মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ সদর বহুলী ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামের মৃত নসের আলী সেখ এর ছেলে মোঃ আবুল কাশেম ( ৭৯) বাংলাদেশ স্বাধীনতা কালীন সময়ে সিরাজগঞ্জ বাগাবাড়ি ক্যাম্পে প্রথম অংশ গ্রহন করে দেশ রক্ষায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। আবুল কাসেমের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করার পর তৎকালীন সময়ের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাষক মহুকুমা শামছুউদ্দিন সাহেব আবুল কাশেম সহ ৩২ জনের একটি টহল টিম গঠন করেন। এবং তাদের হাতে টুটু-ফোর অস্ত্র ও ৫০ রাউন্ড গুলি দিয়ে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে টহলকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ নয়মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে জয় নিশ্চিত করেন।
পরর্বতীতে সিরাজগঞ্জ বহুলী ইউনিয়ন কমান্ডার সানাউল্লাহ সাহেব আমার কাছে ঐ সময়ে গেজেট ক্রয়ের জন্য কিছু টাকা দাবী করেন, কিন্তু দারিদ্রতার কারনে টাকা দিতে না পারায়, স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মান না পাওয়ায় দুর্বিসহ যন্ত্রনা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি আরও জানান, মাত্র আড়াই শতক জমির উপর একটি ঘর করে পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছন। কোনো উপায় না পেয়ে শেষ মুহরতে মানসম্মান ও লজ্জা ফেলে মিডিয়ার সামনে তিনি এভাবেই তার দুঃখের কথা গুলো তুলে ধরেন প্রবীণ এই মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মেকার। এমতাবস্হায় বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তি যোদ্ধা দপ্তরের সু নজর কামনা করেন তিনি।
এদিকে গত ৩১ শে মার্চ বহুলী ইউনিয়নের একজন সুবিধা ভোগী মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার ইউনুস আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আবুল কাসেম তো আমাদের সাথেই যুদ্ধ করেছেন, আমরা তো এক সাথেই থেকেছি সবসময়। এদিকে সদর উপজেলার চাঁদপাল গ্রামের স্থানীয়া বাসিন্দারা বলেন, আমাদের জানা মতে আবুল কাশেম মেকার একজন সৎ মানুষ। তাছাড়া শুনেছি তিনি একজন প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধা। এহেন অবস্হায় কোনো উপায় না পেয়ে দুর্বিসহ যন্ত্রনা বুকে ধারণ করে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের হাটপাঙ্গাসী বাজার বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মল্লিকের বাসা ভারা নিয়ে টিভি ও টর্চলাইট মেরামত করে সংসার চালানোর চেস্টা করছেন স্বীকৃতি না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মেকার।