স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরে বড়াইগ্রামে পুলিশ পেটানো মামলায় বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আলম রনিকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। রোববার(২৭ মার্চ) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সামসুল আলম রনি, নাটোর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শরীফ উদ্দিনের এজলাসে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানান। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ই জানুয়ারী বিএনপি নেতা-কর্মীরা বড়াইগ্রামের কয়েন বাজার এলাকায় বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী দলীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে মিছিল শেষে মহাসড়ক অবরোধ করে সভা করছিলেন। এসময় মহাড়কের দু’পাড়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। এই সংবাদ পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার তৎকালীন এসআই সত্যব্রত সরকার সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি না করে সভা না করার অনুরোধ করেন।
এসময় রনিসহ কয়েকজন তাদের নিষেধ অমান্য করে সভাচালাতে গেলে পুলিশ বাধা নেতা কর্মীরা এসআই সত্যব্রতর ওপর চড়াও হয়ে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপির নেতা -কর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনায় এসআই সত্যব্রত সরকার বাদি হয়ে সামসুল আলম রনিসহ বিএনপির স্থানীয় ৩৭ নেতা -কর্মীর না উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো শতাধিক জনকে আসামী করে সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/১৮৬/১১৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করেন।
রনির আইনজীবি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এই মামলায় সামসুল আলম রনি সহ ৫ জন মহামান্য হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে মহামান্য হাইকোর্ট ৬ সপ্তাহের মধ্যে নাটোরের জেলা ও দায়ংরা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ রনি ব্যতিত ৪ জন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। আজ রোববার সামসুল আলম রনি একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।