
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে ৯৮০০ পিস ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়াও, যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯, সদর কোম্পানী, সিলেট এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধা ১৮:৫০ ঘটিকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের নিমিত্তে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা কালে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন টুকেরবাজার অবস্থান কালে গোপন সূত্রে সংবাদ পায় যে, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন ০১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডস্থ পারুয়া নোয়াগাঁও ইসলামি দাখিল মাদ্রাসার সামনে একজন ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদ পেয়ে আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থলে আনুমানিক সন্ধা ১৯:০৫ ঘটিকার সময় পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি সু-কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে ধৃত করা হয়। ধৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। পরবর্তীতে দেহ তল্লাশী কালে তার ডান হাতে থাকা পলিথিনের ভিতর হতে তার দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়ামতে ০১টি পলিথিনে মোড়ানো ৪৯টি নীল রংয়ের বায়ুরোধক পলিজিপারযুক্ত প্যাকেটে থেকে ৯,৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৯,৪০,০০০/- (ঊনত্রিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা।
ধৃত ব্যক্তিকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছিল। পরবর্তীতে উল্লেখিত মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি- মোঃ সমুজ আলী (২৮), পিতা- মৃত মোঃ চাঁন মিয়া, সাং- নিজগাঁও, থানা- ছাতক, জেলা- সুনামগঞ্জ।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ খ্রিঃ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।