
মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং।
কুমিল্লার বুড়িচং সদরের সোনালী ব্যাংকের ভিতরে নারী গ্রহকের নাকে-মুখে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে ঋণের কিস্তির নগদ ১ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে একটি প্রতারক চক্র।
(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বৃহস্পতিবার বিকেলে নারী গ্রাহক ভুক্তভোগী মোস. সামসুন নাহার(৪৫) বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ করেছে। এ বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আজিজুল হক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, (১০সেপ্টেম্বর) বুধবার সকাল ১১টার দিকে বুড়িচং সদরের ইসলাম কমপ্লেক্সে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী মো.সামসুন নাহার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের জব্বার মৌলভী বাড়ির মো. আব্দুল মালেকের স্ত্রী।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মো.সামসুন নাহারের এক ছেলে ও দুই ভাই সৌদি আরবে কর্মরত আছেন, বাংলাদেশ থাকা অবস্থায় ১৫ লাখ টাকা ঋণ ছিলো। বিদেশ থেকে পাঠানো ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য বাড়ি থেকে চেক নিয়ে বুধবার সকালে বুড়িচং সোনালী ব্যাংকে উত্তোলন করতে যায়।তখন ১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা উত্তোলন টাকা গণনা করার সময় অপরিচিত ৪-৫ জনের একটি প্রতারক চক্র গ্রাহক সেজে সামসুন নাহারের পাশে এসে টাকা গণনা করে। তখনই ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ (স্কোপোলামিন) নারী গ্রাহক নাকে-মুখে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই ওই গ্রাহক পুরোপুরি ওই প্রতারক চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যান এবং অভিনব কৌশলে টাকাগুলো নিয়ে নেয়। এখন নারী গ্রাহকের কিস্তির নিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা। থানায় অভিযোগের বুড়িচং থানার পুলিশ সোনালী ব্যাংকে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন, এবং প্রতারক চক্রের সদস্যদের ধরতে তৎপরতা চালায়।
এ বিষয়ে বুড়িচং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জহুর আহমেদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংকের এক নারী গ্রাহকের টাকা নিয়ে গেছে একটি প্রতারক চক্র। ব্যাংকের সিটিভি ফুটেজে দেখেছি ৪-৫ জন একটি প্রতারক চক্রের হাতে সেচ্ছায় দিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহক নারী। কিছু দিন আগেও কংশনগর সোনালী ব্যাংকে পুরুষ গ্রাহকের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতারক চক্রকে ধরিয়ে দিতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ব্যাংকে গিয়েছে পুলিশ এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই প্রতারক চক্রকে ধরতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।