প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ফতুল্লার বক্তাবলীতে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর “আলমগীর হোসেন” হত্যা মামলার আরো এক আসামী র্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যে কোন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
গত ২১ মার্চ ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭০, তারিখ- ২৩/০৩/২০২২ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্র মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তাছাড়া এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখ র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানা এলাকা হতে এই হত্যা মামলার আরো এক আসামী সিদ্দিক (৪৫)’কে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, গত ০১ এপ্রিল ২০২২ তারিখ র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে ডিএমপি, ঢাকার শান্তিনগর এলাকা হতে এই হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামী ১। ওমর ফারুক (৪৬) এবং ২। হাজী আব্দুল আলী (৬০) দ্বয়কেও র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) র্যাব- ১১,সিপিসি-১ কর্তৃক পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী হাজী আব্দুল আলীর তিশা ব্রিক ফিল্ড ও ওমর ফারুক এর মারুফা ব্রিক ফিল্ডে লোড আনলোডের কাজ করত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২১ মার্চ ২০২২ তারিখে গ্রেফতারকৃত আসামী সিদ্দিক সহ আরো ৩০/৩৫ জন নিহত আলমগীরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-পা- দাঁত ভেঙ্গে দেয় ও ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় পুলিশ কর্তৃক ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে ভিকটিম সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। –বার্তা প্রেরক– এ কে এম মুনিরুল আলম স্কোয়াড্রন লীডার উপ-পরিচালক কোম্পানী কমান্ডার র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ মোবাইল- ০১৭৭৭৭১১১১১