প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-৪ এর অভিযানে রাজধানীর পল্লবী এলাকা হতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিপুল সংখ্যক অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন জব্দ; চোরাকারবারী চক্রের ০৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানাধীন এলাকায় সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে অনিবন্ধিত ও চোরাই মোবাইল কেনা বেচা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ০৭/০৪/২০২২ তারিখ বিটিআরসি এর প্রতিনিধি সহ উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সর্বমোট ২৫৫ টি অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন সহ নিম্মোক্ত ০৫ জন চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়ঃ (ক) মোঃ শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ (২৬), জেলা- ঢাকা। (খ) মোঃ ওমর ফারুক (৪০), জেলা- রাজবাড়ী। (গ) মোঃ আব্দুল আজিজ (২৪), জেলা- নোয়াখালী। (ঘ) মোঃ কাওসারুল হক (২৭), জেলা- ঢাকা। (ঙ) মোঃ ফয়সাল হক (৩৬), জেলা- বরিশাল।
অভিযান চলাকালীন অভিযানস্থলে বিটিআরসি এর প্রতিনিধি দল তাদের নিজস্ব সফটওয়ার ও সার্ভার এর মাধ্যমে যাচাই করে বর্ণিত ২৫৫ টি মোবাইল ফোন অবৈধভাবে চোরাইপথে আমদানিকৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল উক্ত মোবাইল ফোন গুলো জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ হতে চোরাই পথে অবৈধভাবে উক্ত মোবাইল ফোন দেশে নিয়ে আসে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা অবৈধভাবে এ্যাসেম্বল করে সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা বিভিন্ন জনসাধারণের নিকট বিক্রয় করে প্রচুর মুনাফা করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো।
উক্ত গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন এবং অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে এরূপ অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। (মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী) সহকারী পুলিশ সুপার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) পক্ষে পরিচালক