয়েছি। মিনারটিতে প্রত্যেকের দেওয়া একেকটি ফুলে মিশে রয়েছে তাদের শ্রদ্ধা আর অগাধ ভালোবাসা।