বাংলাদেশ ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের। নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ জামালপুরে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন দুইদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ঘোড়াঘাটে ক্যাপিটেশন ভুক্ত মাদ্রাসা গুলোতে চলছে লাখ লাখ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই
চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীরসহ ০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীরসহ ০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৯১ বার পড়া হয়েছে

চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীরসহ ০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম (৩২) হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীর (২৯) সহ ০৭ জনকে টাঙ্গাইল, শেরপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত হত্যাকারী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করে র‌্যাব সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

 

ভিকটিম শহিদুল ইসলাম ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাইপাল বুড়ির বাজার এলাকায় যৌথভাবে কর্ণফুলি শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ পরিচালনা করে আসছিল। গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ভিকটিমের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার মাসুদকে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম অসুস্থ্য হয়ে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় পড়ে আছে বলে জানায়। তখন মাসুদ উক্ত স্থানে ভিকটিম শহিদুলকে না পেয়ে খোঁজা খুঁজি করে আনুমানিক রাত ২৩৩০ ঘটিকায় আশুলিয়ায় ডেন্ডাবর কাঠাল বাগান ফয়েজের মোড় এলাকায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় অটোরিক্সার মধ্যে দেখতে পায়।

 

 

তাৎক্ষণিক মাসুদ ভিকটিম’কে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পলাশবাড়ীস্থ হাবিব হাসপাতাল, পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থা গুরুতর দেখে মুজারমিল ল্যাব-১ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ভিকটিমের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ০২০০ ঘটিকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ আনুমানিক বেলা ১২৪০ ঘটিকায় ভিকটিম শহিদুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই মোঃ আবুল মনসুর (৫০) বাদী হয়ে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন, যার নম্বর-১৬, তারিখ ১৬/১২/২০২১ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

 

 

 

উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ বর্ণিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ধসঢ়;ঘাটন এবং হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হতে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ দিবাগত রাত পর্যন্ত র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল, শেরপুর এবং ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১) মোঃ আলমগীর (২৯), পিতা- মোঃ মোজাম্মেল হক, জেলা- জামালপুর, ২) ববিতা খাতুন @ আকলিমা (২৪), পিতা-ওবায়দুল হক, জেলা-গাইবান্ধা, ৩) মোঃ সাগর হোসেন বাবু @ কালা বাবু (২২), পিতা- মোঃ সাইদুর রহমান, জেলা-ঢাকা, ৪) মোঃ মাসুদ রানা @ মাসুদ (২০), পিতা- মোঃ বাবলু শেখ, জেলা- মানিকগঞ্জ, ৫) মোঃ আফজাল হোসেন (২৬), পিতা- মোঃ ওহেদুর রহামন, জেলা- ঢাকা, ৬) মোঃ রফিকুল ইসলাম খান @ সাগর (৩৯), পিতা- মোতাহার আলী খান, জেলা- বরিশাল এবং ৭) মোঃ রাকিব শেখ (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল, জেলা-ঢাকাদের’কে গ্রেফতার করে।

 

 

 

 

এ সময় ধৃত আসামী মাসুদের নিকট হতে তার ব্যবহৃত রক্তমাখা জ্যাকেট (যা পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলা হয়েছে), তাদের ব্যবহৃত ১০ টি এবং ভিকটিমের সাথে থাকা ০১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিম শহিদুল ইসলাম (৩২)’কে হত্যার কথা স্বীকার করে।  আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর ভিকটিমের সমিতির পার্টনার। সে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ প্রাপ্তির লোভে, অর্থের বিনিময়ে তার পূর্ব পরিচিত একটি মেয়ে (ববিতা) কে রাজি করায় এবং পরবর্তীতে মেয়েটি অত্যন্ত সুকৌশলে প্রেমের সর্ম্পক তৈরী করে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। প্রকাশ করা যেতে পারে যে, ধৃত আসামী আলমগীর অল্প সময়ে অধিক অর্থ লোভের আশায় ০১ মাস পূর্বে ববিতা’কে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম এর মোবাইল নম্বর দেয় এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে ববিতাকে দেওয়া ঠিকানায় ভিকটিম শহিদুল ইসলাম কে নিয়ে আসতে বলে।

 

 

 

 

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ধৃত আসামী ববিতা ভিকটিম শহিদুল ইসলাম’কে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে। ববিতা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে নিয়ে ঘটনাস্থল আশুলিয়া পলাশবাড়ী তালতলা মাঠে পৌঁছামাত্রই পূর্ব থেকেই অবস্থান নেওয়া ধৃত আসামীগণ যথাক্রমে আফজাল, সাগর হোসেন বাবু @ কালা বাবু, মাসুদ, রাকিব, রফিকুল ইসলামসহ পলাতক আসামী মিলন, পিন্টু ও ধলা বাবু ভিকটিমকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে হাতুড়ী এবং লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ধৃত আসামীরা ভিকটিম শহিদুল ইসলামকে দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সমিতির পার্টনার দিদারুল ইসলামের নিকট হতে মুক্তিপণ বাবদ ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) বিকাশ করে দেওয়ার জন্য বলে। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় আসামীরা পুণরায় হাতুড়ী এবং লাঠি দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

 

 

 

ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ। ভিকটিম গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধৃত আসামী আফজাল ভিকটিমকে আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড হতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমিতির পার্টনার মাসুদকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। ধৃত আসামীরা ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি অটোরিক্সায় রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ধৃত আসামীরা বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে অবস্থান করতে থাকে মর্মে স্বীকার করে। ৬। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বাক্ষরিত/- নোমান আহমদ সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) অধিনায়কের পক্ষে মোবাঃ ০১৭৭৭৭১০১০৩।

 

 

 

 

ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীরসহ ০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীরসহ ০৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

আপডেট সময় ০৭:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর শহিদুল ইসলাম (৩২) হত্যার রহস্য উদ্ধঘাটন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আলমগীর (২৯) সহ ০৭ জনকে টাঙ্গাইল, শেরপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

 

 

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত হত্যাকারী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করে র‌্যাব সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

 

ভিকটিম শহিদুল ইসলাম ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাইপাল বুড়ির বাজার এলাকায় যৌথভাবে কর্ণফুলি শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিঃ পরিচালনা করে আসছিল। গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ভিকটিমের সঙ্গে থাকা মোবাইল থেকে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার মাসুদকে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম অসুস্থ্য হয়ে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় পড়ে আছে বলে জানায়। তখন মাসুদ উক্ত স্থানে ভিকটিম শহিদুলকে না পেয়ে খোঁজা খুঁজি করে আনুমানিক রাত ২৩৩০ ঘটিকায় আশুলিয়ায় ডেন্ডাবর কাঠাল বাগান ফয়েজের মোড় এলাকায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় অটোরিক্সার মধ্যে দেখতে পায়।

 

 

তাৎক্ষণিক মাসুদ ভিকটিম’কে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পলাশবাড়ীস্থ হাবিব হাসপাতাল, পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থা গুরুতর দেখে মুজারমিল ল্যাব-১ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ভিকটিমের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ০২০০ ঘটিকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ আনুমানিক বেলা ১২৪০ ঘটিকায় ভিকটিম শহিদুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই মোঃ আবুল মনসুর (৫০) বাদী হয়ে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন, যার নম্বর-১৬, তারিখ ১৬/১২/২০২১ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

 

 

 

উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ বর্ণিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ধসঢ়;ঘাটন এবং হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হতে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ দিবাগত রাত পর্যন্ত র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল, শেরপুর এবং ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১) মোঃ আলমগীর (২৯), পিতা- মোঃ মোজাম্মেল হক, জেলা- জামালপুর, ২) ববিতা খাতুন @ আকলিমা (২৪), পিতা-ওবায়দুল হক, জেলা-গাইবান্ধা, ৩) মোঃ সাগর হোসেন বাবু @ কালা বাবু (২২), পিতা- মোঃ সাইদুর রহমান, জেলা-ঢাকা, ৪) মোঃ মাসুদ রানা @ মাসুদ (২০), পিতা- মোঃ বাবলু শেখ, জেলা- মানিকগঞ্জ, ৫) মোঃ আফজাল হোসেন (২৬), পিতা- মোঃ ওহেদুর রহামন, জেলা- ঢাকা, ৬) মোঃ রফিকুল ইসলাম খান @ সাগর (৩৯), পিতা- মোতাহার আলী খান, জেলা- বরিশাল এবং ৭) মোঃ রাকিব শেখ (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল, জেলা-ঢাকাদের’কে গ্রেফতার করে।

 

 

 

 

এ সময় ধৃত আসামী মাসুদের নিকট হতে তার ব্যবহৃত রক্তমাখা জ্যাকেট (যা পরবর্তীতে ধুয়ে ফেলা হয়েছে), তাদের ব্যবহৃত ১০ টি এবং ভিকটিমের সাথে থাকা ০১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিম শহিদুল ইসলাম (৩২)’কে হত্যার কথা স্বীকার করে।  আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আলমগীর ভিকটিমের সমিতির পার্টনার। সে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ প্রাপ্তির লোভে, অর্থের বিনিময়ে তার পূর্ব পরিচিত একটি মেয়ে (ববিতা) কে রাজি করায় এবং পরবর্তীতে মেয়েটি অত্যন্ত সুকৌশলে প্রেমের সর্ম্পক তৈরী করে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। প্রকাশ করা যেতে পারে যে, ধৃত আসামী আলমগীর অল্প সময়ে অধিক অর্থ লোভের আশায় ০১ মাস পূর্বে ববিতা’কে ভিকটিম শহিদুল ইসলাম এর মোবাইল নম্বর দেয় এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে ববিতাকে দেওয়া ঠিকানায় ভিকটিম শহিদুল ইসলাম কে নিয়ে আসতে বলে।

 

 

 

 

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ধৃত আসামী ববিতা ভিকটিম শহিদুল ইসলাম’কে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে। ববিতা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে নিয়ে ঘটনাস্থল আশুলিয়া পলাশবাড়ী তালতলা মাঠে পৌঁছামাত্রই পূর্ব থেকেই অবস্থান নেওয়া ধৃত আসামীগণ যথাক্রমে আফজাল, সাগর হোসেন বাবু @ কালা বাবু, মাসুদ, রাকিব, রফিকুল ইসলামসহ পলাতক আসামী মিলন, পিন্টু ও ধলা বাবু ভিকটিমকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে হাতুড়ী এবং লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে ধৃত আসামীরা ভিকটিম শহিদুল ইসলামকে দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সমিতির পার্টনার দিদারুল ইসলামের নিকট হতে মুক্তিপণ বাবদ ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) বিকাশ করে দেওয়ার জন্য বলে। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় আসামীরা পুণরায় হাতুড়ী এবং লাঠি দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

 

 

 

ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ। ভিকটিম গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধৃত আসামী আফজাল ভিকটিমকে আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড হতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমিতির পার্টনার মাসুদকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। ধৃত আসামীরা ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি অটোরিক্সায় রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ধৃত আসামীরা বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে অবস্থান করতে থাকে মর্মে স্বীকার করে। ৬। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বাক্ষরিত/- নোমান আহমদ সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) অধিনায়কের পক্ষে মোবাঃ ০১৭৭৭৭১০১০৩।