হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিন দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিবেশ নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জে.বি এন্টারপ্রাইজকে হাসপাতালটিতে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকালে রোগীদের একমুঠো চিড়া, একটি সিদ্ধ ডিম, এক চা চামচ চিনি এবং দুপুরে একটু করো পল্ট্রিমুরগীর গোশ, ১০০ গ্রাম মোটা চালের ভাত ও ডাল দিতে দেখা যায়। তবে রাতে কোনো খাবার দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন একাধিক রোগী ও তাদের সজনরা।

কিন্তু টেন্ডারের শর্ত অনুয়ায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটিতে সপ্তাহে রোগীদের চারদিন মাছ এবং দু’দিন মাংস দেওয়ার কথা। প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর জন্য প্রতিদিন ১২৫ টাকা খাবারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের সকালে দুইটি পাউরুটি, দুইটি সিদ্ধ ডিম, একটি কলা, ২০ গ্রাম চিনি। দুপুরে ও রাতে ১০০ গ্রাম মাছ, ২০০ গ্রাম ভাত, ২০ গ্রাম ডাল এবং পরিমাণ মত সবজি দেওয়ার কথা। কিন্তু পল্ট্রিমুরগীর মাংস, মোটা চালের ভাতসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা। রোগীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি কয়েকবার বলার পরও কোনো কর্ণপাত করেনি ঠিকাদারের নিযুক্ত লোকজন। নাম না প্রকাশ করা আরেক রোগী বলেন, সকালে নাস্তা ও দুপুরের মাছ দেয় আবার   মুরগির মাংস দেয় বেশী। রাতে কোন খাবার দেয় না আমাদের।

হাসপাতাতে ভর্তি রোগী শারমিন বেগম বলেন, আমাদের সকালে নাস্তা ও দুপুরের ভাত এর সাথে এক আইটেমের তরকারি দেয়, আর রাতে কোন খাবার দেয় না। আমি ১৬ দিন যাবত হাসপাতালে ভর্তি আছি এর ভিতর একদিন মাছ আর বাকি দিন ব্রয়লার মুরগি দিয়েছে। ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন,সপ্তাহের ৭ দিন খাবার দেওয়া হয় এবং তিনবার করে খাবার দেওয়া হয়। এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই যে রাতে খাবার দেওয়া হয় না। আপনারা যেহেতু বলেছেন আমি দেখি কি করা যায় এবং কন্ট্রাকদারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাপারটা দেখছি ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।