হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত সদস্য অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম এবং মং-এ-চিং চাককে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন বাইশারী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ। একই অনুষ্ঠানে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর, জেলা জজ আদালতের জিপি, এজিপিদেরও গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকালে বাইশারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাইশারী ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সর্বস্ত্ররের মানুষ।
গণসংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাইশারীর মানুষ কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে আমাদের ঋণী করেছেন, সেই ঋণ পরিশোধ করবার, ক্ষমতা আমাদের নেই। গত ১৫ বছরের জঞ্জাল, ঘুষ, দুর্নীতি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল তা পরিষ্কার করে নতুন সীদ্ধান্তে এগিয়ে যাবে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
তিনি আরো বলেন, পরিষদের বৈঠকে বাইশারীর বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরার মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করবেন। নব নিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য মং এ চিং চাক বলেন- আমার উপর দায়িত্বপালন করতে গিয়ে কোন মানুষের সঙ্গে আমি ভেধাভেদ করব না।
বাইশারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনু’র সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো: ইসমাইল, জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌসুলি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু তালেব, সরকারী সহকারী-কৌসুলি আবু হেনা মোস্তফা কামাল। বক্তব্য রাখেন কক্সবাজাবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রশিদ।
হাফেজ মোহাম্মদ আলম ও নুরুল আলম এর সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা রফিক বশরী, মোহাম্মদ আবল কালাম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ সওদাগর, সাংবাদিক আবদুর রশিদ, সাবেক মেম্বার আজিজুল হক, বাংলাদেশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত অনারি ক্যাপ্টেন থোয়াই অংগ্য চাক। এর আগে নবনিযুক্ত পার্বত্য জেলা পরিষদের দুই সদস্য বাইশারী পৌছলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। পরে মিছিল সহকারে গণসংবর্ধনায় যোগদেন অতিথিবৃন্দ।