কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুই ভাইয়ের জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছোট ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে একদল ভাড়াটিয়া বড় ভাইয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনায় এলাকাবাসী ১০ সন্ত্রাসীকে মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দেন। হামলার ঘটনায় ২জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (২৬ মার্চ) বিকালে পৌরসভার নিজাইখামার এলাকায়। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ মার্চ) মামলা হলে আটককৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর পৌরসভার নিজাইখামার এলাকার অকু মামুদের ছেলে আহাদ আলী (৭০) ও আব্দুল করিমের(৬৮) মাঝে দীর্ঘদিন থেকে ১২ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় মামলা হলে তা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) বিকালে ছোট ভাই আব্দুল করিম পার্শ্ববতী ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন থেকে একদল ভাড়াটিয়া লোকজন এনে বড় ভাই আহাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে তাকে মারপিট করাসহ বাড়ি ঘর ভাংচুর করতে থাকেন। এ সময় বহিরাগতদের আক্রমন থেকে আহাদ আলী ও তার পরিবারকে রক্ষা করতে শত শত এলাকাবাসী হামলাকারীদের ঘটনাস্থলেই ঘিরে ফেলেন।
কিছু ভাড়াটিয়া পালিয়ে গেলেও ৬টি মোটর সাইকেলসহ ১০ জন ভাড়াটিয়াকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ মোটর সাইকেলসহ ওই ভাড়াটিয়া হামলাকারীদের থানায় নিয়ে আসেন। এ দিকে হামলার ঘটনায় আহত আহাদ আলী ও তার পুত্রবধু মার্জিয়া বেগম (৩২) কে এলাকাবাসী উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২৭ মার্চ) আহাদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নামীয় ১১জন ও অজ্ঞাতনামা ৬ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
হামলার ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মালতিবাড়ি এলাকার বদিউয়তউল্যার ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম মুকুল (৩৮), মোখলেছুর রহমানের ছেলে ফরহাদ আলী (৩৫), সুধির চন্দ্র শীলের ছেলে সুমন চন্দ্র শীল (৩৬), আবুল হোসেনের ছেলে মাঈদুল ইসলাম (৩৫), আব্দুল মজিদের ছেলে শাহিন আলম (৪২), আহম্মদ হোসেনের ছেলে ছকিয়ত উল্যা (৩২), আব্দুল ওহাবের ছেলে আতাউর রহমান (৩৫), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আব্দুল কাদের (২৯), আফজাল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমান (২৫), আবু তালেবের ছেলে আশিক (২০)।
উলিপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ লিটন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই ভাইয়ের জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের পক্ষে বহিরাতগত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এনে এ হামলা করা হয়েছে। এলাকাবাসী ৬টি মোটর সাইকেলসহ ১০জনকে আটক করে থানা পুলিশে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিষাদ চন্দ্র জানান, ভর্তিকৃতরা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত ও সুস্থ্য আছেন। উলিপুর থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।