২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে দলীয় ব্যানার ও ফেস্টুন সহকারে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করে জেলা আওয়ামী লীগ। আনন্দ মিছিল টি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বের হয়ে সদর রোড় গুরে বাংলা স্কুল মাঠে এসে শেষ হয়। পরে বাংলা স্কুল মাঠের ভাষানী মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য , ৬৯ এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়ের মধ্যেই নিহীত ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

তিনি আরো বলেন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই ঐতিহাসিক দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি । তিনি শুধু বাংলাদেশের নন, আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা ছিলেন। তিনি প্রথমে নিজের দল আওয়ামী লীগকে, তারপরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে প্রস্তুত  করেছেন।

জাতীয় এই নেতা আরো বলেন বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছেন যে বাংলার ভাগ্য বাঙালিদেরই ঠিক করতে হবে । সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছেন। আর এ পথে হাটতে গিয়ে ই বার বার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার পথে হাটার কারনে জীবনের ১৩টি বছর কারাগারের অন্ধকারে কাটিয়েছেন। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার আন্দোলনের একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যেশে ‘একদিকে রাষ্ট্র আরেক দিকে শেখ মুজিব অর্থাৎ আগরতলা মামলার আসামি হিসেবে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান।

তখন বাংলার জাগ্রত ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তুলে সর্বাত্মক গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আসাদ-মতিউর-মকবুল-রুস্তম-আলমগীর-সার্জেন্ট জহুরুল হক-ড. সামসুজ্জোহাসহ অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে কারামুক্ত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে বাঙালি জাতি এই মহামানব কে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম।

১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বলে জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই প্রবীন নেতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এমপি।

সাবেক এই মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন ভোলা জেলা আ’লীগ ঐক্য বদ্ধ কোন দুষ্ট লোকদের কথায় কান দিবে না  সামনে জেলা আ’লীগের সম্মেলন সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ই কমিটি গঠন করা হবে।

ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট জুলফিকার আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকিব , উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি দোস্ত মাহমুদ, আশ্রাফ হোসেন লাভু।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম এর সঞ্চালনা আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লাহ, জেলা আ’লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক সামসুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভায় ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ,তাতীলীগ, শ্রমীকলীগ, ছাত্রলীগসহ ভোলা সদর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা  উপস্থিত ছিলেন।