মাহফুজ রাজা,স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় কাশফুলের শুভ্র রুপে অনিন্দ্য সাজে প্রকৃতি।
শরৎ সেজেছে মন মোহিনী সাজে, শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা। শরৎ প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে কাশফুলের অপার সৌন্দর্য্য দিয়ে। প্রকৃতিতে পালাবর্তনে কাশফুলের সৌন্দর্য্যে মানুষ ছুটে আসছে কাশবনে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সাদা পরিরা দল বেঁধে দক্ষিণা বাতাসে মাথা ঝুলিয়ে নৃত্যে ব্যস্ত।এছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী এ কাশফুল বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
প্রিয়জনকে নিয়ে প্রকৃতির সাথে একাকার করে দিতে হাজির হয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমিক। কেউ আসছে প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে, কেউ আসছে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা কাশবনে সেলফি বা নিজের ছবিটা ক্যামেরা বন্ধি করছে।
বর্ষার কদমফুলের দিন শেষ হতে না হতেই শরতের কাশফুলের দেখা মেলে। কাশবনের উপকারের সীমা কেবল পানের বরজ, ঘরের চালা বা সবজি বাগানের বেড়া হিসাবে নয়, কাশফুলে আয়ূবের্দীয় গুনও আছে। মাটিধ্বস রোধ করতে চাষ করা হয়।
আখের অঙ্কুুরোদগম ছাড়াও বিশেষ ধরনের কাগজের মণ্ডও তৈরি হয় কাশ থেকে। সব মিলিয়ে কাশফুল কেবল শরতের মুগ্ধতার প্রতীক নয়, আমাদের জীবনযাত্রার সংগেও জড়িয়ে আছে কাশের জীবন।
উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের ১ কিমি জুড়ে রয়েছে কাঁশফুলের বিশাল সমারোহ।
যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে এ কাশবনে। বিশেষ করে শেষ বিকেলের মুহুর্তে এটার সৌন্দর্য আরো অনেকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে বেশিরভাগ পর্যটক আসছেন বিকেলে।
উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের সাইফুল আলম জানান, মানসিক শান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ছুটে এসেছি। প্রতিবছর ই এখানে কাশফুল ফুটে।
কাশফুল দেখতে আসা খোকন মিয়া জানান, কাশফুল ছাড়া শরৎ পরিপূর্ণ না। ব্রহ্মপুত্রের তীরে প্রতিবছরই কাশফুল ফুটে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পর্যটক ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়।অনেকে নোংরা মনমানসিকতার ছাপ রেখে যায় কাশবনে।