বাংলাদেশ ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

ইসলাম মতে বিজয় উদযাপনে করণীয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ২১৯৩ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
ইসলাম হচ্ছে সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এমন কোনো বিষয় নেই, যার নির্দেশনা পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে নেই।
হজরত নবী করিম (সা.) আল্লাহতায়ালার নির্দেশনা অনুসারে আমাদের জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলোর বাস্তব নমুনা পেশ করেছেন। যেমন পবিত্র কোরআনে কারিমে বর্ণিত একটি সূরা হচ্ছে ‘আল ফাতহ’ অর্থ বিজয়।
আরেকটি সূরার নাম ‘আন নাসর’ অর্থ মুক্তি ও সাহায্য। সূরা নাসরের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের বিজয় উৎসব করার নিয়ম বাতলে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে, তখন মানুষদের তুমি দেখবে, তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে। অতঃপর তুমি তোমার মালিকের প্রশংসা কর এবং তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা কর; অবশ্যই তিনি তওবা কবুলকারী। ’ -সূরা নাসর: ১-৩
এই সূরায় আল্লাহতায়ালা বিজয় অর্জনের পর দুটি কাজ করতে বলেছেন। এক. বিজয় অর্জিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করে তার দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করা। দুই. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আসলে স্বাধীন হওয়ার চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু নেই। এ কারণেই আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিলেন, ‘তোমরা বিজয় লাভ করেছ, এখন তোমাদের কাজ হচ্ছে এ বিজয়ের জন্য আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে কিংবা তাসবিহ পাঠ করে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। বিজয়ের দিনে যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, সেসব শহীদের জন্য দোয়া করা। সেই সঙ্গে তাদের শাহাদাত থেকে নতুন করে শপথ নেয়া, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার, বাতিলের কাছে মাথা নত না করার এবং অন্যের কাছে নিজের স্বাধীনতা বিকিয়ে না দেয়ার। ’
আমরা মুসলমান। তাই বিজয় উৎসব করতে গিয়ে আল্লাহকে ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করেছেন, এটা আল্লাহর অপার অনুগ্রহ।
অষ্টম হিজরিতে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা বিজয় করেন এবং মক্কার কুরাইশদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। নবী (সা.) বিজয়ের দিন শোকরিয়াস্বরূপ আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন।
আজ  26 মার্চ। আমাদের বিজয়ের দিন। এ দিনে আমরাও সাধ্যমতো নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করতে পারি। সেই সঙ্গে কোরআনে কারিম তেলাওয়াত ও দান-খয়রাত ইত্যাদির মতো ভালো কিছু কাজ করতে পারি, যা যুদ্ধকালীন শহীদসহ অন্যদের উপকারে আসে, তাদের নাজাতের উসিলা হয়। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে ইসলাম মতে বিজয় উদযাপনের তওফিক দান করুন। আমিন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

ইসলাম মতে বিজয় উদযাপনে করণীয়

আপডেট সময় ১২:২৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
ইসলাম হচ্ছে সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এমন কোনো বিষয় নেই, যার নির্দেশনা পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে নেই।
হজরত নবী করিম (সা.) আল্লাহতায়ালার নির্দেশনা অনুসারে আমাদের জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলোর বাস্তব নমুনা পেশ করেছেন। যেমন পবিত্র কোরআনে কারিমে বর্ণিত একটি সূরা হচ্ছে ‘আল ফাতহ’ অর্থ বিজয়।
আরেকটি সূরার নাম ‘আন নাসর’ অর্থ মুক্তি ও সাহায্য। সূরা নাসরের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের বিজয় উৎসব করার নিয়ম বাতলে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে, তখন মানুষদের তুমি দেখবে, তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে। অতঃপর তুমি তোমার মালিকের প্রশংসা কর এবং তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা কর; অবশ্যই তিনি তওবা কবুলকারী। ’ -সূরা নাসর: ১-৩
এই সূরায় আল্লাহতায়ালা বিজয় অর্জনের পর দুটি কাজ করতে বলেছেন। এক. বিজয় অর্জিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করে তার দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করা। দুই. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আসলে স্বাধীন হওয়ার চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু নেই। এ কারণেই আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিলেন, ‘তোমরা বিজয় লাভ করেছ, এখন তোমাদের কাজ হচ্ছে এ বিজয়ের জন্য আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে কিংবা তাসবিহ পাঠ করে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। বিজয়ের দিনে যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, সেসব শহীদের জন্য দোয়া করা। সেই সঙ্গে তাদের শাহাদাত থেকে নতুন করে শপথ নেয়া, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার, বাতিলের কাছে মাথা নত না করার এবং অন্যের কাছে নিজের স্বাধীনতা বিকিয়ে না দেয়ার। ’
আমরা মুসলমান। তাই বিজয় উৎসব করতে গিয়ে আল্লাহকে ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে আল্লাহ আমাদের বিজয় দান করেছেন, এটা আল্লাহর অপার অনুগ্রহ।
অষ্টম হিজরিতে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা বিজয় করেন এবং মক্কার কুরাইশদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। নবী (সা.) বিজয়ের দিন শোকরিয়াস্বরূপ আট রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন।
আজ  26 মার্চ। আমাদের বিজয়ের দিন। এ দিনে আমরাও সাধ্যমতো নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করতে পারি। সেই সঙ্গে কোরআনে কারিম তেলাওয়াত ও দান-খয়রাত ইত্যাদির মতো ভালো কিছু কাজ করতে পারি, যা যুদ্ধকালীন শহীদসহ অন্যদের উপকারে আসে, তাদের নাজাতের উসিলা হয়। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে ইসলাম মতে বিজয় উদযাপনের তওফিক দান করুন। আমিন।