বাংলাদেশ ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পেকুয়ায় মৎস্য ঘের থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার মাদারীপুর নামজারি করতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নেন সর্বনিম্ম ৬ হাজার টাকা! দুর্গোৎসব উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের মত-বিনিময় সভা তানোরে অজ্ঞাত ব্যাক্তি’র লাশ উদ্ধার” মিলছেনা পরিচয় বদলগাছীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ছয় বছরের শিশুর মৃত্যু দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ আটক-০১ শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচিত সভা নলছিটি জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজ ৫আগস্ট থেকে পলাতক অধ্যক্ষ দুই মাস পর হঠাৎ হাজির ইবিতে জুলাই গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি নাটোরের বড়াইগ্রামে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়। র‌্যাবের পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ ০৪ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। ত্রিশালে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসে শোভাযাত্রা ও আলোচনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ মাদক ব্যবসায়ীক গ্রেফতার। তানোর প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে সাঈদ সাজু সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ

সেহরি ও ইফতারের দোয়া এবং গুরুত্ব।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭০৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

 

 

বছর ঘুরে আবারও মুসলিম উম্মাহর দ্বারপ্রান্তে পবিত্র মাস রমজান। পশ্চিমা আকাশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে (২ এপ্রিল) শনিবার প্রথম রোজা শুরু হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলিতে। পশ্চিমা দেশ অনুস্মরণ করে বাংলাদেশেও কিছু এলাকায় রোজা পালন করছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের আকাশে চাদঁ দেখা সাপেক্ষে (৩ এপ্রিল) রবিবার রোজা। রোজার শুরু ও শেষে সেহরি এবং ইফতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেহরির পর রোজার নিয়ত আবার ইফতারের সময় দোয়া এবং ইফতারের আগে-পরেও রয়েছে তাসবিহ এবং দোয়া। তাই রোজা শুরুর আগ মুহূর্তে সেহরির পর রোজার নিয়ত, ইফতারের সময়ের দোয়াগুলো শিখে নেওয়া এখুনিই জরুরি। কারণ সেহরি ও ইফতার রোজার বরকতময় এবং কল্যাণের অনুসঙ্গ।

 

দোয়া কবুলের অন্যতম সময়। বরকতে ভরপুর সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ। পবিত্র কোরআন কারিমে বলা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম বা রোজা ফরজ করা হয়েছে; যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া (আত্মশুদ্ধি) অর্জনে করতে পার। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩) সেহরি রমজানের রোজা পালনের জন্য শেষ রাতে সেহরি খাওয়া আবশ্যক। এটি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। অনেকেই তারাবি পড়ে গভীর রাতে কিছু খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে ওঠে ফজর নামাজ আদায় করে। এমনটি করলে সেহরির বরকত অর্জিত হবে না। সেহরির বরকত সম্পর্কে হাদিসে একাধিক বর্ণনা এসেছে-১. হজরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শেষ রাতে খাবার খাও। তাতে বরকত রয়েছে।’

 

 

(বুখারি ও মুসলিম) হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,নিশ্চয়ই আল্লাহ ও ফেরেশতারা সেহরি গ্রহণকারীর জন্য প্রার্থনা করেন।’ (তাবারানি ও ইবনে হিব্বান) হজরত আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের এবং আহলে কিতাবের (আমাদের আগে আসমানি কিতাব পাওয়া ইয়াহুদি-খ্রিষ্টান) মধ্যে পার্থক্য হলো- সেহরি খাওয়া। আর আমাদের তো ভোর (সোবহে সাদেক) হওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়া ও পান করার অনুমতি রয়েছে।’ (মুসলিম) সেহরি খাওয়ার উদ্দেশ্য১. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা দিনে রোজার জন্য সেহরির খাবারের সাহায্য নাও এবং রাতে নামাজের (তারাবি) জন্য দুপুরে নিদ্রাবিহীন বিশ্রাম গ্রহণ কর।’

 

 

অন্য হাদিসে এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে দেখি তিনি শেষ রাতে খাবার খাচ্ছেন। এরপর তিনি বললেন, এটা বরকতময়। আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য তা দান করেছেন। তোমরা তা (সেহরি) ত্যাগ করো না।’ (নাসাঈ) রোজার আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম। বাংলায় নিয়ত : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

 

 

 

ইফতারের দোয়া উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি। ইফতারের পর আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে দোয়া, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন- উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’ অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)

 

 

 

 

পেকুয়ায় মৎস্য ঘের থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সেহরি ও ইফতারের দোয়া এবং গুরুত্ব।

আপডেট সময় ০৫:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

 

 

 

 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

 

 

বছর ঘুরে আবারও মুসলিম উম্মাহর দ্বারপ্রান্তে পবিত্র মাস রমজান। পশ্চিমা আকাশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে (২ এপ্রিল) শনিবার প্রথম রোজা শুরু হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলিতে। পশ্চিমা দেশ অনুস্মরণ করে বাংলাদেশেও কিছু এলাকায় রোজা পালন করছেন। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের আকাশে চাদঁ দেখা সাপেক্ষে (৩ এপ্রিল) রবিবার রোজা। রোজার শুরু ও শেষে সেহরি এবং ইফতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেহরির পর রোজার নিয়ত আবার ইফতারের সময় দোয়া এবং ইফতারের আগে-পরেও রয়েছে তাসবিহ এবং দোয়া। তাই রোজা শুরুর আগ মুহূর্তে সেহরির পর রোজার নিয়ত, ইফতারের সময়ের দোয়াগুলো শিখে নেওয়া এখুনিই জরুরি। কারণ সেহরি ও ইফতার রোজার বরকতময় এবং কল্যাণের অনুসঙ্গ।

 

দোয়া কবুলের অন্যতম সময়। বরকতে ভরপুর সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ। পবিত্র কোরআন কারিমে বলা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম বা রোজা ফরজ করা হয়েছে; যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া (আত্মশুদ্ধি) অর্জনে করতে পার। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩) সেহরি রমজানের রোজা পালনের জন্য শেষ রাতে সেহরি খাওয়া আবশ্যক। এটি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ। অনেকেই তারাবি পড়ে গভীর রাতে কিছু খেয়ে শুয়ে পড়ে। সকালে ওঠে ফজর নামাজ আদায় করে। এমনটি করলে সেহরির বরকত অর্জিত হবে না। সেহরির বরকত সম্পর্কে হাদিসে একাধিক বর্ণনা এসেছে-১. হজরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা শেষ রাতে খাবার খাও। তাতে বরকত রয়েছে।’

 

 

(বুখারি ও মুসলিম) হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,নিশ্চয়ই আল্লাহ ও ফেরেশতারা সেহরি গ্রহণকারীর জন্য প্রার্থনা করেন।’ (তাবারানি ও ইবনে হিব্বান) হজরত আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের এবং আহলে কিতাবের (আমাদের আগে আসমানি কিতাব পাওয়া ইয়াহুদি-খ্রিষ্টান) মধ্যে পার্থক্য হলো- সেহরি খাওয়া। আর আমাদের তো ভোর (সোবহে সাদেক) হওয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়া ও পান করার অনুমতি রয়েছে।’ (মুসলিম) সেহরি খাওয়ার উদ্দেশ্য১. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা দিনে রোজার জন্য সেহরির খাবারের সাহায্য নাও এবং রাতে নামাজের (তারাবি) জন্য দুপুরে নিদ্রাবিহীন বিশ্রাম গ্রহণ কর।’

 

 

অন্য হাদিসে এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে দেখি তিনি শেষ রাতে খাবার খাচ্ছেন। এরপর তিনি বললেন, এটা বরকতময়। আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য তা দান করেছেন। তোমরা তা (সেহরি) ত্যাগ করো না।’ (নাসাঈ) রোজার আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম। বাংলায় নিয়ত : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

 

 

 

ইফতারের দোয়া উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি। ইফতারের পর আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে দোয়া, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন- উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’ অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)