প্রেস বিজ্ঞপ্তি,
ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিরা সমাজেরই অংশ’ ” তারা সমাজের বোঝা নয় : জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
বিশ্বে ১৭ তম ও বাংলাদেশে ৯ম বারের মতো পালিত হলো ‘বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস’ ২০২২. দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন, ব্রিটিশ চিকিৎসক জন ল্যাঙ্গডন ডাউন ১৮৬৬ সালে এই শিশুদের চিহ্নিত করেন বলে তার নামানুসারে ডাউন সিনড্রোম কথাটি প্রচলিত হয়। সারা বিশ্বে ২১ মার্চ ‘বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস’ পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আমাদের দেশে প্রতিবছর পাঁচ হাজার ৫০০ বা প্রতিদিন প্রায় ১৫টি ডাউন শিশুর জন্ম হয়। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিরা সমাজেরই অংশ। তারা সমাজের বোঝা নয়। তাদের মূলধারার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের সুবিধা বাড়াতে হবে।
আর ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের জন্য যা দরকার তা হলো শিক্ষা, চাকরির সুযোগ, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা। এ চাহিদাগুলো সমাজের আর দশজন মানুষের মতোই। তাদের বিশেষ কোনো চাহিদা নেই। তাদের প্রয়োজন বাড়তি একটু যত্নের।
‘ডাউন সিনড্রোম মানেই অক্ষমতা নয়, এমনকি ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগও নয়। এটি একটি জেনেটিক ভিন্নতা। বিশেষ চাহিদা নয়, মানুষের যে চাহিদাগুলো দরকার, ডাউন সিনড্রোম শিশু ও ব্যক্তিদেরও তাই প্রয়োজন।’
তাই ‘ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট সম্পন্ন ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা প্রয়াস। তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আর দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।