বাংলাদেশ ১১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে: জবি উপাচার্য যশোরে শিশু অপহরণ করে পর্নো ভিডিও তৈরীতে জড়িত ২ সদস্যকে গ্রেফতার কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে ট্রাক চাপায় ব্রাহ্মণপাড়ার নারী নিহত মোহনপুরে বজ্রপাতে দুই গরুর মৃত্যু পিরোজপুরে অপ চিকিৎসায় ট্রাক চালক পঙ্গু মামলায় ২ আসামী কারাগারে  লালন শাহ’র মাজারের সামনে মানববন্ধনে লালন সাঁইয়ের অনুসারী চায়না বেগম, আমি স্বামীর মাজারেই থাকব ব্রাহ্মণপাড়ায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ  ব্রাহ্মণপাড়া ঔষধ সমিতির অবহিত করণ ও জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত  পুঠিয়ায় মাছবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু আরএমপি প্রতিষ্ঠার ৩২তম বার্ষিকী উদ্বোধন করলেন আইজিপি উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিএনপির নেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতার ছবি!  রাবির ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট পাস, সবোর্চ্চ বরাদ্দ বেতন-ভাতায় ব্রাহ্মণপাড়ায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন গ্রেফতার ঝিনাইদহে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল রোটাক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা শাইনিং স্টারের আংশিক কমিটি ঘোষণা 

গৃহবধূর কোলে প্রেমিকের সন্তান ; পলাতক প্রেমিক কেন্নান।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • ১৫৯১ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

মোঃ কাওছার আহম্মেদ
রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী।

দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। পরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক কেন্নান। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন গৃহবধূ তানজিলা। এরপর বিয়ে করবো বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন প্রেমিক। একপর্যায়ে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ তানজিলা। সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক কেন্নান ও তার পরিবারের সাথে সমযোতা করতে চাইলে। বাড়ী ছেড়ে পালায় প্রেমিক কেন্নান।

ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড নেতা গ্রামে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর বাড়ি ও প্রেমিক কেন্নান এর বাড়ী একই যায়গায় রাঙ্গাবালীর নেতা বাজার সংলগ্ন, সম্পর্কে তারা দু-জন চাচাতো ভাই বোন হয়,

জানা যায়, রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের হাপুয়াখালীর নজরুল প্যাদার ছেলে সোহেলের সাথে আড়াই বছর আগে বিবাহ হয় তানজিলার। বিবাহের ১৫ দিন যেতে না যেতেই স্বামী সোহেলকে রেখে বাবার বাড়ী চলে যায় তানজিলা। সেখানে সাবেক প্রেমিক কেন্নান এর কাছ থেকে পাওয়া বিবাহের প্রোলভন পেয়ে উৎসাহিত হয়ে সোহেকে সংসার না করার কথা জানান তানজিলা। কিছুদিন যেতেই সোহেলেকে আসামি করে পটুয়াখালী জজ কোর্টে জৌতুক মামলা দায়ের করেন  তানজিলা। সোহেল ও তানজিলার বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও দির্ঘ আড়াই বছর ধরে মামলার কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে তাদের, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যোগাযোগ বারাতে থাকে প্রেমিক কেন্নান। প্রায় এক বছর আগে কেন্নান ও তানজিলাকে একই ঘড়ে অপৃতকর অবস্থায় ধরে এলাকার কিছু লোকজন, পড়ে সম্পর্কের কথা শিকার করে কেন্নান ও তানজিলা বিবাহ করার সম্মতি পোষন করে।

খবর পেড়ে ঘটনাস্থলে যান গ্রাম পুলিশ রুবেল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাইদুল মেম্বর সহ প্রশাসন। প্রশাসন থেকে সম্মতিক্রমে স্থানীয় মেম্বর এর নেতৃত্বে শলিস করে সমোযোতা করার কথা থাকলেও কোন ব্যাবস্থা হয়নি তখন। এভাবেই অতিবাহিত হতে থাকে মাসের পর মাস, হঠাৎ ই গত রবিবার (২৩ জুন ২৪) তানজিলা একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে ভিড় করছেন ওই বাসার সামনে।

গৃহবধু তানজিলা বলেন, আমি সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই। আমি এই সমাজে কীভাবে সন্তানের পরিচয় দিব। কেন্নান আমাকে বিয়ের কথা বলে শুধু কালক্ষেপণ করেছে। এই সন্তানের বাবা কেন্নান। কেন্নান স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিলে আমার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।

এ বিষয়ে গৃহবধূ তানজিলার মা বলেন, আমার মেয়ের স্বরলতাকে কাজে লাগিয়ে বিবাহ করার কথা বলে এগুলো করেছে কেন্নান এখন কিছু বুঝেনা, আমি সমাজের কাছে এর বিচার চাই, এই শিশুর দায়িত্ব কে নিবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলাতক প্রেমিক কেন্নান এর মা বলেন, আমি এরকম একটা গুঞ্জন শুনেছি অনেক আগেই, এই মেয়ে ভালোনা এই মেয়ে আমার ছেলেকে পাগল বানাই হালাইতে, আমার ছেলে খাইতে বসলে ও ঘরে আইসা দাড়াই থাকতো, গোসল করতে গেলে ঘাটপারে দাড়াই থাকতো।

তিনি আরো বলেন, এই সন্তান আমার ছেলের না তবুও দেশের আইন আছে যদি পরিক্ষার মাধ্যমে প্রমান হয় আমর ছেলের সন্তান তাহলে আমাদের অপরাধ মানতে হবে।

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ রুবেল জানান, কেন্নানকে এই মেয়ের সাথে প্রায় এক বছর আগে এলাকার মানুষ অপৃতকর অবস্থায় ধরে আমাকে খবর দেয় আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং স্থানীয় মেম্বর সাইদুল ভাই ও স্থানি গণ্যমাণ্য লোকজন আসে, তখন সবার সামনেই মেয়ে ও ছেলে উভই বিবাহের সম্মতি জানায়।

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে: জবি উপাচার্য

গৃহবধূর কোলে প্রেমিকের সন্তান ; পলাতক প্রেমিক কেন্নান।

আপডেট সময় ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

 

 

 

 

 

মোঃ কাওছার আহম্মেদ
রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী।

দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। পরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক কেন্নান। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন গৃহবধূ তানজিলা। এরপর বিয়ে করবো বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন প্রেমিক। একপর্যায়ে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ তানজিলা। সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক কেন্নান ও তার পরিবারের সাথে সমযোতা করতে চাইলে। বাড়ী ছেড়ে পালায় প্রেমিক কেন্নান।

ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড নেতা গ্রামে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর বাড়ি ও প্রেমিক কেন্নান এর বাড়ী একই যায়গায় রাঙ্গাবালীর নেতা বাজার সংলগ্ন, সম্পর্কে তারা দু-জন চাচাতো ভাই বোন হয়,

জানা যায়, রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের হাপুয়াখালীর নজরুল প্যাদার ছেলে সোহেলের সাথে আড়াই বছর আগে বিবাহ হয় তানজিলার। বিবাহের ১৫ দিন যেতে না যেতেই স্বামী সোহেলকে রেখে বাবার বাড়ী চলে যায় তানজিলা। সেখানে সাবেক প্রেমিক কেন্নান এর কাছ থেকে পাওয়া বিবাহের প্রোলভন পেয়ে উৎসাহিত হয়ে সোহেকে সংসার না করার কথা জানান তানজিলা। কিছুদিন যেতেই সোহেলেকে আসামি করে পটুয়াখালী জজ কোর্টে জৌতুক মামলা দায়ের করেন  তানজিলা। সোহেল ও তানজিলার বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও দির্ঘ আড়াই বছর ধরে মামলার কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে তাদের, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যোগাযোগ বারাতে থাকে প্রেমিক কেন্নান। প্রায় এক বছর আগে কেন্নান ও তানজিলাকে একই ঘড়ে অপৃতকর অবস্থায় ধরে এলাকার কিছু লোকজন, পড়ে সম্পর্কের কথা শিকার করে কেন্নান ও তানজিলা বিবাহ করার সম্মতি পোষন করে।

খবর পেড়ে ঘটনাস্থলে যান গ্রাম পুলিশ রুবেল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাইদুল মেম্বর সহ প্রশাসন। প্রশাসন থেকে সম্মতিক্রমে স্থানীয় মেম্বর এর নেতৃত্বে শলিস করে সমোযোতা করার কথা থাকলেও কোন ব্যাবস্থা হয়নি তখন। এভাবেই অতিবাহিত হতে থাকে মাসের পর মাস, হঠাৎ ই গত রবিবার (২৩ জুন ২৪) তানজিলা একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে ভিড় করছেন ওই বাসার সামনে।

গৃহবধু তানজিলা বলেন, আমি সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই। আমি এই সমাজে কীভাবে সন্তানের পরিচয় দিব। কেন্নান আমাকে বিয়ের কথা বলে শুধু কালক্ষেপণ করেছে। এই সন্তানের বাবা কেন্নান। কেন্নান স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিলে আমার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।

এ বিষয়ে গৃহবধূ তানজিলার মা বলেন, আমার মেয়ের স্বরলতাকে কাজে লাগিয়ে বিবাহ করার কথা বলে এগুলো করেছে কেন্নান এখন কিছু বুঝেনা, আমি সমাজের কাছে এর বিচার চাই, এই শিশুর দায়িত্ব কে নিবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলাতক প্রেমিক কেন্নান এর মা বলেন, আমি এরকম একটা গুঞ্জন শুনেছি অনেক আগেই, এই মেয়ে ভালোনা এই মেয়ে আমার ছেলেকে পাগল বানাই হালাইতে, আমার ছেলে খাইতে বসলে ও ঘরে আইসা দাড়াই থাকতো, গোসল করতে গেলে ঘাটপারে দাড়াই থাকতো।

তিনি আরো বলেন, এই সন্তান আমার ছেলের না তবুও দেশের আইন আছে যদি পরিক্ষার মাধ্যমে প্রমান হয় আমর ছেলের সন্তান তাহলে আমাদের অপরাধ মানতে হবে।

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ রুবেল জানান, কেন্নানকে এই মেয়ের সাথে প্রায় এক বছর আগে এলাকার মানুষ অপৃতকর অবস্থায় ধরে আমাকে খবর দেয় আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং স্থানীয় মেম্বর সাইদুল ভাই ও স্থানি গণ্যমাণ্য লোকজন আসে, তখন সবার সামনেই মেয়ে ও ছেলে উভই বিবাহের সম্মতি জানায়।