ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান নেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জননেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জন বদলগাছিতে শিশু জুঁই ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগটি ৬০ হাজার টাকায় রফদফা একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোরে জোড়া খুন রানীশংকৈল জয়কালী বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের অভিযান পটুয়াখালীতে রমজানে খেটে-খাওয়া রোজাদার পথেই পাবে ইফতার কুমিল্লায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বদলগাছিতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির টাকা ইউপি সদস্যর পকেটে ব্রাহ্মণপাড়ায় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১ জন যশোরে মামলা প্রত্যাহারসহ সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সাউন্ডবাংলা-পল্টনড্ডায় ইফতার ও স্বপ্নালোক-এর মোড়ক উন্মোচন নতুন কৌশলে ডাক্তার কোটিপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন
মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৯৯ বার পড়া হয়েছে

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম) মিঠাপুকুর উপজেলা-
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানে জমি দান করার পর, কবরস্থান কমিটিকে হয়রানি এবং দাফন কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ-কর্মকর্তার নাম আলহাজ্ব আব্দুল জলিল।
এলাকাবাসী জানান, অভিরামনুরপুর গ্রামে পূর্বে কোন কবস্হান ছিলোনা। কবরস্থান না থাকায় কেউ মারা গেলে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন বা প্রভাবশালীদের জমিতে অনুরোধ করে কবরস্থ করা লাগতো। বিভিন্ন সময়ে একটি কবরস্থানের দাবি ছিলো দাতা এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কাছে গ্রামের ভূমিহীনদের।
কিছু তরুন এবং যুবকদের প্রচেষ্টায় ঐ-গ্রামে একটি কবরস্থানের উদ্যোগ নিলে একই গ্রামের শহরে বসবাসরত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তার নিজ-নামীয় ১৬ শতাংশ জমি কবরস্থানে দান করার প্রস্তাব রাখেন। মসজিদ কমিটি, মুরুব্বি, ঈমাম সবাই আলোচনা করে গ্রাম থেকে প্রতি বাড়িতে চাঁদা তুলে কবরস্থানের জন্য শর্তবিহীন জমিটি ১,৫০,০০০ হাজার টাকায় দানপত্র কবলা দলিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
মসজিদ কমিটি, কবরস্থান কমিটি, দাতার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ জুন ২০১৮ সালে ৬৩৫০ দলিল মূলে অভিরামনুরপুর মৌজায় ১৬ শতাংশ জমি আব্দুল জলিল অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানের নামে কবলা করে দেন।
জমি কবলা হবার পর কবরস্থান কমিটি নিচু জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেন, ইতিমধ্যে সেখানে এলাবাসী কয়েকটি মরদেহ দাফন করেন। কিন্তু একটি আত্মহত্যার মরদেহ দাফন করতে গেলে বাঁধা দেন জমিদাতার স্বজনরা। এরপর থেকে শুরু হয় জমিদাতা আব্দুল জলিল মিয়ার জমি ফেরতের চেষ্টা। তিনি একের-পর এক, কবরস্থান কমিটি এবং মসজিদ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি ফেরত চেয়ে হয়রানি করে আসছেন।
কবরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ জানান, জমি কবলা করার পর সে আর জমি ফেরতের অধিকার রাখেনা। কেউ মারা গেলে আব্দুল জলিল লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে আসছে। এভাবে আমাদের হয়রানি করা তার উচিত নয়।দান করার পর তিনি সম্পত্তির লোভ করছেন। কিন্তু যেসব লাশের কবর হয়েছে সেসব কবরের কি হবে। এটা একজন মুসলমানের কাজ নয়।আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।
অভিযুক্ত জমিদাতা আব্দুল জলিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে। পরে তার ভাতিজি সাইজু বেগম জানান, আমাদের বাবার জমিও আছে এখানে। আমরা মাটি দিতে দেবোনা।

কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

মিঠাপুকুরে কবরস্থানে জমি দান করার পর দাফনে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ 

আপডেট সময় ০২:০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম) মিঠাপুকুর উপজেলা-
মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং-পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানে জমি দান করার পর, কবরস্থান কমিটিকে হয়রানি এবং দাফন কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ-কর্মকর্তার নাম আলহাজ্ব আব্দুল জলিল।
এলাকাবাসী জানান, অভিরামনুরপুর গ্রামে পূর্বে কোন কবস্হান ছিলোনা। কবরস্থান না থাকায় কেউ মারা গেলে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন বা প্রভাবশালীদের জমিতে অনুরোধ করে কবরস্থ করা লাগতো। বিভিন্ন সময়ে একটি কবরস্থানের দাবি ছিলো দাতা এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কাছে গ্রামের ভূমিহীনদের।
কিছু তরুন এবং যুবকদের প্রচেষ্টায় ঐ-গ্রামে একটি কবরস্থানের উদ্যোগ নিলে একই গ্রামের শহরে বসবাসরত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তার নিজ-নামীয় ১৬ শতাংশ জমি কবরস্থানে দান করার প্রস্তাব রাখেন। মসজিদ কমিটি, মুরুব্বি, ঈমাম সবাই আলোচনা করে গ্রাম থেকে প্রতি বাড়িতে চাঁদা তুলে কবরস্থানের জন্য শর্তবিহীন জমিটি ১,৫০,০০০ হাজার টাকায় দানপত্র কবলা দলিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
মসজিদ কমিটি, কবরস্থান কমিটি, দাতার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ জুন ২০১৮ সালে ৬৩৫০ দলিল মূলে অভিরামনুরপুর মৌজায় ১৬ শতাংশ জমি আব্দুল জলিল অভিরামনুরপুর সামাজিক কবরস্থানের নামে কবলা করে দেন।
জমি কবলা হবার পর কবরস্থান কমিটি নিচু জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেন, ইতিমধ্যে সেখানে এলাবাসী কয়েকটি মরদেহ দাফন করেন। কিন্তু একটি আত্মহত্যার মরদেহ দাফন করতে গেলে বাঁধা দেন জমিদাতার স্বজনরা। এরপর থেকে শুরু হয় জমিদাতা আব্দুল জলিল মিয়ার জমি ফেরতের চেষ্টা। তিনি একের-পর এক, কবরস্থান কমিটি এবং মসজিদ কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি ফেরত চেয়ে হয়রানি করে আসছেন।
কবরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ জানান, জমি কবলা করার পর সে আর জমি ফেরতের অধিকার রাখেনা। কেউ মারা গেলে আব্দুল জলিল লাশ দাফনে বাঁধা দিয়ে আসছে। এভাবে আমাদের হয়রানি করা তার উচিত নয়।দান করার পর তিনি সম্পত্তির লোভ করছেন। কিন্তু যেসব লাশের কবর হয়েছে সেসব কবরের কি হবে। এটা একজন মুসলমানের কাজ নয়।আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।
অভিযুক্ত জমিদাতা আব্দুল জলিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে। পরে তার ভাতিজি সাইজু বেগম জানান, আমাদের বাবার জমিও আছে এখানে। আমরা মাটি দিতে দেবোনা।