সজীব হাসান, আদমদীঘি (বগুড়া), প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা খাতুনকে মারপিটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মাহমুদ কলিকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদ কলি উপজেলার শেরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। রবিবার সকালে আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মাহমুদ কলির ছেলে উপজেলার শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তার ছেলেকে স্কুলে খেলাধুলার সময় এক শিক্ষার্থী মারপিট করে। খেলাধুলা শেষে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন তাদের পাঠদান করাচ্ছিলেন। কিন্তু কলির ছেলে বাড়ি গিয়ে বাবার কাছে মারপিটের অভিযোগ করে। তিনি রেগে গিয়ে দ্রুত স্কুলে আসেন। এরপর শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে কয়েকজন ছাত্রকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন।
এ সময় ওই শিক্ষিকা বাধা দিলে তাকেও মারপিট করেন। ওই শিক্ষিকা ভয়ে দৌড়ে অফিসকক্ষে আশ্রয় নিলে সেখানেও তার ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তার চিৎকারে অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে এলে তিনি পালিয়ে যান।
পরে শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় রবিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, মাহমুদ কলিকে আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।