বাংলাদেশ ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে
দামুড়হুদায় শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী খুনি জাহিদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

দামুড়হুদায় শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী খুনি জাহিদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদায় শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী খুনি জাহিদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

 

 

 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের শিশু ইয়ামিন হাসানের হত্যাকারী মামলার প্রধান আসামি খুনি জাহিদের ফাঁসিসহ মামলার অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত শিশু ছাত্র ইয়ামিনের মা রিনা খাতুন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ইং ১২ ফেব্রুয়ারী বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে আমার ছেলে শিশু ছাত্র ইয়ামিন (৮) ও একই গ্রামের প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে শিশু জুনাইদ হাসান (৭) প্রতিদিনের ন্যায় এক সাথে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের আসাদুল মেম্বারের ছেলে জাহিদ (১৯) শিশু ইয়ামিনের হাতে ২০ টাকা দিয়ে সিগারেট কিনতে দোকানে পাঠায়। শিশু ইয়ামিন ও জুনাইদ পার্শবর্তী খোরশেদ আলীর দোকানে গিয়ে সিগারেট চাইলে সিগারেট নেই বলে তাদের জানায় দোকানি খোরশেদ আলী। এ সময় তাদের কাছে থাকা ২০ টাকার মধ্যে ২ টাকা মূল্যের ৪ প্যাকেট জি-বিস্কুট কেনে এবং জুনাইদ ও ইয়ামিন ৫ টাকা করে ভাগ করে নেয়। ওই ৪ প্যাকেট জি-বিস্কুট কিনে বাড়ি চলে আসে।
এর কিছুক্ষন পর তারা দুজনেই জি-বিস্কুট হাতে আমবাগানে যায়। এ সময় জাহিদ সিগারেট চাইলে সিগারেট পাওয়া যায়নি বলে জানায় শিশু ইয়ামিন। সিগারেট না পেয়ে জাহিদ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং টাকা ফেরত চাই। টাকা খরচ করে ফেলেছি বলে জানালে জাহিদ গালাগালি শুরু করে এবং গালাগালির এক পর্যায়ে শিশু ইয়ামিনকে বেঁধে মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে জবাই করে হত্যা করে এবং মরদেহ ওই আম বাগানের মধ্যে একটি পাঁকা কবরের মধ্যে ফেলে রাখে। এ সময় শিশু ইয়ামিনের সাথে থাকা জুনাইদ পালিয়ে আসে এবং বিষয়টি শিশু ইয়ামিনের আমাকে জানায়।
এসময় আমি পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে ছুটতে ছুটতে ঘটনাস্থলে যায় এবং আম বাগানের চারদিক খুঁজতে থাকি। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশু ইয়ামিনকে ওই কবরের মধ্যে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষন পর ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা খুনি জাহিদকে আমরা জাপটে ধরে ফেলি। কিন্ত জাহিদের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে মারধর করে খুনি জাহিদকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। শিশু ইয়ামিন হত্যাকারী খুনি জাহিদের বয়স কমপক্ষে ১৯ বছর। আমরা জানতে পেরেছি, পুলিশ তার বয়স কম দেখিয়ে তাকে যশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে।

এছাড়া মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে জুনাইদকে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার প্রকৃত কারণ উম্মোচন হবে। আপনাদের মাধ্যমে আমি বলতে চাই, খুনি জাহিদের বয়স প্রমানের জন্য তার ডিএনএ টেস্ট করানো হোক এবং মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে জুনাইদকে সাংবাদিকদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। মামলার প্রধান আসামি খুনি জাহিদের ফাঁসিসহ মামলার অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এবং আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে মানববন্ধন করে নিহত শিশু ইয়ামিনের পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসি।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

দামুড়হুদায় শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী খুনি জাহিদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

দামুড়হুদায় শিশু ইয়ামিনের হত্যাকারী খুনি জাহিদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৭:২৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের শিশু ইয়ামিন হাসানের হত্যাকারী মামলার প্রধান আসামি খুনি জাহিদের ফাঁসিসহ মামলার অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত শিশু ছাত্র ইয়ামিনের মা রিনা খাতুন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ইং ১২ ফেব্রুয়ারী বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে আমার ছেলে শিশু ছাত্র ইয়ামিন (৮) ও একই গ্রামের প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে শিশু জুনাইদ হাসান (৭) প্রতিদিনের ন্যায় এক সাথে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের আসাদুল মেম্বারের ছেলে জাহিদ (১৯) শিশু ইয়ামিনের হাতে ২০ টাকা দিয়ে সিগারেট কিনতে দোকানে পাঠায়। শিশু ইয়ামিন ও জুনাইদ পার্শবর্তী খোরশেদ আলীর দোকানে গিয়ে সিগারেট চাইলে সিগারেট নেই বলে তাদের জানায় দোকানি খোরশেদ আলী। এ সময় তাদের কাছে থাকা ২০ টাকার মধ্যে ২ টাকা মূল্যের ৪ প্যাকেট জি-বিস্কুট কেনে এবং জুনাইদ ও ইয়ামিন ৫ টাকা করে ভাগ করে নেয়। ওই ৪ প্যাকেট জি-বিস্কুট কিনে বাড়ি চলে আসে।
এর কিছুক্ষন পর তারা দুজনেই জি-বিস্কুট হাতে আমবাগানে যায়। এ সময় জাহিদ সিগারেট চাইলে সিগারেট পাওয়া যায়নি বলে জানায় শিশু ইয়ামিন। সিগারেট না পেয়ে জাহিদ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং টাকা ফেরত চাই। টাকা খরচ করে ফেলেছি বলে জানালে জাহিদ গালাগালি শুরু করে এবং গালাগালির এক পর্যায়ে শিশু ইয়ামিনকে বেঁধে মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে জবাই করে হত্যা করে এবং মরদেহ ওই আম বাগানের মধ্যে একটি পাঁকা কবরের মধ্যে ফেলে রাখে। এ সময় শিশু ইয়ামিনের সাথে থাকা জুনাইদ পালিয়ে আসে এবং বিষয়টি শিশু ইয়ামিনের আমাকে জানায়।
এসময় আমি পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে ছুটতে ছুটতে ঘটনাস্থলে যায় এবং আম বাগানের চারদিক খুঁজতে থাকি। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশু ইয়ামিনকে ওই কবরের মধ্যে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষন পর ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা খুনি জাহিদকে আমরা জাপটে ধরে ফেলি। কিন্ত জাহিদের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে মারধর করে খুনি জাহিদকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। শিশু ইয়ামিন হত্যাকারী খুনি জাহিদের বয়স কমপক্ষে ১৯ বছর। আমরা জানতে পেরেছি, পুলিশ তার বয়স কম দেখিয়ে তাকে যশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে।

এছাড়া মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে জুনাইদকে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার প্রকৃত কারণ উম্মোচন হবে। আপনাদের মাধ্যমে আমি বলতে চাই, খুনি জাহিদের বয়স প্রমানের জন্য তার ডিএনএ টেস্ট করানো হোক এবং মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে জুনাইদকে সাংবাদিকদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। মামলার প্রধান আসামি খুনি জাহিদের ফাঁসিসহ মামলার অন্যান্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি এবং আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে মানববন্ধন করে নিহত শিশু ইয়ামিনের পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসি।