মোঃ আব্দুল্লাহ বুড়িচং প্রতিনিধিঃ
বুড়িচংয়ের গৌরব ও আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর মরহুম ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, সোনারবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল আবু সালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউল করিম খোকন, জীবন্ত ভাষাসৈনিক বাবু নেপাল চন্দ্র রায় ও ষোলনল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী বিল্লাল হোসেনসহ সচেতন বুড়িচংবাসীর হাতে পৌঁছে দেন ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।
গ্রন্থটির বহুলপ্রচারের লক্ষ্যে বুধবার এমন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয় বলে জানান তিনি। এসময় তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারসহ সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। সেসময়ে স্মৃতির আয়নায় ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মারকগ্রন্থটি প্রদর্শণপূর্বক তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন অনেকেই। বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বুড়িচং থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান, বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রৌশন আলী খান, সোনারবাংলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মাসুদ পারভেজ, বুড়িচং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান, সাংবাদিক মোসলেহ উদ্দিন, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. ইকবাল হোসেন, যুগান্তর প্রতিনিধি কিষান মাহমুদ হারুন, ভরাসার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সোহেল ও খাড়াতাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়ন্তী রায় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি ও গেজেটভুক্তির নির্দেশনা আসলে উপজেলা পর্যাদয়ে আমরা কাজটি করতে পারি। ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের নামে বুড়িচংয়ের একটি সড়কের নামকরণের দাবি করলে নির্বাহী অফিসার একটি আবেদন দাখিল করার পরামর্শ দেন। সাংবাদিক আবদুল অদুদ আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সমাজ সচেতন মানুষের কাছে ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শতকপি বই সরাসরি তুলে দিতে পেরে আমরা ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদ ধন্য। স্মারকগ্রন্থটি হাতে পেয়ে সোনারবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল আবু সালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউল করিম খোকন বলেন, নানা বিরল তথ্যে ভরপুর এটি একটি সত্যিকার অর্থে ডকুমেন্টারি।