ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
পীরগঞ্জে জোরপূর্বক জমির গাছ কর্তন মাধবপুরে ২৬-মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার পাথরঘাটার ডালক্ষেত থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দিলু ও তার সহযোগী বাবু’কে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নাটোরের লালপুরে জমিজমাকে কেন্দ্র করে জামাই শশুরের মধ্যে গোলাগুলি আহত ৬ ফুলবাড়ী উপজেলা সভাকক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির হোসেন পিরোজপুরের কাউখালীতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধ চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯ মনোহরদীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নেত্রকোণায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্ম পাঠ শুরু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় শিশু নিহত শিশু খাদিজাকে বাঁচাতে বাবার আকুতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামীর গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৬০ বার পড়া হয়েছে

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাব-৯, সিলেট এর অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

 

 

গত ০৫/১২/২০২১ ইং তারিখ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন নিজ বাসায় অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোছাঃ রহিমা খাতুন (৩১) ঘুমিয়ে পড়লে রহিমার বসত ঘরের টিন কেটে ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া আসামীরা রহিমার হাত-পা বেধে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের সময় রহিমা যাতে আসামীদের চিনতে না পারে সে লক্ষ্যে আসামীরা রহিমার চোখে উপর্যপরি আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

 

 

 

ধর্ষণ শেষে আসামীরা রহিমার স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিস-পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। রহিমার চিৎকারে পাশর্^বর্তী লোকজন তাকে উদ্ধারপূর্বক হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে ভিকটিম তাহার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা শেষে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি গণধর্ষণসহ চুরির মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ০৬, তারিখ- ০৬/১২/২০২১ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০ তৎসহ ৩২৩/৩৮০ পেনাল কোড। ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারে গণধর্ষণের ঘটনাটি সারাদেশে বাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

 

 

 

এই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ ক্যাম্প নজরদারীর পাশাপাশি ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের প্রচেষ্টায় গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে অদ্য ১৯/০২/২০২২ ইং তারিখ রাত্রী ০০.৩০ ঘটিকা হইতে সকাল ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন ইরল গ্রামে তাদের বন্ধু মাহবুবের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়’কে গ্রেফতার করে।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আসকির মিয়া (৪২) পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া এবং জসিম (২৯) পিতা- মোঃ তাউস মিয়া, উভয় সাং-কালিনগর, থানা- মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ ’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে। আসামীদ্বয় পেশায় শ্রমিক। রহিমার স্বামী চাকুরী সুবাদে নরসিংদী জেলায় থাকতেন। রহিমা তার নিজ বসত বাড়ীতে তার প্রতিবেশী নাতনী’কে সাথে নিয়ে রাতের খাবার শেষে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে থাকত।

 

 

 

 

ঘটনার দিন রাত্রে রহিমার স্বামী চাকুরী থেকে বাসায় আসার কথা থাকলে বাসায় না আসায় রহিমা একাই ঘুমিয়ে পড়ে এবং আসামীরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার দিন রাত্রী আনুমানিক ০২.৩০ ঘটিকার সময় রহিমার বসত ঘরের টিন কেটে ঘরের ভিতর আসামীরা প্রবেশ করে ভিকটিমের হাত-পা বেধে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের সময় ভিকটিম যাতে আসামীদের চিনতে না পারে সে লক্ষ্যে আসামীরা ভিকটিমের চোখে উপর্যপরি আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষণ শেষে আসামীরা রহিমার স্বর্ণ অলংকার, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিস-পত্র নিয়ে পালিয়ে যায় এবং নিজেদের’কে আত্মগোপন করার জন্য ০৬/১২/২০২১ ইং তারিখ সিএনজি যোগে আসামীরা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শহরে অবস্থিত তার বন্ধুর বাসায় চলে যায়।

 

 

 

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় নিরাপদ আশ্রয় না পেয়ে গত ১০/১২/২০২১ ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানা এলাকায় তার অন্য এক বন্ধুর বাসায় চলে আসে। সেখানেও নিজেদের’কে নিরাপদ না ভেবে আবার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন তাদের আরেক বন্ধু মাহবুবের বাসায় চলে যায় এবং সেখান থেকে র‌্যাব-৯ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়’কে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বিস্তারিত- ০১৭৭৭৭১০৯১১

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে জোরপূর্বক জমির গাছ কর্তন

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাব-৯, সিলেট এর অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান ০২ আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার।

 

 

গত ০৫/১২/২০২১ ইং তারিখ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন নিজ বাসায় অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোছাঃ রহিমা খাতুন (৩১) ঘুমিয়ে পড়লে রহিমার বসত ঘরের টিন কেটে ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া আসামীরা রহিমার হাত-পা বেধে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের সময় রহিমা যাতে আসামীদের চিনতে না পারে সে লক্ষ্যে আসামীরা রহিমার চোখে উপর্যপরি আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

 

 

 

ধর্ষণ শেষে আসামীরা রহিমার স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিস-পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। রহিমার চিৎকারে পাশর্^বর্তী লোকজন তাকে উদ্ধারপূর্বক হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে ভিকটিম তাহার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা শেষে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি গণধর্ষণসহ চুরির মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ০৬, তারিখ- ০৬/১২/২০২১ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০ তৎসহ ৩২৩/৩৮০ পেনাল কোড। ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারে গণধর্ষণের ঘটনাটি সারাদেশে বাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

 

 

 

এই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ ক্যাম্প নজরদারীর পাশাপাশি ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের প্রচেষ্টায় গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে অদ্য ১৯/০২/২০২২ ইং তারিখ রাত্রী ০০.৩০ ঘটিকা হইতে সকাল ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন ইরল গ্রামে তাদের বন্ধু মাহবুবের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদ্বয়’কে গ্রেফতার করে।

 

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আসকির মিয়া (৪২) পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া এবং জসিম (২৯) পিতা- মোঃ তাউস মিয়া, উভয় সাং-কালিনগর, থানা- মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ ’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে। আসামীদ্বয় পেশায় শ্রমিক। রহিমার স্বামী চাকুরী সুবাদে নরসিংদী জেলায় থাকতেন। রহিমা তার নিজ বসত বাড়ীতে তার প্রতিবেশী নাতনী’কে সাথে নিয়ে রাতের খাবার শেষে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে থাকত।

 

 

 

 

ঘটনার দিন রাত্রে রহিমার স্বামী চাকুরী থেকে বাসায় আসার কথা থাকলে বাসায় না আসায় রহিমা একাই ঘুমিয়ে পড়ে এবং আসামীরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার দিন রাত্রী আনুমানিক ০২.৩০ ঘটিকার সময় রহিমার বসত ঘরের টিন কেটে ঘরের ভিতর আসামীরা প্রবেশ করে ভিকটিমের হাত-পা বেধে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষনের সময় ভিকটিম যাতে আসামীদের চিনতে না পারে সে লক্ষ্যে আসামীরা ভিকটিমের চোখে উপর্যপরি আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষণ শেষে আসামীরা রহিমার স্বর্ণ অলংকার, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিস-পত্র নিয়ে পালিয়ে যায় এবং নিজেদের’কে আত্মগোপন করার জন্য ০৬/১২/২০২১ ইং তারিখ সিএনজি যোগে আসামীরা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া শহরে অবস্থিত তার বন্ধুর বাসায় চলে যায়।

 

 

 

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় নিরাপদ আশ্রয় না পেয়ে গত ১০/১২/২০২১ ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানা এলাকায় তার অন্য এক বন্ধুর বাসায় চলে আসে। সেখানেও নিজেদের’কে নিরাপদ না ভেবে আবার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানাধীন তাদের আরেক বন্ধু মাহবুবের বাসায় চলে যায় এবং সেখান থেকে র‌্যাব-৯ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়’কে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বিস্তারিত- ০১৭৭৭৭১০৯১১