বাংলাদেশ ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পটুয়াখালীতে ১৬ বছরেও সেনাপল্লীর প্লট বরাদ্দ বুঝে পায়ইনি ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি যড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না- এমপি হিরো নরসিংদীতে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় টাকাসহ আটক-৩ পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমতা থাকা বাঞ্ছনীয় কুবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলো তিন শিক্ষক হত্যা মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব। সুরমা টাওয়ার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার! শাহ পরান এলাকায় একজন মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫৯৮ বার পড়া হয়েছে

একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: সুদীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পরে ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনকে নির্বাচন না বলে প্রহসন বলে দাবি করছেন ঠাকুরগাঁওবাসী। গত ১৬ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দোকান কর্মচারি, গৃহবধূ, ঝাড়ুদার সহ নানা পেশার মানুষ। যারা কেউ কখনই আয়কর দেননি, আয়কর কী তাও জানেন না অনেকেই।

যাদের নেই ট্রেড লাইসেন্স। নেই টি আই এন নম্বর। এমনকি নির্বাচনও হয়েছে একতরফা। নির্বাচনে অংশ নেয়া তিনটি প্যানেলের দুটি ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনে দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জন করেছেন।

জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠণ ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর বিভিন্ন জটিলতার কারণে দীর্ঘ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন স্থগিত ছিল।

অবশেষে গত ১৬ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়। শুরু থেকেই নির্বাচনকে প্রভাবিত এবং একতরফা করার জন্য একটি মহল তৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেল ও একক প্যানেলের সৈয়দ আব্দুল করিম ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনের আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন।

এরপরেও কোন কাজ না হওয়ায় নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলের নেতারা ও সৈয়দ আব্দুল করিম নির্বাচন বর্জন করেন ও আদালতে মামলা দায়ের করে অবৈধ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করণের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এর পরই দুলাল-বাবলু প্যানেলের সদস্যরা অন্য এক বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে। বিকেল চারটার পর আদালত বসিয়ে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। নির্বাচন বর্জণকারী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন এ নির্বাচনকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক নতুন সদস্য করা হয়েছে।

যাদের অনেকেই নাপিত (সেলুন কর্মী), ঝাড়ুদার, হোটেলের মেছিয়ার, দিনমজুর, গৃহিনী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, হিমাগার ও জুটমিলের শ্রমিক। যাদের কেউ আদৌ কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক না। এমনকি চেম্বারের আইন অনুযায়ী সদস্য পদ পাওয়ার যোগ্যও না। এদের মধ্যে কেউ কেউ কখনই আয়কর দেননি, আয়কর কী তাও জানেন না অনেকেই। অনেকেরই নেই ট্রেড লাইসেন্স। নেই টি আই এন নম্বর। এদের অনেকের আবার সদস্য হওয়ার পর করা হয়েছে টিন সার্টিফিকেট, যা নিয়ম বহির্ভূত। শুধু মাত্র একটি পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে।

১৯৯৯ সালে ২৪ জন সদস্য নিয়ে ঠাকুরগাঁও চেম্বারের যাত্রা শুরু হয় সে সময় নির্বাচনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোদাচ্ছের হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে আব্দুস সালাম এবং ২০০৫ সালে ওসমান মিয়া সভাপতি নির্বাচিত হন। ওসমান মিয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক অনিয়ম যা এখনও চলমান। ঠাকুরগাঁও চেম্বারের এক তথ্যে দেখা যায় ডিসেম্বর ২৩ সালে ভোটার ছিল ৭০৪, জানুয়ারি ২৪ এ ৪৯১০ আর এখন ৫৩৩৮ জন ভোটার। জেলার ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল মনে করেন ৭০৪ জনই ঠাকুরগাঁও চেম্বারের প্রকৃত ভোটার এবং সদস্য। এর বাইরে যাদের ভোটার করা হয়েছে তাদের সবাইকে একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থে অবৈধ পন্থায় করা হয়েছে এবং এদের কেউই ব্যবসায়ী নন।

নির্বাচন বর্জণকারী সৈয়দ আব্দুল করিম এবং আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পক্ষপাতমূলক, বে-আইনি, একতরফা, অনিয়মের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান।

ভোট বর্জনকারী ব্যবসায়ীগণ আরো বলেন একতরফা প্রতিদ্ব›দ্বী ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী বলে দাবিদার চেম্বার নেতারা কার নেতৃত্ব দেবেন ব্যবসায়ীদের না কি নাপিত (সেলুন কর্মী/কারিগর), গৃহিনী, ঝাড়ুদার, হোটেলের মেছিয়ার, দিনমজুর, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, হিমাগার ও জুটমিলের শ্রমিকদের।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।

একযুগেরও বেশি সময় পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন দোকান কর্মচারি, গৃহবধু, ঝাড়ুদার ভোটার। অনিয়মের ছড়াছড়ি

আপডেট সময় ০৭:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: সুদীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় পরে ঠাকুরগাঁও চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনকে নির্বাচন না বলে প্রহসন বলে দাবি করছেন ঠাকুরগাঁওবাসী। গত ১৬ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দোকান কর্মচারি, গৃহবধূ, ঝাড়ুদার সহ নানা পেশার মানুষ। যারা কেউ কখনই আয়কর দেননি, আয়কর কী তাও জানেন না অনেকেই।

যাদের নেই ট্রেড লাইসেন্স। নেই টি আই এন নম্বর। এমনকি নির্বাচনও হয়েছে একতরফা। নির্বাচনে অংশ নেয়া তিনটি প্যানেলের দুটি ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনে দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জন করেছেন।

জেলার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠণ ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর বিভিন্ন জটিলতার কারণে দীর্ঘ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন স্থগিত ছিল।

অবশেষে গত ১৬ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়। শুরু থেকেই নির্বাচনকে প্রভাবিত এবং একতরফা করার জন্য একটি মহল তৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেল ও একক প্যানেলের সৈয়দ আব্দুল করিম ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনের আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন।

এরপরেও কোন কাজ না হওয়ায় নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলের নেতারা ও সৈয়দ আব্দুল করিম নির্বাচন বর্জন করেন ও আদালতে মামলা দায়ের করে অবৈধ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করণের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এর পরই দুলাল-বাবলু প্যানেলের সদস্যরা অন্য এক বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে। বিকেল চারটার পর আদালত বসিয়ে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। নির্বাচন বর্জণকারী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন এ নির্বাচনকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক নতুন সদস্য করা হয়েছে।

যাদের অনেকেই নাপিত (সেলুন কর্মী), ঝাড়ুদার, হোটেলের মেছিয়ার, দিনমজুর, গৃহিনী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, হিমাগার ও জুটমিলের শ্রমিক। যাদের কেউ আদৌ কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক না। এমনকি চেম্বারের আইন অনুযায়ী সদস্য পদ পাওয়ার যোগ্যও না। এদের মধ্যে কেউ কেউ কখনই আয়কর দেননি, আয়কর কী তাও জানেন না অনেকেই। অনেকেরই নেই ট্রেড লাইসেন্স। নেই টি আই এন নম্বর। এদের অনেকের আবার সদস্য হওয়ার পর করা হয়েছে টিন সার্টিফিকেট, যা নিয়ম বহির্ভূত। শুধু মাত্র একটি পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে।

১৯৯৯ সালে ২৪ জন সদস্য নিয়ে ঠাকুরগাঁও চেম্বারের যাত্রা শুরু হয় সে সময় নির্বাচনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোদাচ্ছের হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে আব্দুস সালাম এবং ২০০৫ সালে ওসমান মিয়া সভাপতি নির্বাচিত হন। ওসমান মিয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক অনিয়ম যা এখনও চলমান। ঠাকুরগাঁও চেম্বারের এক তথ্যে দেখা যায় ডিসেম্বর ২৩ সালে ভোটার ছিল ৭০৪, জানুয়ারি ২৪ এ ৪৯১০ আর এখন ৫৩৩৮ জন ভোটার। জেলার ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল মনে করেন ৭০৪ জনই ঠাকুরগাঁও চেম্বারের প্রকৃত ভোটার এবং সদস্য। এর বাইরে যাদের ভোটার করা হয়েছে তাদের সবাইকে একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থে অবৈধ পন্থায় করা হয়েছে এবং এদের কেউই ব্যবসায়ী নন।

নির্বাচন বর্জণকারী সৈয়দ আব্দুল করিম এবং আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পক্ষপাতমূলক, বে-আইনি, একতরফা, অনিয়মের নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান।

ভোট বর্জনকারী ব্যবসায়ীগণ আরো বলেন একতরফা প্রতিদ্ব›দ্বী ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী বলে দাবিদার চেম্বার নেতারা কার নেতৃত্ব দেবেন ব্যবসায়ীদের না কি নাপিত (সেলুন কর্মী/কারিগর), গৃহিনী, ঝাড়ুদার, হোটেলের মেছিয়ার, দিনমজুর, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি, হিমাগার ও জুটমিলের শ্রমিকদের।