মো: নুরনবী ইসলাম খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
তফসিল ঘোষণা না হলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আসন্ন উপ-নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীর দৌঁড়ঝাপ ও গণসংযোগ শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দলীয় মিটিং, উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগের মাধ্যমে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা দেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে।
হাট-বাজারে মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে মাঠ গোছাচ্ছেন। এসব প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরাও বসে নেই। তারা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ নানাভাবে প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী অসুস্থতাজনিত কারনে খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু হাতেমের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এই পদ শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আইনী বাধ্যবাধকতা থাকায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রত্যাশীরা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কর্মীরা। তবে বিএনপি দলীয় ভাবে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপ্#ি৩৯;র নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন।
এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন রানা এবং আংগারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ধীমান চন্দ্র দাস। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আকবর আলী শাহয়ের ছেলে ও দুই বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম সুজাউদ্দিন লুহিন শাহ ও জেলা পরিষদের সদস্য শরিফুল আলম প্রধান। প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
আর সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে আমাকে বাবার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ প্রদানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই মূল্যায়িত করবেন। নৌকার মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় অল্প ভোটে নৌকা প্রতীক হেরেছে কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বসে ছিল না। সকলকে সাথে নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী,এমপির নেতৃত্ব এলাকার উন্নয়ন এবং করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন দূর্যোগে ও বিপদ- আপদে পাশে ছিলাম। সেই হিসেবে আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন।
নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান তিনি। দুই বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহ বলেন, আমার বাবা একজন রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তাঁর সম্মান ও আদর্শ নিয়েই ছাত্রজীবন থেকে মানুষ ও এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে আগামী নির্বাচনেও জয়লাভ করব। উপজেলা নির্বাচন অফিসার জিকরুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপ- নির্বাচনের বিষয়ে এখনও কোন নির্দেশনা দেয় নাই। নির্দেশনা আসলে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।