বাংলাদেশ ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে
মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৮৭ বার পড়া হয়েছে

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

 

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম) মিঠাপুকুর উপজেলা-
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানে জমি দান করার পর, কবরস্থান কমিটিকে হয়রানি এবং দাফন কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ-কর্মকর্তার নাম আলহাজ্ব আব্দুল জলিল।
এলাকাবাসী জানান, অভিরামনুরপুর গ্রামে পূর্বে কোন কবস্হান ছিলোনা। কবরস্থান না থাকায় কেউ মারা গেলে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন বা প্রভাবশালীদের জমিতে অনুরোধ করে কবরস্থ করা লাগতো। বিভিন্ন সময়ে একটি কবরস্থানের দাবি ছিলো দাতা এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কাছে গ্রামের ভূমিহীনদের।
কিছু তরুন এবং যুবকদের প্রচেষ্টায় ঐ-গ্রামে একটি কবরস্থানের উদ্যোগ নিলে একই গ্রামের শহরে বসবাসরত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তার নিজ-নামীয় ১৬ শতাংশ জমি কবরস্থানে দান করার প্রস্তাব রাখেন। মসজিদ কমিটি, মুরুব্বি, ঈমাম সবাই আলোচনা করে গ্রাম থেকে প্রতি বাড়িতে চাঁদা তুলে কবরস্থানের জন্য শর্তবিহীন জমিটি ১,৫০,০০০ হাজার টাকায় দানপত্র কবলা দলিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
মসজিদ কমিটি, কবরস্থান কমিটি, দাতার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ জুন ২০১৮ সালে ৬৩৫০ দলিল মূলে অভিরামনুরপুর মৌজায় ১৬ শতাংশ জমি আব্দুল জলিল অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানের নামে কবলা করে দেন।
জমি কবলা হবার পর কবরস্থান কমিটি নিচু জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেন, ইতিমধ্যে সেখানে এলাবাসী কয়েকটি মরদেহ দাফন করেন। কিন্তু একটি আত্মহত্যার মরদেহ দাফন করতে গেলে বাঁধা দেন জমিদাতার স্বজনরা। এরপর থেকে শুরু হয় জমিদাতা আব্দুল জলিল মিয়ার জমি ফেরতের চেষ্টা। তিনি একের-পর এক, কবরস্থান কমিটি এবং মসজিদ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি ফেরত চেয়ে হয়রানি করে আসছেন।
কবরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ জানান, জমি কবলা করার পর সে আর জমি ফেরতের অধিকার রাখেনা। কেউ মারা গেলে আব্দুল জলিল লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে আসছে। এভাবে আমাদের হয়রানি করা তার উচিত নয়।দান করার পর তিনি সম্পত্তির লোভ করছেন। কিন্তু যেসব লাশের কবর হয়েছে সেসব কবরের কি হবে। এটা একজন মুসলমানের কাজ নয়।আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।
অভিযুক্ত জমিদাতা আব্দুল জলিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে। পরে তার ভাতিজি সাইজু বেগম জানান, আমাদের বাবার জমিও আছে এখানে। আমরা মাটি দিতে দেবোনা।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

আপডেট সময় ০২:০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম) মিঠাপুকুর উপজেলা-
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানে জমি দান করার পর, কবরস্থান কমিটিকে হয়রানি এবং দাফন কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ-কর্মকর্তার নাম আলহাজ্ব আব্দুল জলিল।
এলাকাবাসী জানান, অভিরামনুরপুর গ্রামে পূর্বে কোন কবস্হান ছিলোনা। কবরস্থান না থাকায় কেউ মারা গেলে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন বা প্রভাবশালীদের জমিতে অনুরোধ করে কবরস্থ করা লাগতো। বিভিন্ন সময়ে একটি কবরস্থানের দাবি ছিলো দাতা এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কাছে গ্রামের ভূমিহীনদের।
কিছু তরুন এবং যুবকদের প্রচেষ্টায় ঐ-গ্রামে একটি কবরস্থানের উদ্যোগ নিলে একই গ্রামের শহরে বসবাসরত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তার নিজ-নামীয় ১৬ শতাংশ জমি কবরস্থানে দান করার প্রস্তাব রাখেন। মসজিদ কমিটি, মুরুব্বি, ঈমাম সবাই আলোচনা করে গ্রাম থেকে প্রতি বাড়িতে চাঁদা তুলে কবরস্থানের জন্য শর্তবিহীন জমিটি ১,৫০,০০০ হাজার টাকায় দানপত্র কবলা দলিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
মসজিদ কমিটি, কবরস্থান কমিটি, দাতার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ জুন ২০১৮ সালে ৬৩৫০ দলিল মূলে অভিরামনুরপুর মৌজায় ১৬ শতাংশ জমি আব্দুল জলিল অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানের নামে কবলা করে দেন।
জমি কবলা হবার পর কবরস্থান কমিটি নিচু জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেন, ইতিমধ্যে সেখানে এলাবাসী কয়েকটি মরদেহ দাফন করেন। কিন্তু একটি আত্মহত্যার মরদেহ দাফন করতে গেলে বাঁধা দেন জমিদাতার স্বজনরা। এরপর থেকে শুরু হয় জমিদাতা আব্দুল জলিল মিয়ার জমি ফেরতের চেষ্টা। তিনি একের-পর এক, কবরস্থান কমিটি এবং মসজিদ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি ফেরত চেয়ে হয়রানি করে আসছেন।
কবরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ জানান, জমি কবলা করার পর সে আর জমি ফেরতের অধিকার রাখেনা। কেউ মারা গেলে আব্দুল জলিল লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে আসছে। এভাবে আমাদের হয়রানি করা তার উচিত নয়।দান করার পর তিনি সম্পত্তির লোভ করছেন। কিন্তু যেসব লাশের কবর হয়েছে সেসব কবরের কি হবে। এটা একজন মুসলমানের কাজ নয়।আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।
অভিযুক্ত জমিদাতা আব্দুল জলিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে। পরে তার ভাতিজি সাইজু বেগম জানান, আমাদের বাবার জমিও আছে এখানে। আমরা মাটি দিতে দেবোনা।