বাংলাদেশ ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
জণগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং আজীবন থাকবো-অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো দোকানের বাকির টাকা দিতে দেরি করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম, থানায় অভিযোগ।  সকল দলের মানুষের সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই- অধ্যক্ষ সইদুল হক  পিরোজপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা টিভি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঘোড়া মার্কার প্রার্থীকে জরিমানা রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জামরুল ফল বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সরকারের অনিচ্ছাতেই উচ্চ শিক্ষায় স্বদেশি ভাষা চালু হয়নি: ড. সলিমুল্লাহ খান রাজশাহীতে ৩০ ছাত্রকে বলাৎকার করে ভিডিও ধারণ করেন শিক্ষক ওয়াকেল ঠাকুরগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আওয়ামী রাজনীতিতে বিভক্তি হওয়ার আশঙ্কা রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সম্পদশালী মাসুদ পুঠিয়া উপজেলায় নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের কার সম্পদ কত? রাজশাহী মহানগরীতে চেকপোস্টে দুই পুলিশ পিটিয়ে আহত! দুইভাই আটক কাউনিয়ায় লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট এর সভা অনুষ্ঠিত ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উল্লাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘনায় ১ জনের মৃত্যু 

আলু চাষিরা হতাশায় আলুর বাজার ধস নামায়

আলু চাষিরা হতাশায় আলুর বাজার ধস নামায়

আবুল কালাম আজাদ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে এ বছর ব্যাপক আলুর ফলন হওয়ায় বাজারে আলুর দামের ধস নামায় বিপাকে পড়েছেন আলু চাষিরা।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ একর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। তিস্তা নদীর খেওয়া গুলোর মধ্যে থেতরাই পানিয়ালের খেওয়া, ভোলার খেওয়া, নাগড়াকুড়ার খেওয়া, কাজির চকের খেওয়া ও জিগাতলার খেওয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় বস্তা ময় বস্তা আলু নিয়ে আলু চাষিরা বসে আছে বিক্রি করার উদ্যেশ্যে। এলাকা গুলোর মধ্যে গোড়াই পিয়ার, কদম তলা, জুয়ান সতড়া, থেতরাই, হোকডাঙ্গা, নাগড়াকুড়া, নন্দুনেফড়া, শুকদেবকুন্ড, বজরা, সাতালস্কার সহ আরও অনেক এলাকা ঘুরে দেখা যায় আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আলু নিয়ে বিপাকে পরেছে আলু চাষিরা। আলু চাষিরা বলেন আলুর অনেক দাম কমে গেছে। আলু রাখতে পারতেছিনা বেঁছতেও পারতেছিনা।

আলু চাষিদের মধ্যে রুহুল আমীন, বাবলু, নুরুজ্জামান, জলিল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আনারুল, শফিকুল, চাঁদ মিয়া, রবিয়াল, আশরাফুল, কাদের, ছবুর, নূরমোহাম্মদ, নুরু মিয়া, নুরুল আমীন, রঞ্জু মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন এবারে গত বছরের তুলনায় আলুর ফলন অনেক বেশি হয়েছে কিন্তু আলুর বাজারের ধস নামায় আমরা অনেক বিপাকে আছি। তারা বলেন আমাদের আলুর মন প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা কিন্তু বর্তমান আলুর বাজার মন প্রতি ৩৭৫ টাকা। মন প্রতি ১২৫ টাকা লস হচ্ছে। এ লস আমাদের কে জোগান দিবে। তারা আরও বলেন আমাদের শতাংশ প্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মন। এবং শতাংশ প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। এখন বাজারে বেঁচতে হচ্ছে প্রতি মন ৩৭৫ টকা।

আলু ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম (অবঃ প্রাপ্ত সেনাবাহিনী) বলেন এবারে আলুর অনেক ফলন হয়েছে। আলুর বাজার ধস নামায় অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা আলু বাজারে বিক্রি না করে কোল্ড ষ্টরে রাখতে ব্যাস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমাদের উপজেলায় কোল্ডষ্টর না থাকায় আমাদের আলু মজুদ করে রাখা অনেক কষ্টকর। অন্য উপজেলার কোল্ডষ্টর আলু নিতে চাচ্ছে না। তাই আমরা যারা ব্যাবসায়ী ও আলু চাষি আছি সবাই বিপাকে পরেছি।

উক্ত আলু চাষিরা ও আলু ব্যাবসায়ীরা বলেন সরকারের উদ্যেগে যদি তিস্তা নদী পারাপারের জন্য থেতরাই পানিয়ালের ঘাটে একটি ব্রিজ তৈরি এবং নদী বেষ্টিত এলাকায় কোল্ডষ্টরে স্থাপনের উদ্যেগ নিত তাহলে আমাদের অনেক উপকার হত। নিজ উপজেলায় কোল্ডষ্টর হলে আমাদের যান বাহন খরচ কম লাগত আমরা পুসিয়ে নিতে পারতাম।

উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী জনাব মোস্তফা কামাল বলেন, এবারে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা আলু চাষিদের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই সম্পর্কে অবগত করিয়েছি। তিনি বলেন আমাদের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস থেকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন জাতের সানসাইন গোল আলুর বীজ দিয়েছি যা বাজারে অধিক রপ্তানি যোগ্য। এ আলুতে রয়েছে অনেক ক্যারটিন পুষ্টি। যা মানুষের শরিরের পুষ্টির ঘাটতি পুড়ন করে। সানসাইন গোল আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে যা আলু চাষিদের মাঝে ব্যাপক সারা পড়েছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

জণগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং আজীবন থাকবো-অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো

আলু চাষিরা হতাশায় আলুর বাজার ধস নামায়

আপডেট সময় ০৩:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে এ বছর ব্যাপক আলুর ফলন হওয়ায় বাজারে আলুর দামের ধস নামায় বিপাকে পড়েছেন আলু চাষিরা।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ একর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। তিস্তা নদীর খেওয়া গুলোর মধ্যে থেতরাই পানিয়ালের খেওয়া, ভোলার খেওয়া, নাগড়াকুড়ার খেওয়া, কাজির চকের খেওয়া ও জিগাতলার খেওয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় বস্তা ময় বস্তা আলু নিয়ে আলু চাষিরা বসে আছে বিক্রি করার উদ্যেশ্যে। এলাকা গুলোর মধ্যে গোড়াই পিয়ার, কদম তলা, জুয়ান সতড়া, থেতরাই, হোকডাঙ্গা, নাগড়াকুড়া, নন্দুনেফড়া, শুকদেবকুন্ড, বজরা, সাতালস্কার সহ আরও অনেক এলাকা ঘুরে দেখা যায় আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আলু নিয়ে বিপাকে পরেছে আলু চাষিরা। আলু চাষিরা বলেন আলুর অনেক দাম কমে গেছে। আলু রাখতে পারতেছিনা বেঁছতেও পারতেছিনা।

আলু চাষিদের মধ্যে রুহুল আমীন, বাবলু, নুরুজ্জামান, জলিল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আনারুল, শফিকুল, চাঁদ মিয়া, রবিয়াল, আশরাফুল, কাদের, ছবুর, নূরমোহাম্মদ, নুরু মিয়া, নুরুল আমীন, রঞ্জু মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন এবারে গত বছরের তুলনায় আলুর ফলন অনেক বেশি হয়েছে কিন্তু আলুর বাজারের ধস নামায় আমরা অনেক বিপাকে আছি। তারা বলেন আমাদের আলুর মন প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা কিন্তু বর্তমান আলুর বাজার মন প্রতি ৩৭৫ টাকা। মন প্রতি ১২৫ টাকা লস হচ্ছে। এ লস আমাদের কে জোগান দিবে। তারা আরও বলেন আমাদের শতাংশ প্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মন। এবং শতাংশ প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। এখন বাজারে বেঁচতে হচ্ছে প্রতি মন ৩৭৫ টকা।

আলু ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম (অবঃ প্রাপ্ত সেনাবাহিনী) বলেন এবারে আলুর অনেক ফলন হয়েছে। আলুর বাজার ধস নামায় অন্যান্য ব্যাবসায়ীরা আলু বাজারে বিক্রি না করে কোল্ড ষ্টরে রাখতে ব্যাস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন আমাদের উপজেলায় কোল্ডষ্টর না থাকায় আমাদের আলু মজুদ করে রাখা অনেক কষ্টকর। অন্য উপজেলার কোল্ডষ্টর আলু নিতে চাচ্ছে না। তাই আমরা যারা ব্যাবসায়ী ও আলু চাষি আছি সবাই বিপাকে পরেছি।

উক্ত আলু চাষিরা ও আলু ব্যাবসায়ীরা বলেন সরকারের উদ্যেগে যদি তিস্তা নদী পারাপারের জন্য থেতরাই পানিয়ালের ঘাটে একটি ব্রিজ তৈরি এবং নদী বেষ্টিত এলাকায় কোল্ডষ্টরে স্থাপনের উদ্যেগ নিত তাহলে আমাদের অনেক উপকার হত। নিজ উপজেলায় কোল্ডষ্টর হলে আমাদের যান বাহন খরচ কম লাগত আমরা পুসিয়ে নিতে পারতাম।

উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী জনাব মোস্তফা কামাল বলেন, এবারে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা আলু চাষিদের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই সম্পর্কে অবগত করিয়েছি। তিনি বলেন আমাদের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস থেকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন জাতের সানসাইন গোল আলুর বীজ দিয়েছি যা বাজারে অধিক রপ্তানি যোগ্য। এ আলুতে রয়েছে অনেক ক্যারটিন পুষ্টি। যা মানুষের শরিরের পুষ্টির ঘাটতি পুড়ন করে। সানসাইন গোল আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে যা আলু চাষিদের মাঝে ব্যাপক সারা পড়েছে।”