মুলাদী প্রতিনিধিঃ

মুলাদীতে দীর্ঘদিনের পারিবারিক দন্দ কলহ, যৌতুকের দাবী সহ বিভিন্ন সময় স্বামীর দ্বারা সংগঠিত অপরাধের প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে-পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং পাতারচর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে দুই সন্তানের জননী মরিয়ম বেগম (৩৮) কে উপর্যপরী গলাটিপে-পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী গাছুয়া ইউনিয়নের দক্ষিন গাছুয়া গ্রামের মৃত সিপার খানের পুত্র মনির খানের বিরুদ্ধে।

ধারনা করা হচ্ছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে পারিবারিক দ্বন্দ-কলহের জের ধরে ঝগড়া যখন তীব্র আকার ধারন করে তখন মনির খান স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে প্রথম পিটিয়ে এবং পরে স্বাস রোধকরে হত্যা করেছে বলে দাবী মরিয়মের বাবার পরিবারের। ঘটনার ২ঘন্টা পর খবর পেয়ে মরিয়মের বাবার পরিবারের সদস্য সহ স্থানীরা অচেতন ২ সন্তানের জননী মরিয় বেগমকে উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শরীফ রায়হান মরিয়মকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় মুলাদী থানা পুলিশের এস আই ইউসুফ প্রাথমিক সুরতহাল করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সেবাচিমে প্রেরন করার কথা জানিয়েছেন এস আই ইউসুফ।

স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে অচেতন অবস্থায় পরিবার ও স্থানীয়রা বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার করার পর থেকে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করা পর্যন্ত মরিয়মের স্বামী মনির খান, তার পরিবারের কোন সদস্য কিংবা মরিয়মের ২কন্যাকে লাশের কাছে আসতে দেখা যায়নি। তবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। এঘটনায় মৃত মরিয়ম বেগমের ছোট ভাই বাদী হয়ে মুলাদী থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।