রিয়াজ আহমেদ হান্নানঃ
ইউটিউবে চেরি টমেটো চাষ পদ্ধতি দেখে এবং এর গুণগত মান, চাহিদা ও দাম সম্পর্কে জেনে উদ্বুদ্ধ হয়ে শখের বসে ইতালি জাতের চেরি টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন উল্লাপাড়ার খায়রুস সালাম। দেখতে সুন্দর, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ টমেটোর ফলনও হয়েছে দ্বিগুণ। খায়রুস সালামের এ চাষ পদ্ধতি ও ফলন দেখে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে। প্রচুর ফলন হওয়ায় অন্য কৃষক ও বেকার যুবকরা উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন এই টমেটো চাষে। আর ফলন ভালো এবং বাজারে চাহিদা থাকায় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এ টমেটো নিয়ে।
উল্লাপাড়ার মাটিতে থোকায় থোকায় ঝুলে রয়েছে ইতালির ‘চেরি টমেটো’। ঢাকা সাভার নার্সারি থেকে ২০০ পিচ উন্নত জাতের চেরি টমেটো জাতের চারা সংগ্রহ করে প্রথমবার উল্লাপাড়া উপজেলার ভেংড়ি এলাকায় ২৫ শতাংশ জমিতে চাষ শুরু করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে অডিটর সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্ট ফ্রিল্যান্সিং সরকারি কর্মকর্তা খাইরুস সালাম । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টমেটোর ফলন হয়েছে ভালো।
খাইরুস সালাম বলেন, চেরি টমেটো আকারে আঙুরের চেয়ে কিছুটা বড়। এই টমেটো কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকলেও পাকলে তা গাঢ় লাল ও কমলা রং ধারণ করে। সাধারণত ৯০ দিন পরপর ফলন পাওয়া যায়। এটি শীত প্রধান দেশের ফসল হলেও এ দেশের আবহাওয়াতেও ফলন হয়েছে আশানুরূপ। প্রতিটি গাছ থেকে সাত থেকে আট কেজি টমেটো ধারণা করছেন এই উদ্যোক্তা।অরগানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে এর উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি।
সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও অনেক। বর্তমানে চেরি টমেটো স্থানীয় বাজারে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই টমেটোর চাষে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। উৎপাদন বেশি এবং বাজারে চাহিদা থাকায় অনেক লাভবান হতে পারবেন বলে জানালেন তিনি ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষাবাদ হয়েছে। নতুন জাতের এই টমেটো চাষে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ টমেটো উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে খাইরুস সালাম কে সব ধরনের সহযোগিতাও করা হচ্ছে।