
সুনামগঞ্জের ছাতক থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিচয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। সে ব্রাম্মনবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দত্তখলা (শিকারপুর) এলাকার মৃত হিম্মত আলীর ছেলে।
গত শুক্রবার রাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো.বিল্লাল হোসেনের তদারকিতে ও ছাতক থানা ওসির নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ নিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
শনিবার দুপুরে থানা পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতারক সাদ্দাম হোসেনের সহযোগীদের ধরতে পলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছাতকে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বিকাশে মাধ্যমে একাধিক প্রতারনা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগী অনেকেই থানায় মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রতারনার স্বীকার বেশ কয়েকজন থানায় অভিযোগও করেছেন। এসব অভিযোগের পর পুলিশ গত এক বছরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্তত ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থানা থেকে দু’জন আসামী ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওসির পরিচয় দিয়ে প্রতারক সাদ্দাম হোসেন বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় খবর চারদিক ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে শুরু হয় নানামূখী আলোচনা-সমালোচনা। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিকাশে প্রতারনার মুলহোতা সাদ্দামকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক মো.শাহীন হোসেন বাদী হয়ে সাদ্দামসহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিকাশে টাকা লেনদেনের বিষয়ে জনসাধারনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে কেই বিকাশে টাকা চাইলে অবশ্যই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা প্রয়োজন।