বাংলাদেশ ০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
তানোরে ভুমিদস্যু মাহাফুজের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ জনজীবনে  ভালুকায় কৃষকলীগের প্রস্তুতি সভা  স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করলো ইউপি সদস্য তাকেও ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে বলে দাবী  ভিসানীতি নিয়ে বিব্রত, বিভ্রান্ত কিংবা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি অর্জন ঝালকাঠিতে সবুজের চাদরে ভরে উঠেছে দিগন্ত জুড়ে আমনের মাঠ দেশে ফেরার পথে নোয়াখালীর ওমান প্রবাসীর মৃত্যু     হেরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। দেলদুয়ারে আ’লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন এমপি টিটু  গৌরীপুরকে পর্যটন নগরী গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় এইচএসসি পরিক্ষার্থী নিহত নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর মাছের পোনা মজুদের ও অপদ্রব্য জেলি পুশকৃত চিংড়ি মাছ পরিবহনে সহায়তা করার অপরাধে তিনটি বাস মালিককে জরিমানা এবং বিপুল পরিমাণ জেলি পুশকৃত চিংড়ি মাছ ধ্বংস করেছে র‌্যাব-৬। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এর অভ্যর্থনা ও কুশল বিনিময়ের একটি ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর পোষ্ট প্রদানকারী কাইফি সিকদারকে র‌্যাব- ২ ও র‌্যাব-১৪ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।  জগন্নাথপুরে যাত্রীবাহী বাস তল্লাসিকালে ১৭ বস্তা ভারতীয় পণ্য জব্দ, গ্রেপ্তার ৩ শিশুদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ শিখাতে হবে – অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি চুরি ছিনতাই ও মাদক কারবারিসহ অপরাধীদের আতঙ্ক ওসি আব্দুর রহিম

শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে  অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

এই শহীদ দিবস এবং শহীদ মিনার নিয়ে সব সময়ই একটি ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতার ঠিক অব্যবহিত পরই পরাজিত পাকিস্তানিদের একটি অংশ রাতের বেলা শহীদ মিনারের পরিবেশকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় লিরিক ছিল। তখন এখনকার মতো এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একটি রাজাকার গোষ্ঠী প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল শহীদ মিনারের পবিত্রতাকে নষ্ট করতে।
তারপর বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করার পর এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আরো বেগবান হয়ে ওঠে। তখন শুরু হয় জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতি মিনারের সবচেয়ে উপরে স্থাপন করার প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দও ছাড় দেয়নি। প্রায়শ:ই শহীদ মিনারে সংঘর্ষ হতো। মনে হয়নি দেশে কোনো সরকার আছে। শহীদ মিনারে নেতৃবৃন্দের কাপড় ছেড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অর্থাৎ এসমস্ত করা হয়েছিল যাতে মানুষ শহীদ মিনারে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। এরশাদের আমলে তো সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি জুতা পরে শহীদ মিনারে উঠে যেত। এখনো একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী গ্রামে গঞ্জে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বর্ণনা করে এবং শহীদ দিবস এলেই এদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং ঠিক তার পর শহীদ দিবস কে ঘিরে যেভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত হতো তার অনেক টাই ৭৫ পরবর্তী সময়ে কমে গিয়েছিল। নিজামীরা তো কখনোই শহীদ মিনারে যায় নি। তারা আবার দেশ শাসনও করেছিল। এভাবে একটি দীর্ঘ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা ‘জীবন থেকে নেয়া‘ ছবির কথাও শোনেনি।
আমরা ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কে সমুন্নত রাখতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং অনেক সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। আজ যে সারা দেশে  সুষ্ঠুভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যাপারটি, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর অবদান। আমদের সকলকে শহীদদের সম্মানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে এবং শহীদ মিনার বিরোধীদের রুখতে হবে।
লেখক : ট্রেজারার ও সাবেক প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে ভুমিদস্যু মাহাফুজের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ জনজীবনে 

শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ

আপডেট সময় ১০:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
এই শহীদ দিবস এবং শহীদ মিনার নিয়ে সব সময়ই একটি ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতার ঠিক অব্যবহিত পরই পরাজিত পাকিস্তানিদের একটি অংশ রাতের বেলা শহীদ মিনারের পরিবেশকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় লিরিক ছিল। তখন এখনকার মতো এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একটি রাজাকার গোষ্ঠী প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল শহীদ মিনারের পবিত্রতাকে নষ্ট করতে।
তারপর বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করার পর এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আরো বেগবান হয়ে ওঠে। তখন শুরু হয় জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতি মিনারের সবচেয়ে উপরে স্থাপন করার প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দও ছাড় দেয়নি। প্রায়শ:ই শহীদ মিনারে সংঘর্ষ হতো। মনে হয়নি দেশে কোনো সরকার আছে। শহীদ মিনারে নেতৃবৃন্দের কাপড় ছেড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অর্থাৎ এসমস্ত করা হয়েছিল যাতে মানুষ শহীদ মিনারে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। এরশাদের আমলে তো সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি জুতা পরে শহীদ মিনারে উঠে যেত। এখনো একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী গ্রামে গঞ্জে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বর্ণনা করে এবং শহীদ দিবস এলেই এদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং ঠিক তার পর শহীদ দিবস কে ঘিরে যেভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত হতো তার অনেক টাই ৭৫ পরবর্তী সময়ে কমে গিয়েছিল। নিজামীরা তো কখনোই শহীদ মিনারে যায় নি। তারা আবার দেশ শাসনও করেছিল। এভাবে একটি দীর্ঘ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা ‘জীবন থেকে নেয়া‘ ছবির কথাও শোনেনি।
আমরা ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কে সমুন্নত রাখতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং অনেক সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। আজ যে সারা দেশে  সুষ্ঠুভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যাপারটি, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর অবদান। আমদের সকলকে শহীদদের সম্মানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে এবং শহীদ মিনার বিরোধীদের রুখতে হবে।
লেখক : ট্রেজারার ও সাবেক প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়