![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সহ তিন জন কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় মেরাজকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানা পুলিশ। মেরাজ পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের মৃত রাকিব উদ্দিন সরকারের ছেলে।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের একটি পিকআপ গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আব্দুল করিম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে এই মামলা দুটি করা হয়েছে। ঘটনার দিন সোমবার ঘটনাস্থল থেকে এজাজ আহম্মেদ শাওন (৩২) নামের এক জনকে আটোক করা হয়। শাওন জোতকাদিরপুর (পানি কুমড়া) এলাকার খোশ মোহাম্মদ খশুর ছেলে।
পরে বুধবার দিবাগত রাতে বাঘা থানা পুলিশের অভিান পরিচালনা করে একই মামলার আসামি চক নারায়নপুর এলাকার মৃত নয়ন উদ্দিন মালিথার ছেলে জুবান আলী মালিথা (৭৪) কে আটক করে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বাস যোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বাঘা থানার দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনে হামলার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে এবং বিকালে উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে ও কিশোরপুর গ্রামে মারামারি ও ভাংচুর এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা দুইজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ও অন্যজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আরও দুইটি মামলা হয়।
উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি’র সমর্থনকারী এবং সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থনকারী উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা অবস্থা বিরাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আব্দুল করিম জানান,এ ঘটনার তিনজন আসামি কে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামী কে আটকের চেষ্টা চলছে।