![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে প্রতিবছর একদিনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় “বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে ” এই প্রতিপাদ্যে এ বছরেও সারা বিশ্বের ন্যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন এর উদ্যোগে গতকাল ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিবসটি উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মনিরুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. হাবিব রহমতুল্লাহ, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. তরেকা রায়হানা জুঁই, আসিফ মোহাম্মদ তকি, এসএসিএমও আবুল কালাম আজাদ, আরিফুল ইসলাম, ফেরদৌসী বেগম, প্রধান অফিস সহকারী হুমায়ুন কবির, ইপিআই প্রধান আবুল কাশেম, সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকসানা আক্তার, টিএলসিএ নুরুল ইসলাম, অফিস সহকারী ইউসুফ সরকারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও ব্র্যাকের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক, যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকারও কিছু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।