শার্শা প্রতিনিধি :
যশোরের শার্শায় জমিজমা সংক্রান্তের জেরে এক হিন্দু পরিবারের উপর ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।এ ব্যাপারে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।এদিকে অব্যাহত হুমকির ফলে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে ঐ পরিবারটি।
ঘটনাটি উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বড় বসন্তপুর গ্রামে ঘটে।
জানা যায়,নিজামপুর ইউনিয়নের বড় বসন্তপুর গ্রামের জয়দেবের ভিটেবাড়ীর ১৯ শতক জমির মধ্যে ৫ শতক বিক্রি নিয়ে তার পাশের বাড়ী প্রতিবেশি সেভেনের সাথে দন্দ চলে আসছিল দীর্ঘদিন।যে দ্বন্দের সমাধান উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্হানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার মিমাংসা করে দিয়েছিলো।দীর্ঘদিন পর মিমাংসা হওয়া সেই জমি বিক্রি নিয়ে ফের মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে প্রতিবেশি সেভেনরা।এরই জের ধরে ১৭ ই জানুয়ারী রাতে ঐ গ্রামের প্রতিবেশি সেভেনের পোষ্য ইউপি সদস্য মইদুল, ইনতাজ ও তাজের নেতৃত্বে একদল বাহিনী জয়দেবের বাড়ীতে গিয়ে বলেন আগে যে মিমাংসা হয়েছে সেই টা মানিনা নতুন করে আবার বসতে হবে বলে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।এমতবস্হায় হুমকির মুখে মানবেতার জীবন যাপন করছে ভুক্তভোগী ঐ হিন্দু পরিবার।
ইউপি সদস্য মইদুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,আমি একজন জনপ্রতিনিধি। রাতে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম বোঝানোর জন্য।কাউকে হুমকি ধামকি দেওয়ার জন্য নয়।তারা আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
প্রতিবেশি সেভেন জানান,এক বছর আগে জয়দেব আমার কাছে জমি বিক্রি করবে বলে ২০ হাজার টাকা বায়না নিয়েছিলো।বর্তমানে সেই জমি বিক্রি করবে না বলে ইউপি সদস্য তাকে বোঝানোর জন্য গিয়েছিলো।সেখানে মইদুল একটু হুমকি ধামকি দিয়েছিলো বলে তিনি জানান।
শার্শা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বৈদ্যনাথ জানান, ঐ জমিটার মুল মালিক জয়দেবের মা।অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে তাদের জমি বিক্রি করবে বলে প্রতিবেশি সেভেনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলো।পরবর্তিতে অর্থনৈতিক সমস্যা দুর হলে সেই জমি বিক্রি করবে না বলে সেভেনকে জানানো হয়।এ নিয়ে মিমাংসার মাধ্যামে সেভেনদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকা চৌকিদারের মাধ্যামে ফেরত দেওয়া হয়।এতোদিন সেই টাকা ফেরত না নিয়ে হঠাৎ তাদের বাড়ীতে গিয়ে জীবননাশের হুমকি প্রদান করেছে তারা।
এবিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন খাঁন বলেন, অভিযোগটি হাতে পায়নি হাতে পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।