বাংলাদেশ ১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে: জবি উপাচার্য যশোরে শিশু অপহরণ করে পর্নো ভিডিও তৈরীতে জড়িত ২ সদস্যকে গ্রেফতার কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ব্রাহ্মণপাড়ার নারী নিহত মোহনপুরে বজ্রপাতে দুই গরুর মৃত্যু পিরোজপুরে অপ চিকিৎসায় ট্রাক চালক পঙ্গু মামলায় ২ আসামী কারাগারে  লালন শাহ’র মাজারের সামনে মানববন্ধনে লালন সাঁইয়ের অনুসারী চায়না বেগম, আমি স্বামীর মাজারেই থাকব ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ  ব্রাহ্মণপাড়া ঔষধ সমিতির অবহিত করণ ও জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত  পুঠিয়ায় মাছবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু আরএমপি প্রতিষ্ঠার ৩২তম বার্ষিকী উদ্বোধন করলেন আইজিপি উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিএনপির নেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতার ছবি!  রাবির ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট পাস, সবোর্চ্চ বরাদ্দ বেতন-ভাতায় ব্রাহ্মণপাড়ায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন গ্রেফতার ঝিনাইদহে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল রোটাক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা শাইনিং স্টারের আংশিক কমিটি ঘোষণা 

ভারতীয় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের বিপুল পরিমান অবৈধ চোরাই এন্ড্রয়েড ফোন ও ফিচার ফোনসহ চোরাই চক্রের মূলহোতা আবু তাহেরসহ মোট ০৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

ভারতীয় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের বিপুল পরিমান অবৈধ চোরাই এন্ড্রয়েড ফোন ও ফিচার ফোনসহ চোরাই চক্রের মূলহোতা আবু তাহেরসহ মোট ০৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকা হতে ভারতীয় কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের বিপুল পরিমান অবৈধ চোরাই এন্ড্রয়েড ফোন ও ফিচার ফোনসহ কুমিল্লা-ঢাকা রুটের চোরাই চক্রের মূলহোতা আবু তাহেরসহ মোট ০৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি, মোবাইল চোরাকারবারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

দীর্ঘদিন যাবৎ র‍্যাব-৩ চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের কার্যক্রমের উপর নজরদারী করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে ভারত হতে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মোবাইলফোন বাংলাদেশে এনে তা কম দামে বিভিন্ন শ্রেনীর গ্রাহকের কাছে বিক্রয়কারী একটি মোবাইল চোরাকারবারীর চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল উদ্ধারসহ উক্ত চক্রের ০৪ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়।

সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৯/০৬/২০২৪ তারিখ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা ১। আবু তাহের (২৬), পিতা-তারা মিয়া, তিতাস, কুমিল্লা এবং তার অন্যতম সহযোগী ২। মোঃ মেহেদী হাসান (২২), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা সদর, ৩। মোঃ রুবেল হোসেন (২৯), পিতা-মোঃ জুলহাস, তিতাস, কুমিল্লা, ৪। মোঃ নূর নবী (৩২), পিতা-নূর ইসলাম, সেনবাগ, নোয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৮০৮ টি চোরাই মোবাইলফোন, ০২ টি প্রাইভেটকার, এবং নগদ ৫,৩৬৯/-টাকা জব্দ করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় যে, তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর মাধ্যমে কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে। মূলত সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারনে অধিক লাভের আশায় গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে।

এছাড়াও এ সকল ফোনের ওগঊও নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা ভারতীয় এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। ধৃত আসামিরা আরও জানায়, চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করত।

গ্রেফতারকৃত আবু তাহের ভারত হতে মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত ০৩ বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকুরি শুরু করে। তখন থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।

একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকুরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে। অল্প সময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় এবং তার এই অপরাধ কর্মকান্ডটি বিস্তৃত করতে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ০৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী উক্ত চক্রটির মূলহোতা আবু তাহেরের অন্যতম সহযোগী। সে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বাসিন্দা। তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে চোরাইপথে মোবাইল আমদানির চক্রে তাহেরের সাথে জড়িয়েছে বলে জানা যায়। গত দেড় মাসে সে তাহের এর সাথে মিলে ৫ টি বড় চালান নির্বিঘ্নে ঢাকায় সরবরাহ করেছে। তার দাবী সে কুমিল্লা সদরের জনৈক সাজ্জাদ ওরফে শাকিল কর্তৃক বেতনভুক্ত কর্মচারী তবে তার এই দাবীর সত্যতা পাওয়া যায় নি।

গ্রেফতারকৃত রুবেল একজন গাড়ি চালক। প্রথমে সে রেন্ট এ কার এর গাড়ি ভাড়ায় চালালেও পরবর্তীতে তাহের এর চক্রে যোগ দেয়ার পরে তাহের তাকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালাতে দেয়। সে উক্ত প্রাইভেটকারটি চালানোর আড়ালে চোরাইপথে আসা মোবাইলসমূহ তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহের কাজ করে থাকে।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নূরনবী ফেনী জেলার মহিপাল এলাকার জনৈক টিটু চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে চাকুরি করত। তাহেরের সাথে পরিচয়ের পর অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় সে চোরাই মোবাইল ফোন পরিবহনের এই চক্রের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনের চালান বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দেয়ার কাজ শুরু করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে: জবি উপাচার্য

ভারতীয় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের বিপুল পরিমান অবৈধ চোরাই এন্ড্রয়েড ফোন ও ফিচার ফোনসহ চোরাই চক্রের মূলহোতা আবু তাহেরসহ মোট ০৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

আপডেট সময় ০৭:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকা হতে ভারতীয় কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের বিপুল পরিমান অবৈধ চোরাই এন্ড্রয়েড ফোন ও ফিচার ফোনসহ কুমিল্লা-ঢাকা রুটের চোরাই চক্রের মূলহোতা আবু তাহেরসহ মোট ০৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি, মোবাইল চোরাকারবারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

দীর্ঘদিন যাবৎ র‍্যাব-৩ চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের কার্যক্রমের উপর নজরদারী করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে ভারত হতে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ মোবাইলফোন বাংলাদেশে এনে তা কম দামে বিভিন্ন শ্রেনীর গ্রাহকের কাছে বিক্রয়কারী একটি মোবাইল চোরাকারবারীর চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল উদ্ধারসহ উক্ত চক্রের ০৪ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়।

সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৯/০৬/২০২৪ তারিখ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের মূলহোতা ১। আবু তাহের (২৬), পিতা-তারা মিয়া, তিতাস, কুমিল্লা এবং তার অন্যতম সহযোগী ২। মোঃ মেহেদী হাসান (২২), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা সদর, ৩। মোঃ রুবেল হোসেন (২৯), পিতা-মোঃ জুলহাস, তিতাস, কুমিল্লা, ৪। মোঃ নূর নবী (৩২), পিতা-নূর ইসলাম, সেনবাগ, নোয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৮০৮ টি চোরাই মোবাইলফোন, ০২ টি প্রাইভেটকার, এবং নগদ ৫,৩৬৯/-টাকা জব্দ করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় যে, তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে চোরাইপথে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কারখানায় তৈরী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর মাধ্যমে কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসে। মূলত সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারনে অধিক লাভের আশায় গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে।

এছাড়াও এ সকল ফোনের ওগঊও নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা ভারতীয় এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। ধৃত আসামিরা আরও জানায়, চোরাইপথে আনা এ সকল মোবাইল তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল বিক্রয়কারী মার্কেটে সরবরাহ করত।

গ্রেফতারকৃত আবু তাহের ভারত হতে মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত ০৩ বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকুরি শুরু করে। তখন থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।

একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকুরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে। অল্প সময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় এবং তার এই অপরাধ কর্মকান্ডটি বিস্তৃত করতে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের ০৫টি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী উক্ত চক্রটির মূলহোতা আবু তাহেরের অন্যতম সহযোগী। সে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বাসিন্দা। তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে চোরাইপথে মোবাইল আমদানির চক্রে তাহেরের সাথে জড়িয়েছে বলে জানা যায়। গত দেড় মাসে সে তাহের এর সাথে মিলে ৫ টি বড় চালান নির্বিঘ্নে ঢাকায় সরবরাহ করেছে। তার দাবী সে কুমিল্লা সদরের জনৈক সাজ্জাদ ওরফে শাকিল কর্তৃক বেতনভুক্ত কর্মচারী তবে তার এই দাবীর সত্যতা পাওয়া যায় নি।

গ্রেফতারকৃত রুবেল একজন গাড়ি চালক। প্রথমে সে রেন্ট এ কার এর গাড়ি ভাড়ায় চালালেও পরবর্তীতে তাহের এর চক্রে যোগ দেয়ার পরে তাহের তাকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় চালাতে দেয়। সে উক্ত প্রাইভেটকারটি চালানোর আড়ালে চোরাইপথে আসা মোবাইলসমূহ তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহের কাজ করে থাকে।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নূরনবী ফেনী জেলার মহিপাল এলাকার জনৈক টিটু চৌধুরীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিসেবে চাকুরি করত। তাহেরের সাথে পরিচয়ের পর অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় সে চোরাই মোবাইল ফোন পরিবহনের এই চক্রের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং তাহেরের নির্দেশে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনের চালান বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দেয়ার কাজ শুরু করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।