বাংলাদেশ ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৮০৩ বার পড়া হয়েছে

শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে  অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ

এই শহীদ দিবস এবং শহীদ মিনার নিয়ে সব সময়ই একটি ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতার ঠিক অব্যবহিত পরই পরাজিত পাকিস্তানিদের একটি অংশ রাতের বেলা শহীদ মিনারের পরিবেশকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় লিরিক ছিল। তখন এখনকার মতো এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একটি রাজাকার গোষ্ঠী প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল শহীদ মিনারের পবিত্রতাকে নষ্ট করতে।
তারপর বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করার পর এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আরো বেগবান হয়ে ওঠে। তখন শুরু হয় জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতি মিনারের সবচেয়ে উপরে স্থাপন করার প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দও ছাড় দেয়নি। প্রায়শ:ই শহীদ মিনারে সংঘর্ষ হতো। মনে হয়নি দেশে কোনো সরকার আছে। শহীদ মিনারে নেতৃবৃন্দের কাপড় ছেড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অর্থাৎ এসমস্ত করা হয়েছিল যাতে মানুষ শহীদ মিনারে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। এরশাদের আমলে তো সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি জুতা পরে শহীদ মিনারে উঠে যেত। এখনো একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী গ্রামে গঞ্জে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বর্ণনা করে এবং শহীদ দিবস এলেই এদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং ঠিক তার পর শহীদ দিবস কে ঘিরে যেভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত হতো তার অনেক টাই ৭৫ পরবর্তী সময়ে কমে গিয়েছিল। নিজামীরা তো কখনোই শহীদ মিনারে যায় নি। তারা আবার দেশ শাসনও করেছিল। এভাবে একটি দীর্ঘ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা ‘জীবন থেকে নেয়া‘ ছবির কথাও শোনেনি।
আমরা ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কে সমুন্নত রাখতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং অনেক সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। আজ যে সারা দেশে  সুষ্ঠুভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যাপারটি, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর অবদান। আমদের সকলকে শহীদদের সম্মানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে এবং শহীদ মিনার বিরোধীদের রুখতে হবে।
লেখক : ট্রেজারার ও সাবেক প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ

আপডেট সময় ১০:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
এই শহীদ দিবস এবং শহীদ মিনার নিয়ে সব সময়ই একটি ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতার ঠিক অব্যবহিত পরই পরাজিত পাকিস্তানিদের একটি অংশ রাতের বেলা শহীদ মিনারের পরিবেশকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় লিরিক ছিল। তখন এখনকার মতো এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একটি রাজাকার গোষ্ঠী প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল শহীদ মিনারের পবিত্রতাকে নষ্ট করতে।
তারপর বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করার পর এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আরো বেগবান হয়ে ওঠে। তখন শুরু হয় জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতি মিনারের সবচেয়ে উপরে স্থাপন করার প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দও ছাড় দেয়নি। প্রায়শ:ই শহীদ মিনারে সংঘর্ষ হতো। মনে হয়নি দেশে কোনো সরকার আছে। শহীদ মিনারে নেতৃবৃন্দের কাপড় ছেড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অর্থাৎ এসমস্ত করা হয়েছিল যাতে মানুষ শহীদ মিনারে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। এরশাদের আমলে তো সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি জুতা পরে শহীদ মিনারে উঠে যেত। এখনো একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী গ্রামে গঞ্জে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বর্ণনা করে এবং শহীদ দিবস এলেই এদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং ঠিক তার পর শহীদ দিবস কে ঘিরে যেভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত হতো তার অনেক টাই ৭৫ পরবর্তী সময়ে কমে গিয়েছিল। নিজামীরা তো কখনোই শহীদ মিনারে যায় নি। তারা আবার দেশ শাসনও করেছিল। এভাবে একটি দীর্ঘ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা ‘জীবন থেকে নেয়া‘ ছবির কথাও শোনেনি।
আমরা ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কে সমুন্নত রাখতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং অনেক সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। আজ যে সারা দেশে  সুষ্ঠুভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যাপারটি, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর অবদান। আমদের সকলকে শহীদদের সম্মানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে এবং শহীদ মিনার বিরোধীদের রুখতে হবে।
লেখক : ট্রেজারার ও সাবেক প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়