বাংলাদেশ ১১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে: জবি উপাচার্য যশোরে শিশু অপহরণ করে পর্নো ভিডিও তৈরীতে জড়িত ২ সদস্যকে গ্রেফতার কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ব্রাহ্মণপাড়ার নারী নিহত মোহনপুরে বজ্রপাতে দুই গরুর মৃত্যু পিরোজপুরে অপ চিকিৎসায় ট্রাক চালক পঙ্গু মামলায় ২ আসামী কারাগারে  লালন শাহ’র মাজারের সামনে মানববন্ধনে লালন সাঁইয়ের অনুসারী চায়না বেগম, আমি স্বামীর মাজারেই থাকব ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ  ব্রাহ্মণপাড়া ঔষধ সমিতির অবহিত করণ ও জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত  পুঠিয়ায় মাছবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু আরএমপি প্রতিষ্ঠার ৩২তম বার্ষিকী উদ্বোধন করলেন আইজিপি উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিএনপির নেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতার ছবি!  রাবির ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট পাস, সবোর্চ্চ বরাদ্দ বেতন-ভাতায় ব্রাহ্মণপাড়ায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন গ্রেফতার ঝিনাইদহে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল রোটাক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা শাইনিং স্টারের আংশিক কমিটি ঘোষণা 

পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু জেল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • ১৬০৮ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু জেল

 

মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে নিজের ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বি.এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামে। তিনি সেখানকার মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় ভিকটিম তরুনীর মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। তিনি গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তাদের দাম্পত্যে ৫ জন সন্তান রয়েছে। সাইফুল দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগষ্ট মাসের দিকে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বাদীনি। তার সঙ্গে থাকে ভিকটিম মেয়ে ও ছোট দুই ছেলে।

এদিকে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভিকটিম মেয়ে। সেখানে বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে সে। বিয়ে অনুষ্ঠানের তিনদিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের সৎ মা কোথাও বেড়াতে যায়। এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার ঘুমন্ত মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভিকটিম মেয়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব (লাবু)। উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে: জবি উপাচার্য

পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু জেল

আপডেট সময় ০৬:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে নিজের ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বি.এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামে। তিনি সেখানকার মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় ভিকটিম তরুনীর মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। তিনি গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তাদের দাম্পত্যে ৫ জন সন্তান রয়েছে। সাইফুল দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগষ্ট মাসের দিকে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বাদীনি। তার সঙ্গে থাকে ভিকটিম মেয়ে ও ছোট দুই ছেলে।

এদিকে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভিকটিম মেয়ে। সেখানে বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে সে। বিয়ে অনুষ্ঠানের তিনদিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের সৎ মা কোথাও বেড়াতে যায়। এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার ঘুমন্ত মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভিকটিম মেয়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব (লাবু)। উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।