বাংলাদেশ ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

নির্দিষ্ট তালিকা না থাকায় চবিতে প্রতিনিয়ত বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৬ বার পড়া হয়েছে

নির্দিষ্ট তালিকা না থাকায় চবিতে প্রতিনিয়ত বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা

 

 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) খাবার ও পরিবহন ভাড়ার নির্দিষ্ট কোন চার্ট না থাকায় প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।প্রায়ই শিক্ষার্থীরা সিএনজি,রিকশা ও বাস চালকদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ)  ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সিএনজি চালকরা। ক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়।আন্দোলনে নামলে পরে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,ক্যাম্পাসে প্রশাসনের দেয়া নির্দিষ্ট কোন ভাড়া নিয়ে তালিকা না থাকায় রিকশা,সিএনজি চালকরা সুযোগ পেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। আমরা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের।ফলে আমাদের পক্ষে বেশি ভাড়া দেয়া কষ্টকর।তাছাড়া আমরা যে মারধরের শিকার হই এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ভাড়ার তালিকাই ছিল সাবেক উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রশাসনের।বর্তমান প্রশাসন আসার পর থেকে নির্দিষ্ট কোন ভাড়ার তালিকা দিতে পারেনি। রিকশা ও সিএনজি চালকদের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে সুষ্ঠু সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে চবি প্রশাসন।যার কারণে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীরা বাকবিতন্ডায় জড়ায়।

ইফতেখার প্রশাসনের দেয়া যে নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা ছিল তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঝুলানো ছিলো।পরে দেখা যায় রিকশা ও সিএনজি চালকরা সুযোগ মত খুলে ফেলে।প্রশাসন এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

শাওন ইসলাম  নামে একজন নবীন শিক্ষার্থী বলেন,আমরা যারা নবীন শিক্ষার্থী আছি ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনের খাবারের নির্দিষ্ট কোন দামের তালিকা না থাকায়  বিপাকে পড়তে হয় আমাদের।প্রায়ই আমরা তর্কে জড়িয়ে পড়ি।আবার আমরা ক্যাম্পাসে সিএনজি ও রিকশা ভাড়া জানিনা।অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হয়।ফলে দেখা যায় আমরা নতুনরা বেশি দূর্ভোগের শিকার হই।আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া উচিত।ক্যান্টিনের খাবার তদারকি করা উচিত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন,আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছি।যেমন শাটল ট্রেনের সমস্যা,খাবারের সমস্যা,পরিবহন ভাড়া নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সিএনজি  ও রিকশা ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে স্যারদের সাথে কথা বলেছি।সেই সাথে কটেজ মালিকদের কথা বলেছি ভাড়া কমানোর জন্য।আর এখন যে খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও মানটা নিম্নমানের হয়ে আছে এটা নিয়েও আমরা কাজ করতেছি।

তাছাড়া তিনি আরো বলেন,সিএনজি চালকরা যে শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং আগেও এরকমটা ঘটেছে আমি নিজে প্রক্টর অফিসে সিএনজি চালকদের প্রতিনিধিদের সাথে ও স্যারদের সাথে বসেছি।যাদের আয়ের মাধ্যম শিক্ষার্থীরা তারা কেন শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলবে।আমি এরকমও বলেছি যে,যদি কোন চালক এরকম করে তাহলে তাদের ক্যাম্পাসে সিএনজি ও রিকশা চালাতে দেয়া হবে না।আমরা ছাত্রলীগ সবসময় ছাত্রদের সাথে ছিলাম,আছি, থাকব।আমরা সবসময় শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড.শহীদুল ইসলাম বলেন,সিএনজি চালকরা দু-তিন মাস যাবৎ ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছে কিন্তু আমরা দিচ্ছি না। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া ৬ টাকা আছে আর উঠানামা ৫ টাকা।আর তারা যে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।

খাবারের দামের তালিকা নিয়ে বলেন,ক্যাম্পাসে যেসব হলের সামনে ক্যান্টিন আছে সেগুলো স্ব স্ব হল প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে।তবে এক্ষেত্রে তারা যদি ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টা আমলে নিব।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

নির্দিষ্ট তালিকা না থাকায় চবিতে প্রতিনিয়ত বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৪:২০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

 

 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) খাবার ও পরিবহন ভাড়ার নির্দিষ্ট কোন চার্ট না থাকায় প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।প্রায়ই শিক্ষার্থীরা সিএনজি,রিকশা ও বাস চালকদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ)  ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে সিএনজি চালকরা। ক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়।আন্দোলনে নামলে পরে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,ক্যাম্পাসে প্রশাসনের দেয়া নির্দিষ্ট কোন ভাড়া নিয়ে তালিকা না থাকায় রিকশা,সিএনজি চালকরা সুযোগ পেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। আমরা যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের।ফলে আমাদের পক্ষে বেশি ভাড়া দেয়া কষ্টকর।তাছাড়া আমরা যে মারধরের শিকার হই এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ভাড়ার তালিকাই ছিল সাবেক উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রশাসনের।বর্তমান প্রশাসন আসার পর থেকে নির্দিষ্ট কোন ভাড়ার তালিকা দিতে পারেনি। রিকশা ও সিএনজি চালকদের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে সুষ্ঠু সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে চবি প্রশাসন।যার কারণে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীরা বাকবিতন্ডায় জড়ায়।

ইফতেখার প্রশাসনের দেয়া যে নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা ছিল তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঝুলানো ছিলো।পরে দেখা যায় রিকশা ও সিএনজি চালকরা সুযোগ মত খুলে ফেলে।প্রশাসন এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

শাওন ইসলাম  নামে একজন নবীন শিক্ষার্থী বলেন,আমরা যারা নবীন শিক্ষার্থী আছি ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনের খাবারের নির্দিষ্ট কোন দামের তালিকা না থাকায়  বিপাকে পড়তে হয় আমাদের।প্রায়ই আমরা তর্কে জড়িয়ে পড়ি।আবার আমরা ক্যাম্পাসে সিএনজি ও রিকশা ভাড়া জানিনা।অনেক সময় দেখা যায় আমাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হয়।ফলে দেখা যায় আমরা নতুনরা বেশি দূর্ভোগের শিকার হই।আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়া উচিত।ক্যান্টিনের খাবার তদারকি করা উচিত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন,আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছি।যেমন শাটল ট্রেনের সমস্যা,খাবারের সমস্যা,পরিবহন ভাড়া নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সিএনজি  ও রিকশা ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে স্যারদের সাথে কথা বলেছি।সেই সাথে কটেজ মালিকদের কথা বলেছি ভাড়া কমানোর জন্য।আর এখন যে খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও মানটা নিম্নমানের হয়ে আছে এটা নিয়েও আমরা কাজ করতেছি।

তাছাড়া তিনি আরো বলেন,সিএনজি চালকরা যে শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং আগেও এরকমটা ঘটেছে আমি নিজে প্রক্টর অফিসে সিএনজি চালকদের প্রতিনিধিদের সাথে ও স্যারদের সাথে বসেছি।যাদের আয়ের মাধ্যম শিক্ষার্থীরা তারা কেন শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলবে।আমি এরকমও বলেছি যে,যদি কোন চালক এরকম করে তাহলে তাদের ক্যাম্পাসে সিএনজি ও রিকশা চালাতে দেয়া হবে না।আমরা ছাত্রলীগ সবসময় ছাত্রদের সাথে ছিলাম,আছি, থাকব।আমরা সবসময় শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড.শহীদুল ইসলাম বলেন,সিএনজি চালকরা দু-তিন মাস যাবৎ ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছে কিন্তু আমরা দিচ্ছি না। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া ৬ টাকা আছে আর উঠানামা ৫ টাকা।আর তারা যে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।

খাবারের দামের তালিকা নিয়ে বলেন,ক্যাম্পাসে যেসব হলের সামনে ক্যান্টিন আছে সেগুলো স্ব স্ব হল প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে।তবে এক্ষেত্রে তারা যদি ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টা আমলে নিব।