সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
সোনাগাজীতে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত ব্রীজ ব্যবহারে জনসাধারনকে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মহিউদ্দিন সোনাগাজী সরকারী ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় তার বিচার ও চলাচলের পথ উম্মুক্ত করার দাবীতে রবিবার দুপুরে সোনাগাজী পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করেন প্রায় দুই শতাধিক ভুক্তভোগী নারী পুরুষ।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সোনাগাজী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মহেশ্বর গ্রামের তেমুহনী নামক স্থানের শকুনিয়া খালের উপর জনসাধারণের চলাচলের জন্য এলজিইডি কর্তৃক বক্স কালভার্ট নির্মান করা হয়। গত ১৩ সালে নির্মিত ওই কালভার্ট নির্মানে খরচ হয় ১৩ লাখ টাকা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের অভিযোগ কালভার্ট নির্মাণ হওয়ার পর উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের নজিয়ার বাপের বাড়ীর পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে দাসেরহাট গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে শিক্ষক মহিউদ্দিন (মমিন হুজুর) আশপাশের লোকদের কাছ থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। পরে তিনি রাস্তা সংস্কার না করে ঐ টাকা আত্মসাৎ করেন। টাকা ফেরত চাইলে শিক্ষক মহি উদ্দিন রাস্তা ও কালভার্টের সংযোগস্থলে টিনের বেড়া দিয়ে জনসাধারনের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় অধিবাসী মাবুল হক, মকবুল আহমদ, আবদুল শুক্কুরও সিরাজুল হক বলেন,নজিয়ার বাপের বাড়ীতে ১৮টি পরিবারে প্রায় ৩০০জন লোক বসবাস করেন। যাদের চলাচলের জন্য বিকল্প কোন রাস্তা নেই। জমির আইল দিয়ে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পথ হেঁটে সোনাগাজী কাশ্মীর বাজার রোডের মহেশ্বর তেমুহণী আসতে হয় । অনেক কষ্টে ভাঙাচোরা আইলে দিয়ে এসে ব্রীজে উঠতে গেলে শিক্ষক মহিউদ্দিন মাস্টার ও তার লোকজন আমাদের বাঁধা সৃষ্টি করেন। ইতিমধ্যে শিক্ষক মহিউদ্দিন কালভার্টের পশ্চিমে রাস্তায় ঘর নির্মান করে তিনি চতুর্দিকে দেওয়াল নির্মাণ করে কালভার্টটি এককভাবে ব্যবহার করছেন।
স্থানীয় অধিবাসী সফিউল্যাহ বলেন,কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ার কারনে গ্রামের ছেলে মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। প্রস‚তি বা জটিল রোগীদের হাসপাতালে নিতে ও গৃহস্থালি মালামাল বহন এবং কেউ মারা গেলে লাশ বহন করে কবরস্তানে নিতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র সহ বিভিন্ন দপ্তরে রাস্তা করার জন্য আবেদন করেও অধ্যাবধি কোন সুফল পাইনি বরং শিক্ষক মহিউদ্দিন মাস্টার আমাদের নামে মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহনকারী শিক্ষক মহিউদ্দিনের বিচার চেয়ে মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল হায়াতের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ঢাকাতে রয়েছে জানিয়ে পরে কথা বলবে বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।