![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ সকালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গন। এই জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের পাশাপাশি শহীদ বেদিতে ফুল দিতে আসেন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের একটি দল।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরই হুইল চেয়ারে করে শহীদ বেদিতে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারী ও শিশুসহ ১৩ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে পেরে তাদের মুখে হাস্যজ্জল প্রশান্তির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। যেনো এক মুহুর্তের জন্য তারা ভুলে গিয়েছিল হুইল চেয়ার তাদের পরাধীন করে রেখেছে। মনে হয়েছে তারা স্বাধীন।
প্রতি বছর পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্দ্যোগে তাদের প্রতিষ্ঠানে থাকা বিভিন্ন জেলার কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আনা হয়। এবারও প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিয়ে এসেছেন।
ওই ১৩ জনের সঙ্গে ফুল দিতে আসা শারীরিক প্রতিবন্ধী তনন কুন্ড জয় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বীর শহীদরা নিজেদের উজার করে দিয়েছিল। অনেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ হাত-পা কিংবা সম্ভ্রম হারিয়েছে। আমাদের শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতা আছে। শুধু এই প্রতিবন্ধকতার কারণে যদি আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কারপন্য করি তাহলে সেটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামের লালচান ড্রাইভারের ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী রুবেল তালুকদার বলেন, প্রতি বছরে আমাদের মতো প্রতিবন্ধী কেউ না কেউ এই স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এবার আমিও এসেছি। অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল এখানে আসার। দেশের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি প্রশান্তি অনুভব করছি। তাদের হাজারও ছালাম রইল।
এ বিষয়ে সিআরপির সমাজ কল্যান বিভাগের প্রধান মোঃ শফিউল্লাহ বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধীদের নিয়েই কাজ করে। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অনেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে চায়। আর প্রতি বছর কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকেই এখানে আনা হয়। আমরা অনেকে শিশুকেও এখানে এনে থাকি যেনো তারা মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে পারে৷
তিনি আরো বলেন, অন্য আট দশজন মানুষের মতো স্মৃতিসৌধে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রতি বছর অনেক শারীরিক প্রতিবন্ধী আমাদের সাথে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা জানতে চায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শহীদদের বিরত্তগাথা।