মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে নির্দিষ্ট কোন ময়লার ভাগাড় না থাকায় রাস্তার ধারে ময়লার ভাগাড়ের দূর্গন্ধে চরম ভোগান্তি নিয়েই বসবাস করছে বাসিন্দারা। চলাচল করছে পথচারীরা। দীর্ঘদিন দূর্গন্ধ নিয়ে সেখানে বসবাসকারী বাসিন্দারা স্বাস্থ্য নিয়ে রয়েছেন ঝুঁকিতে। প্রায় কোটি টাকা মূল্যে ইজারা হওয়া পাকেরহাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে যে ব্যয় হওয়ার কথা তা করা হয় না।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকেরহাটের ব্রয়লার মাংস ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকেই বাইপাস সড়কের ধারে ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক অফিসের পাশের খোলা স্থানে ব্রয়লার মুরগির পাখনা, বিষ্ঠা ও উচ্ছিষ্ট ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। তার সাথে বাজারের বিভিন্ন দোকানের ময়লা, বাড়ির আবর্জনা,পচাঁ বাসি খাবারের উচ্ছিষ্ট মিলে তৈরী হয়েছে ময়লা- আবর্জনার বিশাল স্তূপ। এই স্তূপের পাশ দিয়ে দূর্গন্ধময় পরিবেশে চলাচল করছে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা।
তবে সবচেয়ে বেকায়দায় রয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা। তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে। নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করছে। কেউ কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। পচা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়ছে।
এবিষয়ে ব্রয়লার মুরগী বিক্রেতাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ময়লার স্তূপ নিয়ে অনেক আবেদন ও অনুরোধের পরেও কেউ কোনো সুরাহা করেনি। ফলে দূর্গন্ধ আর ভোগান্তি নিয়েই বাস করছ। প্রতি বছর কোটি টাকার বেশী দিয়ে এই বাজারটি ইজারা দেওয়া হয়৷ কিন্তু এই ময়লার ভাগাড়ের জন্য এই এলাকার সুন্দর পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে গেছে। পথচারীদের সাথে অনেকেই এই রাস্তা দিয়ে অবসর সময়ে চলাচল করে কিন্তু রাস্তার ধারের ময়লা আবর্জনার স্তূপ আর দুর্গন্ধে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
পাকেরহাট হাট কমিটির সভাপতি ও আংগারপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ে ময়লার স্তূপ সরানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।