বাংলাদেশ ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

তিন দিন পর বস্তাবন্দি কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে

মনিরামপুরে একরামুল হত্যায় আটক দুই ভাইয়ের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি 

স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ দুপুরে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মদনপুর মাঠের নিমতলা নামক স্থানের একটি ডোবা থেকে কলেজ ছাত্র  ইকরামুল হোসেন (১৮)- এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ইকরামুল মনিরামপুর  উপজেলার মশ্মিমনগরের ভরতপুর গ্রামের প্রবাসী মফিজুর রহমানের ছেলে এবং  রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশ ভরতপুর গ্রাম থেকে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার হয়। আটক তিনজনই ইকরামুলের প্রতিবেশী। ইতিপূর্বে গত সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ওয়াজ মাহফিল শোনার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ইকরামুল। তার তিনদিন পর ওই ছাত্রের বস্তাবন্দী পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার হলো। আটক তিনজন হলেন, ভরতপুর গ্রামের হোসেন আলী মোড়লের দুই ছেলে আমিনুর রহমান ও কামরুল হাসান এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদী হাসান।
ইকরামুলের স্বজনরা এ তিনজনকে আটকের কথা জানালেও পুলিশ আমিনুরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আমিনুর উচ্চ শিক্ষিত বেকার। তার ভাই কামরুল কুয়েত প্রবাসী। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসেছেন। আর মেহেদী প্যারামেডিকেলের ছাত্র। নিহতের স্বজনদের দাবি, কেরাম খেলা নিয়ে আমিনুরের সাথে দ্বন্দ্বে আটক তিনজন মিলে ইকরামুলকে খুন করেছে।তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, প্রবাসীদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে উপস্থিত কিছু জানা যায়নি।
ইকরামুলের চাচা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ইকরামুল মশ্মিমনগর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ২৮ মার্চ সোমবার সন্ধ্যার আগে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত নয়টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আমরা থানায় আসি। পুলিশের পরামর্শে বুধবার সকালে যশোরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে যাই। তারা মণিরামপুর থানায় জিডি করতে বলেন। থানায় জিডি করার পর দুপুরে আবার যশোরে যাই। এরপর রাত একটার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে প্রথমে আমিনুরকে আটক করে। পরে কামরুল ও মেহেদীকে আটক করে তিনজনকে নিয়ে যায়।
আসাদুজ্জামান বলেন, ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার আগে এলাকার একটি সাঁকোর ওপরে আমার সাথে ইকরামুলের দেখা হয়। সেখানে থেকে মেহেদীর মোটরসাইকেলে করে মাহফিলে যাওয়ার কথা ছিলো ইকরামুলের। তিনি বলেন, এক বছর আগে কেরাম খেলা নিয়ে আমিনুরের সাথে গণ্ডগোল হয় ইকরামুলের। সে সূত্র ধরে আমিনুর, কামরুল ও মেহেদী সোমবার রাতে তুলে নিয়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পুঁতে রাখে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ইকরামুলকে পিটিয়ে ও গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে তারা খুন করেছে। তার মোবাইলের সিমকার্ড খুলে তাতে নিজের সিমকার্ড ঢোকায় আমিনুর। সে সূত্র ধরে আমিনুরকে আটক করে পিবিআই। ইকরামুলের মা রেশমা খাতুন বলেন, পুলিশ আমিনুর, কামরুল আর মেহেদীকে ধরেছে। ওরা আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।
যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার ঘটনাস্থল থেকে বলেন, নিখোঁজ কলেজ ছাত্র ইকরামুলের মা জিডি করার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমিনুরকে আটক করি। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আরও বলেন কি কারণে হত্যাকাণ্ড তা পরে জানাতে পারবো। মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (৩০ মার্চ) থানায় জিডি হয়েছে। আটকের বিষয়টি পিবিআই বলতে পারবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

তিন দিন পর বস্তাবন্দি কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার 

আপডেট সময় ০৯:০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ দুপুরে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মদনপুর মাঠের নিমতলা নামক স্থানের একটি ডোবা থেকে কলেজ ছাত্র  ইকরামুল হোসেন (১৮)- এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ইকরামুল মনিরামপুর  উপজেলার মশ্মিমনগরের ভরতপুর গ্রামের প্রবাসী মফিজুর রহমানের ছেলে এবং  রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশ ভরতপুর গ্রাম থেকে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার হয়। আটক তিনজনই ইকরামুলের প্রতিবেশী। ইতিপূর্বে গত সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ওয়াজ মাহফিল শোনার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ইকরামুল। তার তিনদিন পর ওই ছাত্রের বস্তাবন্দী পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার হলো। আটক তিনজন হলেন, ভরতপুর গ্রামের হোসেন আলী মোড়লের দুই ছেলে আমিনুর রহমান ও কামরুল হাসান এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদী হাসান।
ইকরামুলের স্বজনরা এ তিনজনকে আটকের কথা জানালেও পুলিশ আমিনুরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আমিনুর উচ্চ শিক্ষিত বেকার। তার ভাই কামরুল কুয়েত প্রবাসী। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসেছেন। আর মেহেদী প্যারামেডিকেলের ছাত্র। নিহতের স্বজনদের দাবি, কেরাম খেলা নিয়ে আমিনুরের সাথে দ্বন্দ্বে আটক তিনজন মিলে ইকরামুলকে খুন করেছে।তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, প্রবাসীদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে উপস্থিত কিছু জানা যায়নি।
ইকরামুলের চাচা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ইকরামুল মশ্মিমনগর এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ২৮ মার্চ সোমবার সন্ধ্যার আগে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত নয়টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আমরা থানায় আসি। পুলিশের পরামর্শে বুধবার সকালে যশোরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে যাই। তারা মণিরামপুর থানায় জিডি করতে বলেন। থানায় জিডি করার পর দুপুরে আবার যশোরে যাই। এরপর রাত একটার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে প্রথমে আমিনুরকে আটক করে। পরে কামরুল ও মেহেদীকে আটক করে তিনজনকে নিয়ে যায়।
আসাদুজ্জামান বলেন, ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার আগে এলাকার একটি সাঁকোর ওপরে আমার সাথে ইকরামুলের দেখা হয়। সেখানে থেকে মেহেদীর মোটরসাইকেলে করে মাহফিলে যাওয়ার কথা ছিলো ইকরামুলের। তিনি বলেন, এক বছর আগে কেরাম খেলা নিয়ে আমিনুরের সাথে গণ্ডগোল হয় ইকরামুলের। সে সূত্র ধরে আমিনুর, কামরুল ও মেহেদী সোমবার রাতে তুলে নিয়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পুঁতে রাখে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ইকরামুলকে পিটিয়ে ও গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে তারা খুন করেছে। তার মোবাইলের সিমকার্ড খুলে তাতে নিজের সিমকার্ড ঢোকায় আমিনুর। সে সূত্র ধরে আমিনুরকে আটক করে পিবিআই। ইকরামুলের মা রেশমা খাতুন বলেন, পুলিশ আমিনুর, কামরুল আর মেহেদীকে ধরেছে। ওরা আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।
যশোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার ঘটনাস্থল থেকে বলেন, নিখোঁজ কলেজ ছাত্র ইকরামুলের মা জিডি করার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমিনুরকে আটক করি। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইকরামুলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আরও বলেন কি কারণে হত্যাকাণ্ড তা পরে জানাতে পারবো। মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (৩০ মার্চ) থানায় জিডি হয়েছে। আটকের বিষয়টি পিবিআই বলতে পারবে।