![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মুনতাসির তাসরিপ, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মহিউদ্দিন আল হেলাল মহোদয় এর সভাপতিত্বে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ( ২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় দশমিনা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
৩০ সদস্যের উপস্থিতিতে এ সভার আয়োজন করা হয় উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে। যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন দশমিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আজীজ এবং সভাপতিত্ব করেন দশমিনার নব-নিযুক্ত উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) জনাব, মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল। উপস্থিত হন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাবা ডলি বেগম এবং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ কালাম কাজী।
এছাড়াও এ সভায় দশমিনা অফিসার্স ক্লাব এর বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এ সভায় উপস্থিত হন। সভার উদ্দেশ্য ছিলো ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের পাক-বাহিনীর হত্যাকান্ড যা অপারেশন সার্চলাইট নামে পরিচিত৷ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ডের কথা তুলে ধরা হয় এ সভায়৷ দশমিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ আব্দুল আজীজ তার বক্তব্যে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডকে তুলে ধরেন এবং সে সময়ে তার কাটানো স্মৃতি গুলো বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। বাশবাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান জনাব, মোঃ কালাম কাজী তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুর বাউফলের কালাইয়ায় পরিভ্রমণ এর কথা। তিনি এই কালোরাতের বাস্তব কাহিনি গুলো তুলে ধরেন৷
পরিশেষে দশমিনা উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব, মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল তার বক্তব্যে জানান, অপারেশন সার্চলাইটের জন্য নিজের অনুভূতিগুলো৷ তিনি আরও বলেন সরকার ইতিমধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন। তিনি সকলকে নিজের কাছে প্রশ্ন করার জন্য অনুরোধ করেন যে, আমরা কি জ্ঞানকে আলোকিত করতে পেরেছি? আজ স্বাধীনতার ৫২ বছরেও কেনো আমাদের ঝাটকা সহ জেলেকে আটক করতে হবে? আমরা জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানাই কিন্তু ভেবেছেন কি? যারা জানতো না যে বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এবং যেই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের অর্ধেক সময়ে শহীদ হন তাদের মনে কতোটুকু আক্ষেপ নিয়ে তারা মৃত্যুবরণ করেণ?