বাংলাদেশ ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। পঞ্চগড়ে ভারত থেকে আসা বিলুপ্ত প্রজাতির মদনটাক পাখি উদ্ধার শিকল অবমুক্তের সময় ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ কুবি ধনবাড়ীতে মাটিবাহী ট্রাক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পটুয়াখালীতে ১৬ বছরেও সেনাপল্লীর প্লট বরাদ্দ বুঝে পায়ইনি ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি যড়যন্ত্র করে সফল হতে পারবে না- এমপি হিরো নরসিংদীতে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় টাকাসহ আটক-৩ পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য বিভাগের ন্যায় শিক্ষা বিভাগে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমতা থাকা বাঞ্ছনীয় কুবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলো তিন শিক্ষক হত্যা মামলার ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব। সুরমা টাওয়ার থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার! শাহ পরান এলাকায় একজন মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
  • ১৭৮২ বার পড়া হয়েছে

উলিপুরে পানের 'বরজ' প্রায় বিলুপ্তির পথে

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।

উলিপুরে পানের ‘বরজ’ প্রায় বিলুপ্তির পথে

আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২

আবুল কালাম আজাদ। জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ ক্বারিপাড়া, বাড়াইপাড়া  গ্রামের পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানের বরজ কমতে কমতে অল্প কয়েকটি পানের বরজ চোখে পড়ে। উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির উপর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টি পানের বরজ ছিল। এখন বিভিন্ন সমস্যার কারনে তা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

উক্ত ক্বারিপাড়া ও বাড়াইপাড়া এলাকার পান চাষিদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজির উদ্দিন, নজির হোসেন, ইদ্রিস ক্বারী, আব্দুল কাদের, অমুল্য চন্দ, প্রপুল্য চন্দ্র, জগদিস চন্দ্র, শ্যামল পাল, কাছু পাল, নিতাই বৈরাগি, কানু বৈরাগি, বলাই নাগ, নির্মল নাগ, পরিমল পাল, হেবলু পাল সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা পান চাষ করি এই পান বাজারে বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করি। পান বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু পানের মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত করে যা আমাদের জানা থাকেনা কিংবা সে রোগ নির্ণয় ও করতে পারিনা। যার কারনেই আমাদের এলাকায় পানের বরজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

পান চাষি আতাউর রহমান বলেন, আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে পান চাষ করে আসতেছি। আর এই পান বাজারে বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের নুতুন নুতুন রোগ বালাই হবার কারনে আমারা পান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছি। অনেক টাকা ব্যায় করার পরেও প্রতি বছর লাভের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা এই পুড়াতন ঐতিহ্য পানের বরজ ক্ষেত টিকিয়ে রাখতে পারতাম।

এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন পান চাষিদের জন্য কোন রকমের প্রকল্প বা বরাদ্দ নেই। তবে আমরা পানের বরজ রক্ষা করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করব। যদি কোন ধরনের বরাদ্দ আসে বা কোন প্রকল্প আসে আমারা উক্ত এলাকার পান চাষিদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যাবস্থা গ্রহন করব।