![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধিঃ তাওহিদুল ইসলাম
নিয়ম-নীতি উপো করেই বরগুনা পাথারঘাটায় গড়ে উঠেছে একের পর এক ইট ভাটা। এসব ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আর বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়সহ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, প্রশাসন নির্বিকার থাকায় আবাসিক এলাকা ও ফসলী জমিতেই ইট ভাটা স্থাপন করেছে প্রভাবশালীরা।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, ফসলি জমি ও ঘন বসতি এলাকার ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ইট ভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পাথরঘাটা উপজেলায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছে একাধিক ইট ভাটা। কালমেঘা ইউনিয়নের মধ্য কুপদোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মাত্র ২শ গজের ভিতরে রয়েছে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার ছোবল। বাড়ছে এলাকায় নানারকম রোগ ব্যাধি। কাঠ ও অত্যন্ত নিম্নমানের কয়লা পোড়ানো এবং স্বল্প উচ্চতার ড্রাম (চিমনি) ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। সে ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে চার পাশ। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। স্কুলের শিশু শিক্ষার্থী নানা রোগে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
এলাকার কৃষক/কৃষানীরা জানান, যখন ইট বাটায় আগুন দেয়া হয় তখন বিষক্ত ধোয়া চারদিক ছড়িয়ে পরে। এসময় বাড়িঘরের লোকজন ২/৩ দিনের জন্য এলাকা ছেলে চলে যায়। গত একযুগ ধরে ইটবাটার ৩ কিলো মিটারের মধ্যে বিষক্ত ধোয়ার কারনে রবি শশ্যসহ গাছে কোন ফল ধরেনা এবং গাছপালা মরে যাচ্ছে।
আর.এস.বি, ইটবাটা মালিক পক্ষের ম্যানেজার ফজলুর রহমান বলেন, ইটবাটার ধোয়ায় কোন ক্ষতি হয়না, সরকারের নির্দেশনাই এই ইটবাটা চলে।
স্থানীয় সরকার বিষয়ে গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই একের পর এক ইট ভাটা গড়ে উঠলেও প্রশাসনের নেই কোন ব্যবস্থা। তবে এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। আইন অনুযায়ী, ইট ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন এমনটাই দাবি পাথরঘাটাবাসীর।