শহীদুল ইসলাম শাহীন, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক জিএম হায়দারকে বহিস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি জিএম হায়দারের আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ ও তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ বছর ধরে পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীদের সাথে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা, বিকৃত বাচনভঙ্গিতে কুরুচিপূর্ণ উদাহরণ দেওয়া, কখনও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আবার কখনও ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অশালীন বাক্য প্রয়োগ করার অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, বিদ্যালয়ের সাবেক ও বতর্মান শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বুধবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দেড় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এতে সাবেক শিক্ষার্থী আবু সাদাত তিতাসের সভাপতিত্বে ও মেহেদী হাসান বাবরের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য একেএম ওহিদুল ইসলাম কবির, সাবেক ইউপি সদস্য আলী উসমান, সাবেক শিক্ষার্থী কাজী মিজানুল হক ইমন, প্রসুনজিৎ বিশ্বাস পলাশ, হাসান আহমেদ কামরান, রাসেল আহমেদ, হাবিবুল্লাহ, পাভেল আহদে কিরণ, মমিন আহমেদ রাজ, ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাগর প্রমুখ।
সাবেক শিক্ষার্থী প্রসুনজিৎ বিশ্বাস পলাশ বলেন, যদি কোনো শিক্ষক নৈতিকতা হারায় তাহলে তিনি আর শিক্ষক থাকেন না। এই শিক্ষকের কাছে কোনো শিক্ষার্থী নিরাপদ নয়। তাই তাকে দ্রুত বহিস্কারের দাবি জানাই।
একেএম ওহিদুল ইসলাম কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, জিএম হায়দার আমার সাথে কলেজে একসাথে পড়েছে। কলেজ জীবনে যেরকম করেছিল আজকে ৩৫ বছর পর সেই ঘটনাগুলো দেখতে পাচ্ছি। ছাত্রীর ওড়না ধরে যদি কোনো শিক্ষক টান দেয় তাহলে সে কতটুকু গর্হিত কাজ করেছে বুঝা যায়। ম্যানেজিং কমিটির লোকজন ওই ঘটনায় রেজুলেশন করে তাকে মাফ করে দিয়েছিল। পশুর ন্যয় একজন ব্যক্তি শিক্ষকতা করতে পারেনা।
অভিযুক্ত শিক্ষক জিএম হায়দার তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি তিনি নয় বলে দাবি করে বলেন, ভিডিওটি হয়তো এডিট করা।