ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং পীরগঞ্জ ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সোলেমান আলীর রোশানলে মোঃ আব্বাস আলী ও তার পরিবার।

আজ ৭ এপ্রিল নএজাহার সূত্রে জানা যায়ঃ গত-২৬/০৩/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় মোঃ আব্বাস আলীর সামান্য কিছু খড় সোলেমান এর ভাইয়ের জমিতে পড়িয়া থাকতে দেখে সোলেমান আলীর ভাই মোঃ শরিফুল ইসলাম মোঃ আব্বাস আলীকে উদ্দেশ্যে করে নানা রকম গালমন্দ করিতে থাকে। তখন আব্বাস আলী বাড়ী থেকে বাহির হয়ে তাকে গালমন্দ করে নিষেধ করলে শরীফুল ইসলাম আব্বাস আলীকে ধাক্কা ধাক্কি করতে শুরু করে। তখন আব্বাস আলী বাধা দিলে তখন সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সোলেমান আলী এসে আব্বাস আলীর মাথার উপর আচম্কা লোহার রড দিয়ে ডাং মারে। তখন আব্বাস আলী চিৎকার করতে থাকলে শরীফুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে আব্বাস আলীর ডান হাতে ডাং মারে হাড় ভাঙ্গা জখম করে।

আব্বাস আলীর চিৎকার শুনে তার বড় ছেলে মোঃ বেলাল হোসেন এগিয়ে আসলে  শরীফুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে সোহাগ ও পলাশ বেলালকে ঘেড়াও করে এলোপাথারী ভাবে মারপিট শুরু করে। তখন সোলেমান আলী তার মাথায় ডাং মারলে কাটা জখম করে এবং কোদাল দিয়ে তার পিঠের উপরে কোপ মারে। বেলাল এর চিৎকার শুনে বেলাল এর মা এগিয়ে  আসলে শরীফুল ইসলাম সহ তাহার স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রী তাকে ধরিয়া এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকে। তখন পলাশ আসলে বেলাল হোসেন এর মায়ের মাথায় ডাং মারে ছেলা ফুলা জখম করে। ঐ সময় আশে পাশের লোকজন এগিয়ে  আসলে তাদের সকলে রক্ষা করে এবং পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

এই বিষয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ করিমুল ইসলাম বলেনঃ  আব্বাস আলী আমার ভায়রা হন । মূলত ঘটনা এই যে, আব্বাস আলী আমাকে ভোট দেওয়ায় সোলেমান আলী আমার ভায়রার প্রতি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল। সেই কারনে সোলেমান আলী আমার ভায়রার সাথে উপরোক্ত ঘটনা ঘটাইয়াছে।

এই বিষয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়।

এই বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম  বলেনঃ মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে তৎপরতা চলিতেছে।